Ajker Patrika

কচুর মুখিতে লাভ, চাষ বাড়ছে মিঠাপুকুরে

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১৬: ৫২
Thumbnail image

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৬০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের কচুর মুখি চাষ করা হয়েছে। এলাকাভেদে ফসলটি বই কচু, বন্নি কচু, দুলি কচু, ছড়া কচু নামে পরিচিত।

উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া কচুর মুখি চাষের উপযোগী। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে এর বীজ বপন করতে হয়। প্রতি শতকে দুই কেজি থেকে আড়াই কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম হওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন কম হয়। তবে পচন রোগ প্রতিরোধে ছত্রাকনাশক ছিটাতে হয়।

উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের জগদানন্দপুর গ্রামের আখতার হোসেন জানান, তিনি ২০ শতক জমিতে কচুর মুখি চাষ করেছেন। এটি একটি প্রদর্শনী খেত। সরকারের দেওয়া বীজ ও সার ব্যবহার করে এর চাষ করেছেন। ২০ শতকে ৩০-৩৫ মণ কচু উৎপাদিত হবে বলে আশাবাদী তিনি।

পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ইসলামপুর বেলবাড়ি এলাকার চাষি নুরু মিয়া কচুর মুখি চাষ করেছেন। তিনি জানান, শতকে ৫০-৬০ কেজি গোবর সার, ৬০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০০ গ্রাম টিএসপি সার দিয়ে জমি চাষ করতে হয়। বীজ বপনের ছয়-সাত মাস পর গাছের পাতা হলুদ রং হলে জমি থেকে কচু তুলতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, ‘জমি তৈরির সময় গোবর ও টিএসপি সার দিতে হয়। বীজ থেকে চারা গজানোর পর ৪০-৫৫ দিনের মধ্যে একবার এবং ৮৫ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার শতকে ৬০০ গ্রাম ইউরিয়া সার দিতে হয়। কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম হওয়ায় কীটনাশকের ব্যবহার না করলেও চলে। তবে পচন রোধে ছত্রাকনাশক ছিটাতে হয়। এক বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মণ কচুর মুখি উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি বিঘায় খরচ বাদ দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ আছে।

মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন আরও জানান, চাল ও গমের ওপর চাপ কমাতে কন্দাল জাতীয় শস্য চাষে কৃষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কন্দাল জাতীয় শস্যের মধ্যে অন্যতম হলো কচুর মুখি। কারণ, এই কচু সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত