Ajker Patrika

তিনিও ভোটের লড়াইয়ে

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৩৪
তিনিও ভোটের লড়াইয়ে

ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন। এর মধ্যে উপজেলার নাটঘর ইউপির চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জোড়া খুনের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রফিকুল ইসলাম রতন।

পুলিশ বলছে, হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রতন। তবে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ শুক্রবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই অন্যদের মতো রফিকুল ইসলাম রতন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আসছেন। মহল্লার বিভিন্ন দোকানে গণসংযোগ করছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর রাতে নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এরশাদুল ও বাদল। এ ঘটনায় পরদিন এরশাদুলের ভাই আকতারুজ্জামান নবীনগর থানায় মামলা করেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম রতন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীও ছিলেন। জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন।

জোড়া খুনের মামলার বাদী আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমার ভাই এরশাদুল চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে ও আমার চাচাতো ভাই সাইদুল্লাহকে খুন করে। এ ঘটনায় আমার করা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রতন। তাঁরা একটি সিন্ডিকেট করে আমার ভাইয়ের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে হত্যা করেছেন।’

এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম রতনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রতন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে নির্বাচন করছেন।

নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় এর আগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের বাবুল মিয়া ও একই এলাকার মহসিন মিয়া, কুড়িঘর গ্রামের সোহাগ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ার আশরাফুল ইসলাম রাব্বি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত