সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত তিন মাসে উপজেলাটিতে ৩৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর গতকাল সোমবার পর্যন্ত নভেম্বরের প্রথম সাত দিনেই ভর্তি হয়েছে ১১০ জন।
সব মিলিয়ে চলতি বছরের তিন মাস সাত দিনে ডেঙ্গুতে ৪৪১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে প্রকোপ বাড়লে প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচার ছাড়া কোনো কার্যক্রম নেই।
সীতাকুণ্ডে অবস্থিত সংক্রামক রোগের গবেষণার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস বা বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ থেকে আক্রান্তদের এসব তথ্য জানা গেছে। উপজেলাটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের এখানেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। সেই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হয় ১০৭ জন। তবে অক্টোবরে দ্বিগুণ বেড়ে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৪ জনে। নভেম্বর প্রথম সাত দিনে ভর্তি হয়েছে ১১০ জন। তাদের মধ্যে গতকাল ভর্তি হয় ১৫ জন। আগের দিন রোববার এসেছে ২০ জন। যদিও এই রোগীদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের বাইরের কিছু রোগী রয়েছে। তবে সীতাকুণ্ডের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুমিরা ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ নেই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের।
জানা গেছে, মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য উপজেলার সৈয়দপুর, বারৈয়ারঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া ও সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোনো ফগার মেশিন নেই। এ কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে সীতাকুণ্ড পৌরসভা, ভাটিয়ারি ও সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ফগার মেশিন থাকলেও সেগুলো চলতি বছরে মশা নিধনে ব্যবহৃত হয়নি। যদিও দু-এক দিন ব্যবহার করা হয়েছে দাবি করেছেন সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন আজিজ।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এবারই প্রথম আমাদের ইউনিয়নের রহমতপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমার ধারণা, ট্রেনে করে ডেঙ্গু মশা কুমিরা স্টেশনে এসেছে। পরে স্টেশন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ডেঙ্গু মশার কামড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ফগার মেশিন না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’
ভাটিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ফগার মেশিন থাকলেও কীটনাশক সংকটের কারণে তা ব্যবহার করতে পারছি না।’
পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, ‘বছরের শুরুতে আমাদের পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গু রোগী ছিল না। তবে চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘নির্দিষ্ট শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের।’
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, উপজেলাজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত তিন মাসে উপজেলাটিতে ৩৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর গতকাল সোমবার পর্যন্ত নভেম্বরের প্রথম সাত দিনেই ভর্তি হয়েছে ১১০ জন।
সব মিলিয়ে চলতি বছরের তিন মাস সাত দিনে ডেঙ্গুতে ৪৪১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে প্রকোপ বাড়লে প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচার ছাড়া কোনো কার্যক্রম নেই।
সীতাকুণ্ডে অবস্থিত সংক্রামক রোগের গবেষণার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস বা বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ থেকে আক্রান্তদের এসব তথ্য জানা গেছে। উপজেলাটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের এখানেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। সেই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হয় ১০৭ জন। তবে অক্টোবরে দ্বিগুণ বেড়ে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৪ জনে। নভেম্বর প্রথম সাত দিনে ভর্তি হয়েছে ১১০ জন। তাদের মধ্যে গতকাল ভর্তি হয় ১৫ জন। আগের দিন রোববার এসেছে ২০ জন। যদিও এই রোগীদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের বাইরের কিছু রোগী রয়েছে। তবে সীতাকুণ্ডের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুমিরা ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ নেই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের।
জানা গেছে, মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য উপজেলার সৈয়দপুর, বারৈয়ারঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া ও সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোনো ফগার মেশিন নেই। এ কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে সীতাকুণ্ড পৌরসভা, ভাটিয়ারি ও সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ফগার মেশিন থাকলেও সেগুলো চলতি বছরে মশা নিধনে ব্যবহৃত হয়নি। যদিও দু-এক দিন ব্যবহার করা হয়েছে দাবি করেছেন সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন আজিজ।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এবারই প্রথম আমাদের ইউনিয়নের রহমতপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমার ধারণা, ট্রেনে করে ডেঙ্গু মশা কুমিরা স্টেশনে এসেছে। পরে স্টেশন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ডেঙ্গু মশার কামড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ফগার মেশিন না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’
ভাটিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ফগার মেশিন থাকলেও কীটনাশক সংকটের কারণে তা ব্যবহার করতে পারছি না।’
পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, ‘বছরের শুরুতে আমাদের পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গু রোগী ছিল না। তবে চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘নির্দিষ্ট শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের।’
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, উপজেলাজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫