সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই ব্যস্ততা বাড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা এলাকার গাছি মো. অজি উল্ল্যাহর। শীতের শুরুতেই সারা বছর অযত্নে পড়ে থাকা নিজের ও চুক্তিতে নেওয়া অর্ধশতাধিক খেজুর গাছ পরিষ্কার শুরু করেন তিনি। এরপর গাছ থেকে রস সংগ্রহ এবং বিক্রির পালা। আগামি দুই মাস তাঁর কোনো ছুটি নেই। অজি উল্ল্যাহর মতো বর্তমানে গাছ কাটা ও রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন সীতাকুণ্ডের শতাধিক গাছি। এতে বাড়তি আয় হওয়ায় গাছিদের পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে।
গাছিরা গাছ পরিষ্কারের পর বিশেষ কায়দায় বাঁশের কঞ্চির নল বসিয়ে দেন। পরবর্তীতে নলের মুখে প্লাস্টিকের বোতল বসিয়ে দেওয়া হয়। নল বেয়ে বোতলে এসে জমা হয় মিষ্টি রস। পড়ন্ত বিকেলে রসের হাঁড়ি বসানোর দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর কাক ডাকা ভোরে এসব গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর রস নিয়ে বিক্রির জন্য ছোটেন গ্রামে গ্রামে।
গাছি অজি উল্ল্যাহ জানান, বছরের অন্যান্য সময় কৃষিকাজ এবং দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে পরিবারের খরচ নির্বাহ করেন তিনি। তবে শীত মৌসুম এলেই সব কাজ বন্ধ রেখে রস সংগ্রহর লক্ষ্যে খেজুর গাছ ছোলার কাজ শুরু করেন তিনি। নিজের ও অন্যের কাছ থেকে চুক্তিতে গাছ ভাড়া নেন। গ্রামাঞ্চলে রসের চাহিদা খুব। সে তুলনায় গাছ কম বলে জানান তিনি।
অজি উল্ল্যাহ আফসোস করে বলেন, এক সময় গ্রামাঞ্চলে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। সে সময় বাজারে হাঁড়ি হিসাবে রস বিক্রি করা হতো। কিন্তু এখন গাছ কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করতে পারছেন না। তাই রসের দামও বেশি। প্রতিকেজি খেজুরের রস ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরের এ সময়ে খেজুর রস বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি টাকা উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা আয় হয় বলেও জানান তিনি।
বাড়বকুণ্ডের মধ্যম মাহামুদাবাদ (অলিনগর) এলাকার গাছি মো. লিটন বলী, খোরশেদ আলম, শাহ জাহান ও মো. ইসলাম জানান, পেশায় তাঁরা চারজনেই কৃষক। অন্যের জমিতে দিন মজুরির কাজ করে পরিবার চালান। তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন শীতকালীন এ মৌসুমি খেজুর রসের জন্য। এ সময়টা তাঁদের খুশির সময়।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভায়েরখীল এলাকার বাসিন্দা মো. রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকী বলেন, ‘চমৎকার ও সুমিষ্ট এ খেজুরের রস এখন গ্রামীণ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর শীতকাল এলেই গ্রামাঞ্চলে পিঠা, পুলি তৈরির ধুম পড়ে যায়। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে উদ্যাপিত হয় পিঠে উৎসব।’
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘শীতকালে খেজুর রসে তৈরি নানা ধরনের পিঠা, পুলি খেতে আবদার করতাম মায়ের কাছে। কিন্তু বর্তমানে ক্রমেই বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। এক সময়ের গ্রামাঞ্চলের সহজলভ্য ও জনপ্রিয় খেজুর রস বর্তমানে পাওয়া দুস্কর। গাছিকে আগে থেকে বলেও রস পাওয়া যায় না। এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে খেজুর গাছ লাগাতে হবে।’
প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই ব্যস্ততা বাড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা এলাকার গাছি মো. অজি উল্ল্যাহর। শীতের শুরুতেই সারা বছর অযত্নে পড়ে থাকা নিজের ও চুক্তিতে নেওয়া অর্ধশতাধিক খেজুর গাছ পরিষ্কার শুরু করেন তিনি। এরপর গাছ থেকে রস সংগ্রহ এবং বিক্রির পালা। আগামি দুই মাস তাঁর কোনো ছুটি নেই। অজি উল্ল্যাহর মতো বর্তমানে গাছ কাটা ও রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন সীতাকুণ্ডের শতাধিক গাছি। এতে বাড়তি আয় হওয়ায় গাছিদের পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে।
গাছিরা গাছ পরিষ্কারের পর বিশেষ কায়দায় বাঁশের কঞ্চির নল বসিয়ে দেন। পরবর্তীতে নলের মুখে প্লাস্টিকের বোতল বসিয়ে দেওয়া হয়। নল বেয়ে বোতলে এসে জমা হয় মিষ্টি রস। পড়ন্ত বিকেলে রসের হাঁড়ি বসানোর দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর কাক ডাকা ভোরে এসব গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর রস নিয়ে বিক্রির জন্য ছোটেন গ্রামে গ্রামে।
গাছি অজি উল্ল্যাহ জানান, বছরের অন্যান্য সময় কৃষিকাজ এবং দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে পরিবারের খরচ নির্বাহ করেন তিনি। তবে শীত মৌসুম এলেই সব কাজ বন্ধ রেখে রস সংগ্রহর লক্ষ্যে খেজুর গাছ ছোলার কাজ শুরু করেন তিনি। নিজের ও অন্যের কাছ থেকে চুক্তিতে গাছ ভাড়া নেন। গ্রামাঞ্চলে রসের চাহিদা খুব। সে তুলনায় গাছ কম বলে জানান তিনি।
অজি উল্ল্যাহ আফসোস করে বলেন, এক সময় গ্রামাঞ্চলে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। সে সময় বাজারে হাঁড়ি হিসাবে রস বিক্রি করা হতো। কিন্তু এখন গাছ কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করতে পারছেন না। তাই রসের দামও বেশি। প্রতিকেজি খেজুরের রস ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরের এ সময়ে খেজুর রস বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি টাকা উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা আয় হয় বলেও জানান তিনি।
বাড়বকুণ্ডের মধ্যম মাহামুদাবাদ (অলিনগর) এলাকার গাছি মো. লিটন বলী, খোরশেদ আলম, শাহ জাহান ও মো. ইসলাম জানান, পেশায় তাঁরা চারজনেই কৃষক। অন্যের জমিতে দিন মজুরির কাজ করে পরিবার চালান। তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন শীতকালীন এ মৌসুমি খেজুর রসের জন্য। এ সময়টা তাঁদের খুশির সময়।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভায়েরখীল এলাকার বাসিন্দা মো. রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকী বলেন, ‘চমৎকার ও সুমিষ্ট এ খেজুরের রস এখন গ্রামীণ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর শীতকাল এলেই গ্রামাঞ্চলে পিঠা, পুলি তৈরির ধুম পড়ে যায়। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে উদ্যাপিত হয় পিঠে উৎসব।’
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘শীতকালে খেজুর রসে তৈরি নানা ধরনের পিঠা, পুলি খেতে আবদার করতাম মায়ের কাছে। কিন্তু বর্তমানে ক্রমেই বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। এক সময়ের গ্রামাঞ্চলের সহজলভ্য ও জনপ্রিয় খেজুর রস বর্তমানে পাওয়া দুস্কর। গাছিকে আগে থেকে বলেও রস পাওয়া যায় না। এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে খেজুর গাছ লাগাতে হবে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫