রাশেদ নিজাম, ঢাকা
দেশে যেন নতুন একটি ধারা তৈরি হয়েছে–কোনো একটি ঘটনা আলোচিত হলে সেই একই রকম ঘটনা একটার পর একটা ঘটবে। গত কয়েক বছর এমনটা হচ্ছে। এর সর্বশেষ উদাহরণ মুন্সিগঞ্জ থেকে মোরেলগঞ্জ। আগে-পরে আরও আছে নওগাঁ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম।
ধর্মীয় কোনো একটি বিষয়কে সামনে এনে বিক্ষোভ, কোথাও কোথাও হামলা-ভাঙচুর। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরে দেখা যাচ্ছে, ধর্মীয় নয় বরং ব্যক্তিগত বিরোধ-দ্বন্দ্বের জের ধরে পরিকল্পিত ঘটনা। তারপরও বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে বলে মনে করছে পুলিশ-প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) (অপারেশনস মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) মো. হায়দার আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ কেউ ইচ্ছে করে অন্যকে ফাঁসাতেও এসব বিষয় উসকে দিচ্ছে। ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন। কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই।’ তারপরও এসব ঘটনায় সামাজিক অস্থিরতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সর্বশেষ ঘটনা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে। গত সোমবার রাতে সেখানে কৌশিক বিশ্বাস নামে এক যুবকের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগে। এ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরে জানা যাবে এর পেছনে হয়তো অন্য কিছু আছে।
যেমন মুন্সিগঞ্জের ঘটনাটি। সেখানে শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান ও ধর্মের তুলনামূলক বিষয় নিয়ে শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে দুই ছাত্রের আলোচনা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, ওই শিক্ষক ধর্মের অবমাননা করেছেন। এ নিয়ে এলাকার কিছু মানুষের বিক্ষোভের মুখে গ্রেপ্তার করা হয় শিক্ষককে। পরে তদন্তে দেখা যায়, টিউশন নিয়ে অন্য একটি স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে কয়েকজন ছাত্রের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ১৯ দিন জেল খেটে গত রোববার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হৃদয় মণ্ডল। এখন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় তাঁর পরিবার।
নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটল গত সপ্তাহে। হিজাব পরে স্কুলে আসায় ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে। তবে পরে তদন্তে জানা গেছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ দিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আমোদিনীকে ফাঁসাতে এ ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়।
এর আগে গত ১৫ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে নেকাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ। গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চবিদ্যালয়ে হিজাব পরায় এক ছাত্রীকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগের কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।
ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সবগুলোতেই অভিযুক্ত ব্যক্তি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। অভিযোগ করার সময় গুরুতর বিষয় সামনে আনা হচ্ছে কিন্তু পরে বেরিয়ে আসছে অন্য কিছু। একটানা ঘটে যাওয়া সব ধর্মীয় উসকানিমূলক ইস্যুগুলোকে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। যদিও এখনই এর পেছনে কিছু রয়েছে এমন ভাবতে নারাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল চন্দ্র রোজারিও সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোকে বড় পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য এগুলো পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। তারা পরিবেশটাকে নষ্ট করতে চাইছে।’
পাকিস্তানে অস্থিরতা চলছে, শ্রীলঙ্কা নিজেকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে। চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ম নিয়ে চলমান বিষয়গুলো ক্ষমতাসীন দলের নজরেও এসেছে। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অস্থিরতা তৈরি করার জন্য এই ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরেও আছে। দলীয়ভাবে বিষয়টি আমরাও বিবেচনায় নিয়েছি।’
তবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই ধর্মপ্রাণ। সুতরাং ধর্মের অবমাননা হলে তাদের খারাপ লাগতেই পারে। তবে কোনো মহল এই ধরনের ঘটনাকে ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং এসব ঘটনায় মধ্যে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, সেটা সরকারের এজেন্সিগুলোকে দেখতে হবে।’
দেশে যেন নতুন একটি ধারা তৈরি হয়েছে–কোনো একটি ঘটনা আলোচিত হলে সেই একই রকম ঘটনা একটার পর একটা ঘটবে। গত কয়েক বছর এমনটা হচ্ছে। এর সর্বশেষ উদাহরণ মুন্সিগঞ্জ থেকে মোরেলগঞ্জ। আগে-পরে আরও আছে নওগাঁ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম।
ধর্মীয় কোনো একটি বিষয়কে সামনে এনে বিক্ষোভ, কোথাও কোথাও হামলা-ভাঙচুর। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরে দেখা যাচ্ছে, ধর্মীয় নয় বরং ব্যক্তিগত বিরোধ-দ্বন্দ্বের জের ধরে পরিকল্পিত ঘটনা। তারপরও বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে বলে মনে করছে পুলিশ-প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) (অপারেশনস মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) মো. হায়দার আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ কেউ ইচ্ছে করে অন্যকে ফাঁসাতেও এসব বিষয় উসকে দিচ্ছে। ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন। কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই।’ তারপরও এসব ঘটনায় সামাজিক অস্থিরতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সর্বশেষ ঘটনা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে। গত সোমবার রাতে সেখানে কৌশিক বিশ্বাস নামে এক যুবকের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগে। এ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরে জানা যাবে এর পেছনে হয়তো অন্য কিছু আছে।
যেমন মুন্সিগঞ্জের ঘটনাটি। সেখানে শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান ও ধর্মের তুলনামূলক বিষয় নিয়ে শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে দুই ছাত্রের আলোচনা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, ওই শিক্ষক ধর্মের অবমাননা করেছেন। এ নিয়ে এলাকার কিছু মানুষের বিক্ষোভের মুখে গ্রেপ্তার করা হয় শিক্ষককে। পরে তদন্তে দেখা যায়, টিউশন নিয়ে অন্য একটি স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে কয়েকজন ছাত্রের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ১৯ দিন জেল খেটে গত রোববার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হৃদয় মণ্ডল। এখন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় তাঁর পরিবার।
নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটল গত সপ্তাহে। হিজাব পরে স্কুলে আসায় ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে। তবে পরে তদন্তে জানা গেছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ দিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আমোদিনীকে ফাঁসাতে এ ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়।
এর আগে গত ১৫ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে নেকাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ। গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চবিদ্যালয়ে হিজাব পরায় এক ছাত্রীকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগের কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।
ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সবগুলোতেই অভিযুক্ত ব্যক্তি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। অভিযোগ করার সময় গুরুতর বিষয় সামনে আনা হচ্ছে কিন্তু পরে বেরিয়ে আসছে অন্য কিছু। একটানা ঘটে যাওয়া সব ধর্মীয় উসকানিমূলক ইস্যুগুলোকে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। যদিও এখনই এর পেছনে কিছু রয়েছে এমন ভাবতে নারাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল চন্দ্র রোজারিও সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোকে বড় পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য এগুলো পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। তারা পরিবেশটাকে নষ্ট করতে চাইছে।’
পাকিস্তানে অস্থিরতা চলছে, শ্রীলঙ্কা নিজেকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে। চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ম নিয়ে চলমান বিষয়গুলো ক্ষমতাসীন দলের নজরেও এসেছে। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অস্থিরতা তৈরি করার জন্য এই ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরেও আছে। দলীয়ভাবে বিষয়টি আমরাও বিবেচনায় নিয়েছি।’
তবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই ধর্মপ্রাণ। সুতরাং ধর্মের অবমাননা হলে তাদের খারাপ লাগতেই পারে। তবে কোনো মহল এই ধরনের ঘটনাকে ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং এসব ঘটনায় মধ্যে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, সেটা সরকারের এজেন্সিগুলোকে দেখতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪