Ajker Patrika

এক ঘণ্টা সাঁতরে বেঁচে ফিরলেন সপরিবারে

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৫০
Thumbnail image

ডাক্তার দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সপরিবারে ঢাকা থেকে বরগুনায় ফিরছিলেন আবদুল্লাহ হাই নেছারী। অভিযান-১০ লঞ্চের পেছনের একটি স্টাফ কেবিনে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ কেবিনের বাইরে মানুষের চিৎকারে ঘুম ভাঙে তাঁর। আবদুল্লাহ হাই কেবিন থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখেন আগুনের লেলিহান শিখা। মুহূর্তের মধ্যেই যেন আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ল।

এ সময় ধোঁয়ায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে পড়ে। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে তখনো কেবিনে। আবদুল্লাহ হাই এ সময় দিশেহারা হয়ে কি করবে ভাবছিলেন। এরপরই স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে লঞ্চের পেছনে আশ্রয় নিতে চলে যান। জীবন বাঁচাতে সপরিবারে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই রাতে প্রায় এক ঘণ্টা সাঁতার কেটে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন আবদুল্লাহ হাই নেছারী। তিনি বেতাগী ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক এবং উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম।

আবদুল্লাহ হাই বলেন, ‘আনুমানিক রাত সোয়া তিনটার দিকে মানুষের চিৎকারে আমার ঘুম ভাঙে। পরিবারের জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমার স্ত্রী ও ছেলে নদীতে ঝাঁপ দিতে ভয় পাচ্ছিল। তখন আমি প্রথমে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ওদেরও ঝাঁপ দিতে বলি। নদীতে কিছুক্ষণ সাঁতার কাটার পর আমার মনে হলো, আমার স্ত্রী পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি আর ছেলে দুজনে মিলে তাঁর দুই হাত ধরে কোনোরকমে সাঁতার কাটতে থাকি।’

এরপর সুগন্ধা নদীর তীরে থাকা স্থানীয় লোকজন ভোর সোয়া পাঁচটায় তাঁদের উদ্ধার করে একটি বাড়িতে নিয়ে আশ্রয় দেন। পরে স্থানীয় লোকজন পুরোনো কাপড় এবং আগুন জ্বালিয়ে তাঁদের শরীরে তাপ দিয়ে সাহায্য করে

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি প্রায় ৬০০ যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি শহরের কাছাকাছি পৌঁছার পর সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ আগুন লাগে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত