মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
আবহাওয়ার কারণে দৃষ্টিগোচরতা (ভিজিবিলিটি) কমে গেলে বিমানবন্দরে যন্ত্রের সাহায্যে অবতরণ পদ্ধতি (আইএলএস) ব্যবহার করে উড়োজাহাজের নিরাপদ অবতরণ করাতে পারেন বৈমানিকেরা। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইএলএস থাকলেও সেটি এখনো সনাতনি ক্যাটাগরি-১-এর। আইএলএস সিস্টেমটি ক্যাটাগরি-২-এ উন্নীতকরণে ২০২২ সালে কাজ শুরু করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যখন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত হচ্ছিল, তখন তিন মাসের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিল বেবিচক। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে আবার শীত-কুয়াশার মৌসুম চলে এসেছে, এখনো চালু করা যায়নি আইএলএস-২। ঘন কুয়াশায় উড়োজাহাজ অবতরণ ব্যাহত হচ্ছে এবারও।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আইএলএস-২ প্রকল্পের আওতায় শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে বাতি বসানোসহ ইলেকট্রিক সিস্টেমের সব কাজ শেষ হয়েছে। তবে কন্ট্রোল প্যানেলটি বসানো হয়নি। এ ছাড়া ইন্টারফেসিংয়ের কিছু কাজও বাকি আছে। ফলে চলতি শীত মৌসুমেও ঘন কুয়াশার মধ্যে প্রযুক্তির সহায়তায় উড়োজাহাজ অবতরণের কাজটি হচ্ছে না।
আইএলএস-২ চালু না হওয়ায় এবারও ঘন কুয়াশায় ঢাকায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে বৈমানিকদের। ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সাত ঘণ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অচলাবস্থা দেখা দেয়। এ সময় দুটি ফ্লাইট অবতরণ করতে না পেরে কলকাতা বিমানবন্দরে চলে যায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার জন্য দুটি যাত্রীবাহী বিমান ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়। সকাল ৮টার পর থেকে ফ্লাইটগুলো ঢাকায় অবতরণ শুরু করে।
এর আগে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৮টি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে কলকাতায় অবতরণ করে। এ ছাড়া দুটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুর, একটি দিল্লি ও একটি ব্যাংককে গিয়ে নামে।
কুয়াশার কারণে ফ্লাইট অবতরণ করতে না পারায় যাত্রীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি এয়ারলাইনসগুলো পড়ছে আর্থিক ক্ষতিতে। এ অবস্থায় দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে দ্রুত আইএলএস-২ চালু করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের আইএলএস ক্যাটাগরি-২-এ উন্নতির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরে আইএলএসের কাজ এখনো শেষ হয়নি। রানওয়ের লাইট সংস্থাপনসহ ইলেকট্রিক সিস্টেমের সব কাজ শেষ হয়েছে। কিছু ইন্টারফেসিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে, যা তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযোগ করবে। এ ছাড়া কন্ট্রোল প্যানেলটি বসানো হয়নি। এ কারণে চলতি শীত মৌসুমে আইএলএস ক্যাটাগরি-২-এর পূর্ণ সুবিধা হয়তো আমরা পাব না। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে আইএলএস ক্যাটাগরি-২ অর্জন করবে শাহজালাল বিমানবন্দর। এ জন্য আমরা দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারদের তাগাদা দিচ্ছি।’
সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের আকাশ প্রায়ই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। সে সময় দৃষ্টিগোচরতা কম থাকায় রাতের বেলায় শাহজালালে উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যায় পড়তে হয় বৈমানিকদের। মাঝেমধ্যে কুয়াশা বেড়ে গেলে কখনো কখনো রাত থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত উড়োজাহাজ অবতরণ বন্ধ রাখতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এ সমস্যায় পড়তে হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময়ে শিডিউলে থাকা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোও বিলম্বিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আইএলএস চালু রাখে বিমানবন্দরগুলো।
উল্লেখ্য, আইএলএস হলো উড়োজাহাজ রানওয়েতে নিখুঁতভাবে অবতরণে সহায়তার জন্য স্থাপিত একটি পদ্ধতি, যেখানে বৈমানিকদের ভূমিতে অবতরণের জন্য উল্লম্ব ও অনুভূমিক গাইডেন্স দেওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন দুটি বেতার তরঙ্গ একযোগে ব্যবহার করা হয়।
আইএলএস মূলত ক্যাটাগরি-১, ক্যাটাগরি-২ এবং ক্যাটাগরি-৩ এই তিন প্রযুক্তির হয়। উড়োজাহাজ অবতরণ করার ন্যূনতম দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার। আইএলএস ক্যাটাগরি-২ থাকলে এ সুবিধা পান বৈমানিকেরা। তবে অনেক সময় ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ৫০ থেকে শূন্য মিটারে নেমে আসে। সে সময় উড়োজাহাজ অবতরণে প্রয়োজন হয় ক্যাটাগরি-৩-এর সুবিধা। রানওয়েতে আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ বসানো হলে শতভাগ দৃষ্টিসীমার সুযোগ পান বৈমানিকেরা।
আবহাওয়ার কারণে দৃষ্টিগোচরতা (ভিজিবিলিটি) কমে গেলে বিমানবন্দরে যন্ত্রের সাহায্যে অবতরণ পদ্ধতি (আইএলএস) ব্যবহার করে উড়োজাহাজের নিরাপদ অবতরণ করাতে পারেন বৈমানিকেরা। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইএলএস থাকলেও সেটি এখনো সনাতনি ক্যাটাগরি-১-এর। আইএলএস সিস্টেমটি ক্যাটাগরি-২-এ উন্নীতকরণে ২০২২ সালে কাজ শুরু করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যখন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত হচ্ছিল, তখন তিন মাসের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিল বেবিচক। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে আবার শীত-কুয়াশার মৌসুম চলে এসেছে, এখনো চালু করা যায়নি আইএলএস-২। ঘন কুয়াশায় উড়োজাহাজ অবতরণ ব্যাহত হচ্ছে এবারও।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আইএলএস-২ প্রকল্পের আওতায় শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে বাতি বসানোসহ ইলেকট্রিক সিস্টেমের সব কাজ শেষ হয়েছে। তবে কন্ট্রোল প্যানেলটি বসানো হয়নি। এ ছাড়া ইন্টারফেসিংয়ের কিছু কাজও বাকি আছে। ফলে চলতি শীত মৌসুমেও ঘন কুয়াশার মধ্যে প্রযুক্তির সহায়তায় উড়োজাহাজ অবতরণের কাজটি হচ্ছে না।
আইএলএস-২ চালু না হওয়ায় এবারও ঘন কুয়াশায় ঢাকায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে বৈমানিকদের। ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সাত ঘণ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অচলাবস্থা দেখা দেয়। এ সময় দুটি ফ্লাইট অবতরণ করতে না পেরে কলকাতা বিমানবন্দরে চলে যায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার জন্য দুটি যাত্রীবাহী বিমান ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়। সকাল ৮টার পর থেকে ফ্লাইটগুলো ঢাকায় অবতরণ শুরু করে।
এর আগে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৮টি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে কলকাতায় অবতরণ করে। এ ছাড়া দুটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুর, একটি দিল্লি ও একটি ব্যাংককে গিয়ে নামে।
কুয়াশার কারণে ফ্লাইট অবতরণ করতে না পারায় যাত্রীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি এয়ারলাইনসগুলো পড়ছে আর্থিক ক্ষতিতে। এ অবস্থায় দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে দ্রুত আইএলএস-২ চালু করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের আইএলএস ক্যাটাগরি-২-এ উন্নতির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরে আইএলএসের কাজ এখনো শেষ হয়নি। রানওয়ের লাইট সংস্থাপনসহ ইলেকট্রিক সিস্টেমের সব কাজ শেষ হয়েছে। কিছু ইন্টারফেসিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে, যা তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযোগ করবে। এ ছাড়া কন্ট্রোল প্যানেলটি বসানো হয়নি। এ কারণে চলতি শীত মৌসুমে আইএলএস ক্যাটাগরি-২-এর পূর্ণ সুবিধা হয়তো আমরা পাব না। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে আইএলএস ক্যাটাগরি-২ অর্জন করবে শাহজালাল বিমানবন্দর। এ জন্য আমরা দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারদের তাগাদা দিচ্ছি।’
সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের আকাশ প্রায়ই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। সে সময় দৃষ্টিগোচরতা কম থাকায় রাতের বেলায় শাহজালালে উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যায় পড়তে হয় বৈমানিকদের। মাঝেমধ্যে কুয়াশা বেড়ে গেলে কখনো কখনো রাত থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত উড়োজাহাজ অবতরণ বন্ধ রাখতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এ সমস্যায় পড়তে হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময়ে শিডিউলে থাকা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোও বিলম্বিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আইএলএস চালু রাখে বিমানবন্দরগুলো।
উল্লেখ্য, আইএলএস হলো উড়োজাহাজ রানওয়েতে নিখুঁতভাবে অবতরণে সহায়তার জন্য স্থাপিত একটি পদ্ধতি, যেখানে বৈমানিকদের ভূমিতে অবতরণের জন্য উল্লম্ব ও অনুভূমিক গাইডেন্স দেওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন দুটি বেতার তরঙ্গ একযোগে ব্যবহার করা হয়।
আইএলএস মূলত ক্যাটাগরি-১, ক্যাটাগরি-২ এবং ক্যাটাগরি-৩ এই তিন প্রযুক্তির হয়। উড়োজাহাজ অবতরণ করার ন্যূনতম দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার। আইএলএস ক্যাটাগরি-২ থাকলে এ সুবিধা পান বৈমানিকেরা। তবে অনেক সময় ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ৫০ থেকে শূন্য মিটারে নেমে আসে। সে সময় উড়োজাহাজ অবতরণে প্রয়োজন হয় ক্যাটাগরি-৩-এর সুবিধা। রানওয়েতে আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ বসানো হলে শতভাগ দৃষ্টিসীমার সুযোগ পান বৈমানিকেরা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪