পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় এবার বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। তবে পাকা ধান ঘরে তোলার সময়ে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক। হঠাৎ বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণে পাকা ধান সাদা হয়ে যাচ্ছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। কীটনাশক ছিটিয়েও দমন করা যাচ্ছে না এই পোকার আক্রমণ।
উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রামের মাঠে গিয়ে কৃষকদের এমন দুঃখ-দুর্দশার চিত্র দেখা গেছে। এ সময় কথা হয় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে।
উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক মাধু মিয়া বলেন, ‘আমার বেশির ভাগ জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারের দোকান থেকে কীটনাশক নিয়ে জমিতে ছিটানোর পরও কাজ হচ্ছে না। সব ধান মরে সাদা হয়ে গেছে।’
কৃষি অফিসের লোকজন কী পরামর্শ দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষি অফিসের কোনো লোককে তিনি কখনো দেখেননি।
মির্জানগর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকেরা বেগমকে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
একই গ্রামের কৃষক মো. হানিফ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে ধান কাটার নিয়ত করেছি। সকালে জমিতে এসে দেখি, পোকায় পাকা ধান খেয়ে ফেলছে, কী করি ভেবে পাচ্ছি না। বাজার থেকে কীটনাশক এনে স্প্রে করছি।’
উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, জমিতে পোকার আক্রমণে সব পাকা ধান সাদা হয়ে গেছে।
পরশুরাম পৌর এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বনিক বলেন, কিছু কিছু এলাকায় পাকা ধানে বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। কৃষকদের ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, পোকার আক্রমণ এক জমি থেকে আরেক জমিতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় কৃষকেরা এই পোকার নাম গুনগুনি পোকা বললেও পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এটি বাদামি গাছফড়িং।
এই পোকা মূলত পাকা ধানেই আক্রমণ করে। এই পোকা প্রথমে ধান শিষের কচি ডগার রস চুষে খায়। ফলে ওই ধানের শিষ ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই মরে সাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এই পোকার আক্রমণ এতটা ভয়াবহ যে, ধান কেটে নেওয়ার পরও কয়েকটি স্থানে এই পোকার সংক্রমণ হচ্ছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনছুর আহাম্মদ বলেন, ভারতের সীমান্ত এলাকাজুড়ে লাইটিংয়ের কারণে, স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি হলে এবং ধানের চারা লাগানোর সময় ঘন ঘন লাগালে বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া পাকা ধানে প্লেনাম, মিফসিন, নাইট্রো নামের ওষুধ পরিমাণমতো ও সময়মতো ছিটালে এ পোকার আক্রমণ থেকে পাকা ধান রক্ষা পাবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, যে জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে, সেখানে কীটনাশক ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, তাতে কৃষকেরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাসুদ রানা বলেন, পরশুরাম উপজেলায় চলতি বছর ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে ব্লাস্ট ও বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় এবার বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। তবে পাকা ধান ঘরে তোলার সময়ে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক। হঠাৎ বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণে পাকা ধান সাদা হয়ে যাচ্ছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। কীটনাশক ছিটিয়েও দমন করা যাচ্ছে না এই পোকার আক্রমণ।
উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রামের মাঠে গিয়ে কৃষকদের এমন দুঃখ-দুর্দশার চিত্র দেখা গেছে। এ সময় কথা হয় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে।
উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের কৃষক মাধু মিয়া বলেন, ‘আমার বেশির ভাগ জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারের দোকান থেকে কীটনাশক নিয়ে জমিতে ছিটানোর পরও কাজ হচ্ছে না। সব ধান মরে সাদা হয়ে গেছে।’
কৃষি অফিসের লোকজন কী পরামর্শ দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষি অফিসের কোনো লোককে তিনি কখনো দেখেননি।
মির্জানগর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকেরা বেগমকে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
একই গ্রামের কৃষক মো. হানিফ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে ধান কাটার নিয়ত করেছি। সকালে জমিতে এসে দেখি, পোকায় পাকা ধান খেয়ে ফেলছে, কী করি ভেবে পাচ্ছি না। বাজার থেকে কীটনাশক এনে স্প্রে করছি।’
উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, জমিতে পোকার আক্রমণে সব পাকা ধান সাদা হয়ে গেছে।
পরশুরাম পৌর এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বনিক বলেন, কিছু কিছু এলাকায় পাকা ধানে বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। কৃষকদের ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, পোকার আক্রমণ এক জমি থেকে আরেক জমিতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় কৃষকেরা এই পোকার নাম গুনগুনি পোকা বললেও পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এটি বাদামি গাছফড়িং।
এই পোকা মূলত পাকা ধানেই আক্রমণ করে। এই পোকা প্রথমে ধান শিষের কচি ডগার রস চুষে খায়। ফলে ওই ধানের শিষ ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই মরে সাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এই পোকার আক্রমণ এতটা ভয়াবহ যে, ধান কেটে নেওয়ার পরও কয়েকটি স্থানে এই পোকার সংক্রমণ হচ্ছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনছুর আহাম্মদ বলেন, ভারতের সীমান্ত এলাকাজুড়ে লাইটিংয়ের কারণে, স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি হলে এবং ধানের চারা লাগানোর সময় ঘন ঘন লাগালে বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া পাকা ধানে প্লেনাম, মিফসিন, নাইট্রো নামের ওষুধ পরিমাণমতো ও সময়মতো ছিটালে এ পোকার আক্রমণ থেকে পাকা ধান রক্ষা পাবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, যে জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে, সেখানে কীটনাশক ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, তাতে কৃষকেরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাসুদ রানা বলেন, পরশুরাম উপজেলায় চলতি বছর ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে ব্লাস্ট ও বাদামি গাছফড়িং পোকার আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪