Ajker Patrika

বন্যায় ভেসে গেছে পুকুর ভেঙেছে মাছচাষিদের স্বপ্ন

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ১৫: ০৫
বন্যায় ভেসে গেছে পুকুর ভেঙেছে মাছচাষিদের স্বপ্ন

স্বপ্ন ছিল, মাছ চাষ থেকে পাওয়া আয় দিয়ে পরিবারের প্রয়োজন মেটাবেন; পাশাপাশি মাছ বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু মাছচাষিদের সেই স্বপ্নে বাদ সাধল সর্বগ্রাসী বন্যা। উজানের পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকোনার বারহাট্টায় ভেসে গেছে ৩ হাজার ৬৮৭টি পুকুরের মাছ। এর সঙ্গে সঙ্গে ভেসে গেছে উপজেলার সাত ইউনিয়নের মাছচাষিদের স্বপ্নও।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় বারহাট্টার মাছচাষিদের ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তবে পুকুর ও মৎস্য খামার মালিকদের দাবি, সব মিলিয়ে তাঁদের ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

এদিকে উজানের পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে ১২ জুন থেকে বারহাট্টায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নই বন্যাকবলিত হয়। কংস, বিশনাই ও গুমাই নদ এবং ধনাইখালী নদীর প্রবল স্রোতে রায়পুর, সিংধা, সাহতা, বাউসি ও আসমা ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতিমধ্যেই উপজেলায় ২৬৭২টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য ও কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টার ৬ হাজার ৫২৩টি পুকুরের মধ্যে ৩ হাজার ৬৮৭টি পুকুর পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। অন্যদিকে উপজেলার ২২ হেক্টর জমির আমন ধান, ২৭ হেক্টর জমির সবজি ও ২৪ হেক্টর জমির পাটখেত বন্যাকবলিত হয়েছে।

উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মাছচাষি আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি বাউসি ও আসমা ইউনিয়নের হারুলিয়া ও হরিয়াতলা ফিশারির জন্য ৩০ একর জমি ৫ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছি। প্রতি শতাংশ ৩৪০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আমার ফিশারির কাছে অনেক মানুষের ব্যক্তিগত পুকুর তলিয়ে গেছে। হারুলিয়া ও হরিয়াতলা এলাকায় কোনো পুকুর বাকি নেই। তিনি বলেন, ‘আমার প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’

বাউসি ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমাদের বাপ-চাচারা অনেক বছর ধরেই মাছ চাষ করে আসছেন। এবারের বন্যায় আমাদের প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। অথচ মাছ বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু বন্যা সেটা আর হতে দিল কই। এখন ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করব, সেটা বুঝতে পারছি না।’

আরিফুর রহমান ও মেহেদীর মতোই উপজেলার অনেক মাছচাষির স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে বন্যা।

সার্বিক বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, একে তো পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণ, তার ওপর প্রচুর স্রোত থাকায় মাছচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ দ্রুতই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত