Ajker Patrika

অস্থিতিশীল গমের বাজার ও

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ২৮
Thumbnail image

দাম বাড়তে থাকায় চাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজের মতো অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে গমের বাজারও। ১৫ দিনের ব্যবধানে এ কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা গম প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হতো ২৫ থেকে ২৬ টাকায়, এখন যা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩১ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাজারে দাম বাড়ার কারণেই দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।

হিলি স্থলবন্দরের গম ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, হিলি দিয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ গাড়ি গম দেশের বিভিন্ন ময়দার মিলে যায়। ময়দার মিলগুলোতে গমের চাহিদা বেশি থাকার কারণে তাঁরা প্রতিদিন বন্দর থেকে গম কিনে সেখানে পাঠাচ্ছেন। হিলি দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ গাড়ি গম আমদানি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মূলত রাশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউক্রেন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে গম দেশে আসে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা গমের দামের ওপর দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে আমদানি করা গমের দাম সামঞ্জস্য রেখে তা বিক্রি করা হতো। কিন্তু এখন আর সেটি হচ্ছে না।

আমদানিকারকেরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদনশীল এসব দেশে গমের দাম অনেক বেড়েছে, যার ফলে আমদানি কম হচ্ছে। আর এতে নির্ভর হয়ে পড়তে হচ্ছে ভারতের ওপর। ভারত রপ্তানিমূল্য যেভাবে নির্ধারণ করছে, আমদানিকারকেরা সেই অনুযায়ী এলসি খুলে গম আমদানি করছেন। বর্তমানে গমের দাম যেভাবে বাড়ছে বিগত বছরগুলোতে এভাবে দাম বাড়ার প্রতিযোগিতা ছিল না। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি মেট্রিক টন গম ৩২০ মার্কিন ডলারে আমদানি হলেও সামনের দিনে ৩৪০ মার্কিন ডলারের নিচে গম আমদানি করতে পারবেন না বলে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

এদিকে গমের দাম দাম বাড়লে, আটার দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু বর্তমানে আটার চেয়ে ভুসির দাম অনেকাংশে বেড়েছে। ৩৭ কেজির প্রতি বস্তা ভুসি বর্তমানে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, সে অনুযায়ী প্রতি কেজি ভুসি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা দরে, আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। সেখানে আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায়।

হিলি বাজারে গরুর জন্য ভুসি কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভাই নিজে না খেলেও গরুর খাওয়ার জন্য চিন্তা করতে হয়। দুধ দেওয়া গাভিটির জন্য প্রতিদিন এক কেজি ভুসি কিনতে হয়। এখন ৩০ টাকা কেজি দরের ভুসি কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। এর সঙ্গে ২-৩ টাকা যোগ করলে এক কেজি মোটা চাল কেনা যায়। এখন থেকে গরুকে ভুসি না খাইয়ে ভাত খাওয়াব। এতে দুজনেরই খাওয়ার ব্যবস্থা হবে।’

এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান রফিকুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত