শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে। সেখানে তথ্য সংযোজন-বিয়োজন ও বেচাকেনার সুযোগ থাকায় বিষয়টি গুরুতর হুমকিস্বরূপ বলছে পুলিশ সদর দপ্তর।
আইডি বেহাতের বিষয়টি কয়েক দিন আগে নজরে এসেছে পুলিশের। তবে কী পরিমাণ তথ্য বেহাত হয়েছে, তা নিশ্চিত নয় তারা। তারা মনে করছে, অসতর্কতা বা অবহেলার কারণে ব্যবহারকারীর আইডি ও পাসওয়ার্ড হাতিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। ওই তথ্যভান্ডার ব্যবহারকারীদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ২৫ জুনের (রোববার) মধ্যে পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের সদর দপ্তর ও বিভিন্ন বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক করেছিল হ্যাকাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, খারাপ মানসিকতা নিয়ে কেউ একবার সাইটে ঢুকতে পারলে তার নামে থাকা অপরাধের তথ্য মুছে ফেলা, সংশোধন করা বা কোনো কিছু জুড়ে দিতে পারবে, যা ভয়ংকর হতে পারে।
পুলিশ সূত্র বলেছে, পুলিশের কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার ক্রাইম ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস++) পুলিশের ডিজিটাল সব তথ্য থাকে। সিডিএমএসে আসামির তালিকা, কোন আসামির বিরুদ্ধে দেশের কোথায় কয়টা মামলা, কোন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, আসামির জবানবন্দি, মামলার অভিযোগপত্র ও রায়ের তথ্য রয়েছে। এটি ব্যবহারকারী পুলিশ সদস্যরা কাজের প্রয়োজনে তাঁদের নির্দিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই সাইটে ঢোকেন। প্রতিটি থানা ও সার্কেল অফিসে পুলিশের একজন সদস্য তথ্যগুলো আপলোড করার দায়িত্বে থাকেন। এখানে অন্তত ১০ বছরের অপরাধ ও অপরাধী-সংক্রান্ত সব তথ্য রয়েছে। বেহাত হওয়ায় এগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
সিডিএমএস++ সাইটে পুলিশের সব ইউনিটে কর্মরত সদস্যদের অবস্থান, তাঁদের কার্যক্রমের তালিকা, দৈনিক হাজিরা, দায়িত্ব বণ্টন, টহল দলের অবস্থানসহ দৈনন্দিন সার্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে ঢোকার জন্যও নির্দিষ্ট পুলিশ সদস্যদের একটি করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড রয়েছে।
তথ্য বেহাতের বিষয়টি জানাজানি হয়েছে ১৩ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের একটি চিঠিতে। পুলিশের সব কমিশনার, বিশেষ শাখা (এসবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) সব ইউনিটের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) ও রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) ওই চিঠি দেওয়া হয়। সদর দপ্তরের অপরাধ বিশ্লেষণ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক সুনন্দা রায়ের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সদর দপ্তরের আইসিটি শাখা পরিচালিত সাইবার প্যাট্রলিং চলাকালে ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইটে সিডিএমএস ও সিডিএমএস++ এর বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারীর ‘ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড’ ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে।
সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এসব তথ্য বাইরে চলে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাধ্যমে দেওয়ার (শেয়ার) সুযোগ রয়েছে, যা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীদের জ্ঞাত ও অজ্ঞাতসারে এবং অবহেলার কারণে লগইন তথ্য বাইরে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
চিঠিতে সাইট দুটির তথ্য ফাঁস প্রতিরোধে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং কাউকে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ঠিক হ্যাক না। কিছু ব্যবহারকারীর আইডি ও গোপন পিন নম্বর বাইরে চলে গেছে। পরে পুলিশ সদর দপ্তর বুঝতে পেরে সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নিয়েছে। সাইটগুলো আরও সুরক্ষিত করতে কাজ চলছে।’
পুলিশের সাইবার ইউনিটগুলো বলছে, হোয়াইট ওয়েব (বৈধ) অর্থাৎ গুগল, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হলো পুরো নেট দুনিয়ার মাত্র ৫ শতাংশ। বাকি অংশকে বলা হয় ‘ডিপ ওয়েব’। এই ডিপ ওয়েবের বেশির ভাগ অংশই বেআইনি কাজের ডার্ক ওয়েব। এই বাজারে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন তথ্য বিক্রি হয়। এ কারণে পুলিশের দুটি সাইটে থাকা তথ্যও বিক্রির ঝুঁকিতে পড়েছে, যা সুযোগ হিসেবে নিতে পারে অপরাধীরা। পরবর্তী সময়ে এই ঝুঁকি এড়াতে তথ্য হালনাগাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ সদস্যের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টর ব্রাউজারের মাধ্যমেও নেট সার্ফিং করা যায়, যা করে সাইবার অপরাধীরা। এই বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহারকারীর আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) অ্যাড্রেস সেভ হয় না। ফলে একবার ‘লগ অফ’ করলে ব্যবহারকারীর পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবহারকারীদের কেউ সচেতনভাবে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে না থাকলে ক্র্যাক ভার্সন সফটওয়্যার বা লাইসেন্স ছাড়া সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে সাইট দুটি পরিচালনার সময় আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে সেগুলো তারা ডার্ক ওয়েবসাইটে বিক্রি করে থাকতে পারে। সেখান থেকে এসব আইডি নিয়ে সাইটে ঢোকা সম্ভব।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ব্যবস্থাতেই ফাঁকফোকর থাকে। যেহেতু বিষয়টি নজরে এসেছে, তাই সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে। সেখানে তথ্য সংযোজন-বিয়োজন ও বেচাকেনার সুযোগ থাকায় বিষয়টি গুরুতর হুমকিস্বরূপ বলছে পুলিশ সদর দপ্তর।
আইডি বেহাতের বিষয়টি কয়েক দিন আগে নজরে এসেছে পুলিশের। তবে কী পরিমাণ তথ্য বেহাত হয়েছে, তা নিশ্চিত নয় তারা। তারা মনে করছে, অসতর্কতা বা অবহেলার কারণে ব্যবহারকারীর আইডি ও পাসওয়ার্ড হাতিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। ওই তথ্যভান্ডার ব্যবহারকারীদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ২৫ জুনের (রোববার) মধ্যে পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের সদর দপ্তর ও বিভিন্ন বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক করেছিল হ্যাকাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, খারাপ মানসিকতা নিয়ে কেউ একবার সাইটে ঢুকতে পারলে তার নামে থাকা অপরাধের তথ্য মুছে ফেলা, সংশোধন করা বা কোনো কিছু জুড়ে দিতে পারবে, যা ভয়ংকর হতে পারে।
পুলিশ সূত্র বলেছে, পুলিশের কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার ক্রাইম ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস++) পুলিশের ডিজিটাল সব তথ্য থাকে। সিডিএমএসে আসামির তালিকা, কোন আসামির বিরুদ্ধে দেশের কোথায় কয়টা মামলা, কোন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, আসামির জবানবন্দি, মামলার অভিযোগপত্র ও রায়ের তথ্য রয়েছে। এটি ব্যবহারকারী পুলিশ সদস্যরা কাজের প্রয়োজনে তাঁদের নির্দিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই সাইটে ঢোকেন। প্রতিটি থানা ও সার্কেল অফিসে পুলিশের একজন সদস্য তথ্যগুলো আপলোড করার দায়িত্বে থাকেন। এখানে অন্তত ১০ বছরের অপরাধ ও অপরাধী-সংক্রান্ত সব তথ্য রয়েছে। বেহাত হওয়ায় এগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
সিডিএমএস++ সাইটে পুলিশের সব ইউনিটে কর্মরত সদস্যদের অবস্থান, তাঁদের কার্যক্রমের তালিকা, দৈনিক হাজিরা, দায়িত্ব বণ্টন, টহল দলের অবস্থানসহ দৈনন্দিন সার্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে ঢোকার জন্যও নির্দিষ্ট পুলিশ সদস্যদের একটি করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড রয়েছে।
তথ্য বেহাতের বিষয়টি জানাজানি হয়েছে ১৩ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের একটি চিঠিতে। পুলিশের সব কমিশনার, বিশেষ শাখা (এসবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) সব ইউনিটের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) ও রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) ওই চিঠি দেওয়া হয়। সদর দপ্তরের অপরাধ বিশ্লেষণ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক সুনন্দা রায়ের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সদর দপ্তরের আইসিটি শাখা পরিচালিত সাইবার প্যাট্রলিং চলাকালে ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইটে সিডিএমএস ও সিডিএমএস++ এর বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারীর ‘ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড’ ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে।
সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এসব তথ্য বাইরে চলে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাধ্যমে দেওয়ার (শেয়ার) সুযোগ রয়েছে, যা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীদের জ্ঞাত ও অজ্ঞাতসারে এবং অবহেলার কারণে লগইন তথ্য বাইরে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
চিঠিতে সাইট দুটির তথ্য ফাঁস প্রতিরোধে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং কাউকে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ঠিক হ্যাক না। কিছু ব্যবহারকারীর আইডি ও গোপন পিন নম্বর বাইরে চলে গেছে। পরে পুলিশ সদর দপ্তর বুঝতে পেরে সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নিয়েছে। সাইটগুলো আরও সুরক্ষিত করতে কাজ চলছে।’
পুলিশের সাইবার ইউনিটগুলো বলছে, হোয়াইট ওয়েব (বৈধ) অর্থাৎ গুগল, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হলো পুরো নেট দুনিয়ার মাত্র ৫ শতাংশ। বাকি অংশকে বলা হয় ‘ডিপ ওয়েব’। এই ডিপ ওয়েবের বেশির ভাগ অংশই বেআইনি কাজের ডার্ক ওয়েব। এই বাজারে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন তথ্য বিক্রি হয়। এ কারণে পুলিশের দুটি সাইটে থাকা তথ্যও বিক্রির ঝুঁকিতে পড়েছে, যা সুযোগ হিসেবে নিতে পারে অপরাধীরা। পরবর্তী সময়ে এই ঝুঁকি এড়াতে তথ্য হালনাগাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ সদস্যের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টর ব্রাউজারের মাধ্যমেও নেট সার্ফিং করা যায়, যা করে সাইবার অপরাধীরা। এই বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহারকারীর আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) অ্যাড্রেস সেভ হয় না। ফলে একবার ‘লগ অফ’ করলে ব্যবহারকারীর পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবহারকারীদের কেউ সচেতনভাবে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে না থাকলে ক্র্যাক ভার্সন সফটওয়্যার বা লাইসেন্স ছাড়া সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে সাইট দুটি পরিচালনার সময় আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে সেগুলো তারা ডার্ক ওয়েবসাইটে বিক্রি করে থাকতে পারে। সেখান থেকে এসব আইডি নিয়ে সাইটে ঢোকা সম্ভব।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ব্যবস্থাতেই ফাঁকফোকর থাকে। যেহেতু বিষয়টি নজরে এসেছে, তাই সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে। সেখানে তথ্য সংযোজন-বিয়োজন ও বেচাকেনার সুযোগ থাকায় বিষয়টি গুরুতর হুমকিস্বরূপ বলছে পুলিশ সদর দপ্তর।
আইডি বেহাতের বিষয়টি কয়েক দিন আগে নজরে এসেছে পুলিশের। তবে কী পরিমাণ তথ্য বেহাত হয়েছে, তা নিশ্চিত নয় তারা। তারা মনে করছে, অসতর্কতা বা অবহেলার কারণে ব্যবহারকারীর আইডি ও পাসওয়ার্ড হাতিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। ওই তথ্যভান্ডার ব্যবহারকারীদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ২৫ জুনের (রোববার) মধ্যে পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের সদর দপ্তর ও বিভিন্ন বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক করেছিল হ্যাকাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, খারাপ মানসিকতা নিয়ে কেউ একবার সাইটে ঢুকতে পারলে তার নামে থাকা অপরাধের তথ্য মুছে ফেলা, সংশোধন করা বা কোনো কিছু জুড়ে দিতে পারবে, যা ভয়ংকর হতে পারে।
পুলিশ সূত্র বলেছে, পুলিশের কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার ক্রাইম ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস++) পুলিশের ডিজিটাল সব তথ্য থাকে। সিডিএমএসে আসামির তালিকা, কোন আসামির বিরুদ্ধে দেশের কোথায় কয়টা মামলা, কোন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, আসামির জবানবন্দি, মামলার অভিযোগপত্র ও রায়ের তথ্য রয়েছে। এটি ব্যবহারকারী পুলিশ সদস্যরা কাজের প্রয়োজনে তাঁদের নির্দিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই সাইটে ঢোকেন। প্রতিটি থানা ও সার্কেল অফিসে পুলিশের একজন সদস্য তথ্যগুলো আপলোড করার দায়িত্বে থাকেন। এখানে অন্তত ১০ বছরের অপরাধ ও অপরাধী-সংক্রান্ত সব তথ্য রয়েছে। বেহাত হওয়ায় এগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
সিডিএমএস++ সাইটে পুলিশের সব ইউনিটে কর্মরত সদস্যদের অবস্থান, তাঁদের কার্যক্রমের তালিকা, দৈনিক হাজিরা, দায়িত্ব বণ্টন, টহল দলের অবস্থানসহ দৈনন্দিন সার্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে ঢোকার জন্যও নির্দিষ্ট পুলিশ সদস্যদের একটি করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড রয়েছে।
তথ্য বেহাতের বিষয়টি জানাজানি হয়েছে ১৩ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের একটি চিঠিতে। পুলিশের সব কমিশনার, বিশেষ শাখা (এসবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) সব ইউনিটের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) ও রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) ওই চিঠি দেওয়া হয়। সদর দপ্তরের অপরাধ বিশ্লেষণ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক সুনন্দা রায়ের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সদর দপ্তরের আইসিটি শাখা পরিচালিত সাইবার প্যাট্রলিং চলাকালে ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইটে সিডিএমএস ও সিডিএমএস++ এর বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারীর ‘ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড’ ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে।
সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এসব তথ্য বাইরে চলে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাধ্যমে দেওয়ার (শেয়ার) সুযোগ রয়েছে, যা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীদের জ্ঞাত ও অজ্ঞাতসারে এবং অবহেলার কারণে লগইন তথ্য বাইরে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
চিঠিতে সাইট দুটির তথ্য ফাঁস প্রতিরোধে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং কাউকে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ঠিক হ্যাক না। কিছু ব্যবহারকারীর আইডি ও গোপন পিন নম্বর বাইরে চলে গেছে। পরে পুলিশ সদর দপ্তর বুঝতে পেরে সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নিয়েছে। সাইটগুলো আরও সুরক্ষিত করতে কাজ চলছে।’
পুলিশের সাইবার ইউনিটগুলো বলছে, হোয়াইট ওয়েব (বৈধ) অর্থাৎ গুগল, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হলো পুরো নেট দুনিয়ার মাত্র ৫ শতাংশ। বাকি অংশকে বলা হয় ‘ডিপ ওয়েব’। এই ডিপ ওয়েবের বেশির ভাগ অংশই বেআইনি কাজের ডার্ক ওয়েব। এই বাজারে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন তথ্য বিক্রি হয়। এ কারণে পুলিশের দুটি সাইটে থাকা তথ্যও বিক্রির ঝুঁকিতে পড়েছে, যা সুযোগ হিসেবে নিতে পারে অপরাধীরা। পরবর্তী সময়ে এই ঝুঁকি এড়াতে তথ্য হালনাগাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ সদস্যের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টর ব্রাউজারের মাধ্যমেও নেট সার্ফিং করা যায়, যা করে সাইবার অপরাধীরা। এই বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহারকারীর আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) অ্যাড্রেস সেভ হয় না। ফলে একবার ‘লগ অফ’ করলে ব্যবহারকারীর পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবহারকারীদের কেউ সচেতনভাবে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে না থাকলে ক্র্যাক ভার্সন সফটওয়্যার বা লাইসেন্স ছাড়া সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে সাইট দুটি পরিচালনার সময় আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে সেগুলো তারা ডার্ক ওয়েবসাইটে বিক্রি করে থাকতে পারে। সেখান থেকে এসব আইডি নিয়ে সাইটে ঢোকা সম্ভব।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ব্যবস্থাতেই ফাঁকফোকর থাকে। যেহেতু বিষয়টি নজরে এসেছে, তাই সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে। সেখানে তথ্য সংযোজন-বিয়োজন ও বেচাকেনার সুযোগ থাকায় বিষয়টি গুরুতর হুমকিস্বরূপ বলছে পুলিশ সদর দপ্তর।
আইডি বেহাতের বিষয়টি কয়েক দিন আগে নজরে এসেছে পুলিশের। তবে কী পরিমাণ তথ্য বেহাত হয়েছে, তা নিশ্চিত নয় তারা। তারা মনে করছে, অসতর্কতা বা অবহেলার কারণে ব্যবহারকারীর আইডি ও পাসওয়ার্ড হাতিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। ওই তথ্যভান্ডার ব্যবহারকারীদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ২৫ জুনের (রোববার) মধ্যে পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের সদর দপ্তর ও বিভিন্ন বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক করেছিল হ্যাকাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, খারাপ মানসিকতা নিয়ে কেউ একবার সাইটে ঢুকতে পারলে তার নামে থাকা অপরাধের তথ্য মুছে ফেলা, সংশোধন করা বা কোনো কিছু জুড়ে দিতে পারবে, যা ভয়ংকর হতে পারে।
পুলিশ সূত্র বলেছে, পুলিশের কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার ক্রাইম ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস++) পুলিশের ডিজিটাল সব তথ্য থাকে। সিডিএমএসে আসামির তালিকা, কোন আসামির বিরুদ্ধে দেশের কোথায় কয়টা মামলা, কোন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, আসামির জবানবন্দি, মামলার অভিযোগপত্র ও রায়ের তথ্য রয়েছে। এটি ব্যবহারকারী পুলিশ সদস্যরা কাজের প্রয়োজনে তাঁদের নির্দিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই সাইটে ঢোকেন। প্রতিটি থানা ও সার্কেল অফিসে পুলিশের একজন সদস্য তথ্যগুলো আপলোড করার দায়িত্বে থাকেন। এখানে অন্তত ১০ বছরের অপরাধ ও অপরাধী-সংক্রান্ত সব তথ্য রয়েছে। বেহাত হওয়ায় এগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
সিডিএমএস++ সাইটে পুলিশের সব ইউনিটে কর্মরত সদস্যদের অবস্থান, তাঁদের কার্যক্রমের তালিকা, দৈনিক হাজিরা, দায়িত্ব বণ্টন, টহল দলের অবস্থানসহ দৈনন্দিন সার্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে ঢোকার জন্যও নির্দিষ্ট পুলিশ সদস্যদের একটি করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড রয়েছে।
তথ্য বেহাতের বিষয়টি জানাজানি হয়েছে ১৩ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের একটি চিঠিতে। পুলিশের সব কমিশনার, বিশেষ শাখা (এসবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) সব ইউনিটের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) ও রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) ওই চিঠি দেওয়া হয়। সদর দপ্তরের অপরাধ বিশ্লেষণ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক সুনন্দা রায়ের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সদর দপ্তরের আইসিটি শাখা পরিচালিত সাইবার প্যাট্রলিং চলাকালে ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইটে সিডিএমএস ও সিডিএমএস++ এর বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারীর ‘ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড’ ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে।
সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এসব তথ্য বাইরে চলে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাধ্যমে দেওয়ার (শেয়ার) সুযোগ রয়েছে, যা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীদের জ্ঞাত ও অজ্ঞাতসারে এবং অবহেলার কারণে লগইন তথ্য বাইরে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
চিঠিতে সাইট দুটির তথ্য ফাঁস প্রতিরোধে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং কাউকে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ঠিক হ্যাক না। কিছু ব্যবহারকারীর আইডি ও গোপন পিন নম্বর বাইরে চলে গেছে। পরে পুলিশ সদর দপ্তর বুঝতে পেরে সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নিয়েছে। সাইটগুলো আরও সুরক্ষিত করতে কাজ চলছে।’
পুলিশের সাইবার ইউনিটগুলো বলছে, হোয়াইট ওয়েব (বৈধ) অর্থাৎ গুগল, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হলো পুরো নেট দুনিয়ার মাত্র ৫ শতাংশ। বাকি অংশকে বলা হয় ‘ডিপ ওয়েব’। এই ডিপ ওয়েবের বেশির ভাগ অংশই বেআইনি কাজের ডার্ক ওয়েব। এই বাজারে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন তথ্য বিক্রি হয়। এ কারণে পুলিশের দুটি সাইটে থাকা তথ্যও বিক্রির ঝুঁকিতে পড়েছে, যা সুযোগ হিসেবে নিতে পারে অপরাধীরা। পরবর্তী সময়ে এই ঝুঁকি এড়াতে তথ্য হালনাগাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ সদস্যের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টর ব্রাউজারের মাধ্যমেও নেট সার্ফিং করা যায়, যা করে সাইবার অপরাধীরা। এই বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহারকারীর আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) অ্যাড্রেস সেভ হয় না। ফলে একবার ‘লগ অফ’ করলে ব্যবহারকারীর পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবহারকারীদের কেউ সচেতনভাবে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে না থাকলে ক্র্যাক ভার্সন সফটওয়্যার বা লাইসেন্স ছাড়া সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে সাইট দুটি পরিচালনার সময় আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে সেগুলো তারা ডার্ক ওয়েবসাইটে বিক্রি করে থাকতে পারে। সেখান থেকে এসব আইডি নিয়ে সাইটে ঢোকা সম্ভব।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ব্যবস্থাতেই ফাঁকফোকর থাকে। যেহেতু বিষয়টি নজরে এসেছে, তাই সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে।
২৪ জুন ২০২৩‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে।
২৪ জুন ২০২৩গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে।
২৪ জুন ২০২৩গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারও সুরক্ষিত রইল না। স্পর্শকাতর তথ্যের এই ভান্ডারে ঢোকার চাবি অর্থাৎ আইডি হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা (হ্যাকার)। রেখে দিয়েছে চোরাই তথ্য বাজারের (ডার্ক ওয়েব) একাধিক সাইটে।
২৪ জুন ২০২৩গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫