চৌগাছা প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে তোলা বালু, দুটি যন্ত্র, বেশ কয়েকটি পাইপ এবং নদে নামার ফলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার তাহেরপুরে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তিস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অভিযানের খবর পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন ধরে কপোতাক্ষ নদের চৌগাছা অংশের অন্তত পাঁচটি স্থানে ২৫-৩০টি যন্ত্র বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল। এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন একজন ইউপি সদস্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বালু উত্তোলনকারীদের মোবাইলে নিষেধ করেন। তবুও বিভিন্ন স্থান থেকে বালু তুলে বিক্রি করে আসছিল অসাধু ব্যক্তিরা।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসন এক স্থানে বালু তুলতে নিষেধ করলে সেখান থেকে মেশিন সরিয়ে অন্য স্থানে নিয়ে আবারও বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা কয়েক ব্যক্তি। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে অথবা যেকোনো সময় বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি ধসে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছার হাকিমপুর ইউনিয়নের তাহেরপুরে ভৈরব নদ থেকে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি হয়ে নারায়ণপুর ও পাতিবিলা ইউনিয়ন, চৌগাছা পৌরসভা হয়ে স্বরূপদাহ, চৌগাছা সদর, ধুলিয়ানী ও পাশাপোল ইউনিয়ন হয়ে ঝিকরগাছা ও কেশবপুর উপজেলা হয়ে বয়ে গেছে এই নদ। বলা চলে উপজেলাটিকে দ্বিখণ্ডিত করেছে কপোতাক্ষ। নদের পশ্চিমে রয়েছে উপজেলার বৃহৎ তিন ইউনিয়ন নারায়ণপুর, স্বরূপদাহ এবং সুখপুকুরিয়া।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তিস্থল হাকিমপুরের তাহেরপুরে গেলে দেখা যায়, পানিগ্রাম রিসোর্টের দক্ষিণ পাশে এবং রিসোর্টের মধ্যে, তাহেরপুর শ্মশানঘাটে পাশে ১০-১২টি মেশিন বসিয়ে বালু তুলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি স্থানে মেশিন বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব বালু তুলে যেসব জমিতে রাখা হয়েছে তাঁদের জমির ভাড়ার নামে টাকা দিয়ে হাত করা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. স্বাধীন কয়েক দিন আগে বালু উত্তোলনকারীদের নিষেধ করেন। কিন্তু একদিন পরেই বালু তোলা বন্ধ রেখে তিনি বালু তোলা শুরু করে ওই চক্র। এ ছাড়া নারায়নপুরের পেটভরা, চৌগাছা পৌরসভার শ্মশানঘাট, চৌগাছা সদর ইউনিয়নের দিঘলসিংহাসহ পাঁচটি স্থানে ২৫ থেকে ৩০টি যন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি।
চৌগাছা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয় বলেন, ‘একটি পক্ষ পৌরসভার শ্মসানঘাট এলাকায় কপোতাক্ষ নদে মেশিন বসিয়ে বালু তুলছিল। আমি তাঁদের কঠোরভাবে নিষেধ করার পর সেখান থেকে বালু তোলা বন্ধ হয়। এভাবে নদ থেকে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এসব ব্যক্তিরা কীভাবে পার পেয়ে যান সেটা আমার বুঝে আসে না।’
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে তাহেরপুরে এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেশিন ও সরঞ্জামাদি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা। সেখান থেকে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত দুটি মেশিন, কয়েকটি পাইপ, নদে নামার ফলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে তোলা বালু, দুটি যন্ত্র, বেশ কয়েকটি পাইপ এবং নদে নামার ফলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার তাহেরপুরে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তিস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অভিযানের খবর পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন ধরে কপোতাক্ষ নদের চৌগাছা অংশের অন্তত পাঁচটি স্থানে ২৫-৩০টি যন্ত্র বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল। এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন একজন ইউপি সদস্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বালু উত্তোলনকারীদের মোবাইলে নিষেধ করেন। তবুও বিভিন্ন স্থান থেকে বালু তুলে বিক্রি করে আসছিল অসাধু ব্যক্তিরা।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসন এক স্থানে বালু তুলতে নিষেধ করলে সেখান থেকে মেশিন সরিয়ে অন্য স্থানে নিয়ে আবারও বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা কয়েক ব্যক্তি। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে অথবা যেকোনো সময় বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি ধসে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছার হাকিমপুর ইউনিয়নের তাহেরপুরে ভৈরব নদ থেকে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি হয়ে নারায়ণপুর ও পাতিবিলা ইউনিয়ন, চৌগাছা পৌরসভা হয়ে স্বরূপদাহ, চৌগাছা সদর, ধুলিয়ানী ও পাশাপোল ইউনিয়ন হয়ে ঝিকরগাছা ও কেশবপুর উপজেলা হয়ে বয়ে গেছে এই নদ। বলা চলে উপজেলাটিকে দ্বিখণ্ডিত করেছে কপোতাক্ষ। নদের পশ্চিমে রয়েছে উপজেলার বৃহৎ তিন ইউনিয়ন নারায়ণপুর, স্বরূপদাহ এবং সুখপুকুরিয়া।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তিস্থল হাকিমপুরের তাহেরপুরে গেলে দেখা যায়, পানিগ্রাম রিসোর্টের দক্ষিণ পাশে এবং রিসোর্টের মধ্যে, তাহেরপুর শ্মশানঘাটে পাশে ১০-১২টি মেশিন বসিয়ে বালু তুলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি স্থানে মেশিন বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব বালু তুলে যেসব জমিতে রাখা হয়েছে তাঁদের জমির ভাড়ার নামে টাকা দিয়ে হাত করা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. স্বাধীন কয়েক দিন আগে বালু উত্তোলনকারীদের নিষেধ করেন। কিন্তু একদিন পরেই বালু তোলা বন্ধ রেখে তিনি বালু তোলা শুরু করে ওই চক্র। এ ছাড়া নারায়নপুরের পেটভরা, চৌগাছা পৌরসভার শ্মশানঘাট, চৌগাছা সদর ইউনিয়নের দিঘলসিংহাসহ পাঁচটি স্থানে ২৫ থেকে ৩০টি যন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি।
চৌগাছা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয় বলেন, ‘একটি পক্ষ পৌরসভার শ্মসানঘাট এলাকায় কপোতাক্ষ নদে মেশিন বসিয়ে বালু তুলছিল। আমি তাঁদের কঠোরভাবে নিষেধ করার পর সেখান থেকে বালু তোলা বন্ধ হয়। এভাবে নদ থেকে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এসব ব্যক্তিরা কীভাবে পার পেয়ে যান সেটা আমার বুঝে আসে না।’
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে তাহেরপুরে এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেশিন ও সরঞ্জামাদি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা। সেখান থেকে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত দুটি মেশিন, কয়েকটি পাইপ, নদে নামার ফলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৫ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪