Ajker Patrika

৪০ দিন ধরে মজুরি নেই বিক্ষোভ শ্রমিকদের

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১৪: ৪৫
৪০ দিন ধরে মজুরি নেই বিক্ষোভ শ্রমিকদের

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় কাজ করা শ্রমিকেরা ৪০ দিন ধরে মজুরি পান না বলে অভিযোগ করেছেন। এসব বকেয়া মজুরির দাবিতে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। গতকাল রোববার বেলা ২টায় অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রশাসন (সম্প্রসারিত) ভবন প্রাঙ্গণে ৩০-৩৫ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক কোদাল, মাটি কাটার ঝুড়িসহ বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানান, সরকারি তালিকাভুক্ত অতিদরিদ্র শ্রমিক তাঁরা। পেটের দায়ে সরকারি কাজ করেন। ৪০ দিন ধরে কাজ করে টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কয়েক বার বলেও মজুরি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন। তাঁরা প্রাপ্য মজুরির জন্য বিক্ষোভ করেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় উপজেলার অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নে ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২২২ জন শ্রমিক ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রথম দফায় কাজ শুরু করে। কাজের পর টাকা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নতুন নিয়মে শ্রমিকের মোবাইল ব্যাংক হিসাবে এবার টাকা দেওয়া হবে। তাই, হিসাব নম্বর জটিলতায় শ্রমিকের মজুরি দেওয়ায় দেরি হচ্ছে।

শ্রমিক খসরু মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ পেটের দায়ে মাটি কাজ করি। সারা দিন কাজ করে যা পাই, তা দিয়ে সংসার চলে, সন্তানের লেখাপড়া ও চিকিৎসায় খরচ করি।’

সুজন মিয়া বলেন, ৪০ দিন টাকা না পেলে কেমনে চলি বলুন? হয়তো মজুরি দেন। না হলে মেরে ফেলুন। আর পারছি না।

শ্রমিক শাহান শাহ্ বলেন, বাজারে আগুন (দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি) পহেট (পকেট) ফাঁকা চোখে সরষে ফুল দেহি। দ্রুত আমাদের মজুরি চাই।

এদিকে ৭ দিনের মধ্যে মজুরি প্রদানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের আশ্বাসে বাড়ি ফিরেছেন শ্রমিকেরা।

অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, কর্মসূচির বিল নিয়ে কেন এমন দীর্ঘসূত্রতা তা আমার জানা নেই। শ্রমিকেরা ক্ষুধার জ্বালায় বিক্ষোভ করেছে। বিল দেওয়ার আশ্বাসে তাঁদের শান্ত করা হয়।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মানিক দেব বলেন, শ্রমিকেরা কাজ করে, টাকা না পাওয়ায় উপজেলা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে। দ্রুততম সময়ে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাসে তারা শান্ত হয়। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আলমাছ উদ্দিন বলেন, শ্রমিকদের বিল পেতে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, এবার নতুন নিয়মে মজুরির টাকা দেওয়া নিয় একটু জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে, দ্রুত তাদের হিসাব নম্বরে টাকা পৌঁছে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত