Ajker Patrika

বেল মালায় সচ্ছলতা

মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৫৩
বেল মালায় সচ্ছলতা

বেলের খোসা এখন আর ফেলনা নয়। বেলের খোসা থেকে ছোট ছোট পুঁতি কেটে সুতায় ভরে তৈরি হচ্ছে নান্দনিক মালা। আর সেই মালা দেশে ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

মাগুরার মহম্মদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে দরিদ্র মানুষের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন হিসাবে বেছে নিয়েছে এই বেলের মালা তৈরির কাজ। বংশপরম্পরায় তাঁরা আজও এই শিল্পটি টিকিয়ে রেখেছেন।

মাগুরা, নড়াইল, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ,চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাঁচা বেল ও বেলের খোসা সংগ্রহ করেন গ্রামের লোকজন। সেগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ করে মালা তৈরির কাজে লাগানো হয়। এ সব মালা বাজারে ও মেলায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি করা হয়।

এ ছাড়া ওই গ্রামেই কয়েকজন মহাজন রয়েছে। তাঁরা গ্রামের লোকদের কাছ থেকে মালা কিনে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মোকামে বিক্রি করেন। ফ্যাশন ডিজাইনের কাজের জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে এখন রপ্তানি হচ্ছে এই মালা।

বাবুখালী ইউনিয়নে বেল মালা তৈরি হয় কয়েক প্রজন্ম ধরে। তাঁরা জানান, সাধারণত ৩০০টি বেল কেনেন চার শ টাকা দরে। এক গোছা মালা তৈরি করতে খরচ ১০ থেকে ১৫ টাকা। গ্রামের মহাজন তা কেনেন ৬০-৬৫ টাকা দরে।

চরসেলামাতপুর গ্রামের তৃপ্তি রানি, সন্ধ্যা রানি বলেন, ‘দিন পাল্টেছে। আগের মতো লাভ আর হয় না। বাজারে মালা ভালো দামে বিক্রি হলেও তার সুফল তাঁদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তারপরও এই মালা তৈরির কাজ করেই সংসার চলে।’

শিল্পীদের দাবি, সরকারি ভাবে এই শিল্পকে বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ না নিলে, এই পেশা অচিরেই হারিয়ে যাবে।

মাগুরা জেলা শিল্প সহায়ক কেন্দ্র বিসিক এর উপ-ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও হস্তশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে তাঁদের বিসিকের পক্ষ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত