রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সৈয়দপুরের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকে বগি ‘ঞ’। এই বগি ১৮ দিন আগে মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হলেও এখনো এর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। হঠাৎ করে এভাবে বগি কমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রেনের অপেক্ষায় দুই শতাধিক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন। কাউন্টার থেকে জানা গেল, এর মধ্যে ১৪ জনকে আসনসহ টিকিট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসন ছাড়াই টিকিট নিয়েছেন আরও ৪৭ জন। অন্যরা বিনা টিকিটেই যাত্রার অপেক্ষায়।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আসামাত্র তাতে উঠতে হুড়োহুড়ি শুরু হয় যাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত কিছু যাত্রী রেখেই ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এসব যাত্রীর অনেকে রেলওয়ে পুলিশ ও স্টেশনের স্টাফদের টাকা দিয়ে বিনা টিকিটেই ট্রেনে উঠে পড়েন। এতে করে আসন পাওয়া অন্য যাত্রীরা পড়েন বিপাকে।
ট্রেনে উঠতে না পারা খাতামধুপুর ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার নামিম আলী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য মাকে নিয়ে ঢাকায় যেতে চেয়েছিলাম। ভিড় আর যাত্রীদের হুড়োহুড়ির কারণে ট্রেনেই উঠতে পারিনি।’
রংপুরের তারাগঞ্জের বুলবুল আহমেদ নামের এক যাত্রী জানান, ঢাকায় চাকরি হয়েছে তাঁর। রোববার সকালেই যোগদান করতে হবে। সৈয়দপুর স্টেশনে এসে নীলসাগর ট্রেনের টিকিট চাইলে কাউন্টার থেকে জানানো হয় সৈয়দপুরে বগি না থাকায় আসনসহ টিকিট নেই। পরে বাধ্য হয়ে রেলের পুলিশকে টাকা দিয়ে দাঁড়িয়েই যাত্রা করতে যাচ্ছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, এতদিন ধরে এই দুর্ভোগ চললেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও বগি (কোচ) বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন কোচ বরাদ্দ না হলে সংকট দূর হবে না।
ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুর রেলস্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিলাহাটি থেকে ঢাকা পর্যন্ত মোট ১৪টি স্টেশনের মধ্যে সৈয়দপুরে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ওঠেন। তাঁদের জন্য নির্ধারিত ৭৬৬ নম্বর ‘ঞ’ বগিতে গত ২৪ অক্টোবর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তা ড্যামেজ ঘোষণা করা হয়। পরে সেটি মেরামতের জন্য সৈয়দপুরে পাঠানো হয়।
সৈয়দপুর স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মাহবুবুল হক বলেন, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ যাত্রী এই স্টেশনে টিকিট নিতে আসেন। বিপরীতে মাত্র ১৪টি আসনের টিকিট নিয়ে কাউন্টার চালু রাখা কঠিন। মাঝেমধ্যেই যাত্রীদের তোপের মুখে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, মেরামতে দেওয়া বগিটি কবে ফেরত আসবে, তার ঠিক নেই। নতুন বগি বরাদ্দ না হলে এ সমস্যা থেকেই যাবে।
নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সৈয়দপুরের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকে বগি ‘ঞ’। এই বগি ১৮ দিন আগে মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হলেও এখনো এর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। হঠাৎ করে এভাবে বগি কমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রেনের অপেক্ষায় দুই শতাধিক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন। কাউন্টার থেকে জানা গেল, এর মধ্যে ১৪ জনকে আসনসহ টিকিট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসন ছাড়াই টিকিট নিয়েছেন আরও ৪৭ জন। অন্যরা বিনা টিকিটেই যাত্রার অপেক্ষায়।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আসামাত্র তাতে উঠতে হুড়োহুড়ি শুরু হয় যাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত কিছু যাত্রী রেখেই ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এসব যাত্রীর অনেকে রেলওয়ে পুলিশ ও স্টেশনের স্টাফদের টাকা দিয়ে বিনা টিকিটেই ট্রেনে উঠে পড়েন। এতে করে আসন পাওয়া অন্য যাত্রীরা পড়েন বিপাকে।
ট্রেনে উঠতে না পারা খাতামধুপুর ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার নামিম আলী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য মাকে নিয়ে ঢাকায় যেতে চেয়েছিলাম। ভিড় আর যাত্রীদের হুড়োহুড়ির কারণে ট্রেনেই উঠতে পারিনি।’
রংপুরের তারাগঞ্জের বুলবুল আহমেদ নামের এক যাত্রী জানান, ঢাকায় চাকরি হয়েছে তাঁর। রোববার সকালেই যোগদান করতে হবে। সৈয়দপুর স্টেশনে এসে নীলসাগর ট্রেনের টিকিট চাইলে কাউন্টার থেকে জানানো হয় সৈয়দপুরে বগি না থাকায় আসনসহ টিকিট নেই। পরে বাধ্য হয়ে রেলের পুলিশকে টাকা দিয়ে দাঁড়িয়েই যাত্রা করতে যাচ্ছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, এতদিন ধরে এই দুর্ভোগ চললেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও বগি (কোচ) বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন কোচ বরাদ্দ না হলে সংকট দূর হবে না।
ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুর রেলস্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিলাহাটি থেকে ঢাকা পর্যন্ত মোট ১৪টি স্টেশনের মধ্যে সৈয়দপুরে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ওঠেন। তাঁদের জন্য নির্ধারিত ৭৬৬ নম্বর ‘ঞ’ বগিতে গত ২৪ অক্টোবর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তা ড্যামেজ ঘোষণা করা হয়। পরে সেটি মেরামতের জন্য সৈয়দপুরে পাঠানো হয়।
সৈয়দপুর স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মাহবুবুল হক বলেন, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ যাত্রী এই স্টেশনে টিকিট নিতে আসেন। বিপরীতে মাত্র ১৪টি আসনের টিকিট নিয়ে কাউন্টার চালু রাখা কঠিন। মাঝেমধ্যেই যাত্রীদের তোপের মুখে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, মেরামতে দেওয়া বগিটি কবে ফেরত আসবে, তার ঠিক নেই। নতুন বগি বরাদ্দ না হলে এ সমস্যা থেকেই যাবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪