কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
জানা গেছে, ১৯৯১ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এ আর খান ১৯৯২ সালের ২৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটির উদ্বোধন করেন। জরাজীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য পরিষদ কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করলেও কাজ হয়নি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ থেকে একাধিকবার ভবনটি পরিদর্শনসহ আধুনিক ভবনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের ইচ্ছা থাকলেও প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে ভবনের জন্য বরাদ্দ দিতে পারছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনটির দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে, ছাদের বেশির ভাগ অংশই খসে পড়েছে। কোনো কোনো জায়গায় রড বেরিয়ে গেছে। ভবনের সব কটি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকাংশ কক্ষই পরিত্যক্ত, যেখানে বর্তমানে সাপ-পোকামাকড়ের বাস। জানালাগুলোও ভেঙে গেছে। বৃষ্টি শুরু হতেই হালকা বাতাসের ঝাপটায় ভেতরে পানি ঢোকে। বর্ষা মৌসুমে সম্পূর্ণ ছাদটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন স্থানে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে।
এরপরও বাধ্য হয়ে ইউনিয়নের মানুষ পরিষদের এই ভবন থেকে সেবা নিচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিবও বাধ্য হয়ে পরিষদে বসে কাজ করছেন।
পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ও আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হলেও উপজেলার কুসুমপুরা, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, কোলাগাঁও, জিরি ও আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো; এখনো পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে নিত্য দাপ্তরিক কাজ।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানিয়ে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, জরাজীর্ণ এ ভবনে বসে কাজ করতে অনেক ভয় লাগে। তারপরও বাধ্য হয়ে জনগণের প্রাত্যহিক দাপ্তরিক কাজগুলো করতে হয়। গ্রাম আদালতের নির্দিষ্ট স্থানটির মেজে দেবে যাওয়ায় নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শওকত আকবর আরও বলেন, দরজা-জানালা ও গ্রিলগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। দেয়াল ও ছাদে রং লাগিয়ে কোনোমতে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ফাটলের স্থান সিমেন্টের আস্তর দিয়ে ঢাকা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া জনগণের চাল ও বিভিন্ন পণ্য মজুত করতেও সমস্যা হয়।
কুসুমপুরা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম বলেন, ‘বর্তমানে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রতিদিন ১২ জন মেম্বার, সচিব ও গ্রাম পুলিশ কাজ করছেন। পাশাপাশি গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন বলেন, নতুন করে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য সরকার চাহিদাপত্র চেয়েছে। তিনি পটিয়ায় দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এ চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। হয়তো এ চাহিদাপত্রে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের তালিকাও থাকতে পারে। এটা না দেখে বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, ১৯৯১ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এ আর খান ১৯৯২ সালের ২৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটির উদ্বোধন করেন। জরাজীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য পরিষদ কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করলেও কাজ হয়নি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ থেকে একাধিকবার ভবনটি পরিদর্শনসহ আধুনিক ভবনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের ইচ্ছা থাকলেও প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে ভবনের জন্য বরাদ্দ দিতে পারছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনটির দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে, ছাদের বেশির ভাগ অংশই খসে পড়েছে। কোনো কোনো জায়গায় রড বেরিয়ে গেছে। ভবনের সব কটি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকাংশ কক্ষই পরিত্যক্ত, যেখানে বর্তমানে সাপ-পোকামাকড়ের বাস। জানালাগুলোও ভেঙে গেছে। বৃষ্টি শুরু হতেই হালকা বাতাসের ঝাপটায় ভেতরে পানি ঢোকে। বর্ষা মৌসুমে সম্পূর্ণ ছাদটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন স্থানে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে।
এরপরও বাধ্য হয়ে ইউনিয়নের মানুষ পরিষদের এই ভবন থেকে সেবা নিচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিবও বাধ্য হয়ে পরিষদে বসে কাজ করছেন।
পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ও আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হলেও উপজেলার কুসুমপুরা, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, কোলাগাঁও, জিরি ও আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো; এখনো পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে নিত্য দাপ্তরিক কাজ।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানিয়ে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, জরাজীর্ণ এ ভবনে বসে কাজ করতে অনেক ভয় লাগে। তারপরও বাধ্য হয়ে জনগণের প্রাত্যহিক দাপ্তরিক কাজগুলো করতে হয়। গ্রাম আদালতের নির্দিষ্ট স্থানটির মেজে দেবে যাওয়ায় নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শওকত আকবর আরও বলেন, দরজা-জানালা ও গ্রিলগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। দেয়াল ও ছাদে রং লাগিয়ে কোনোমতে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ফাটলের স্থান সিমেন্টের আস্তর দিয়ে ঢাকা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া জনগণের চাল ও বিভিন্ন পণ্য মজুত করতেও সমস্যা হয়।
কুসুমপুরা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম বলেন, ‘বর্তমানে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রতিদিন ১২ জন মেম্বার, সচিব ও গ্রাম পুলিশ কাজ করছেন। পাশাপাশি গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন বলেন, নতুন করে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য সরকার চাহিদাপত্র চেয়েছে। তিনি পটিয়ায় দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এ চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। হয়তো এ চাহিদাপত্রে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের তালিকাও থাকতে পারে। এটা না দেখে বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪