Ajker Patrika

এক পাশে তার সড়ক, আরেক পাশে খাল

মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১৪: ৪৮
Thumbnail image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকাষায় বিজিবির টহল আর কৃষকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করা হলেও এর সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়নি সাত বছরেও। ফলে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে মাসুদপুর এলাকার মানুষদের। কালভার্টটি নির্মাণের পর একদিনও ব্যবহার করতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় খালের ওপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ করতে খরচ হয় ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৪১৭ টাকা। সংযোগ সড়ক না থাকায় এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে কালভার্টটি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, সাহাপাড়া, তারাপুর, ঠুঠাপাড়া, মুন্সিপাড়াসহ আরও কয়েকটি মহল্লার কৃষকেরা কালভার্টটির ওপারে কয়েক হাজার বিঘায় ধানসহ অন্য মৌসুমি ফসল চাষাবাদ করেন। এ ছাড়া কৃষি জমির পাশেই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিজিবির টহলের সুবিধার্থে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে একপাশে কাঁচা রাস্তা থাকলেও, আরেক পাশে রয়েছে খাল। ফলে যে কাজের জন্য কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কালভার্টের ওপরে এখন জ্বালানির জন্য গোবর শুকাচ্ছেন গৃহিণীরা।

মুন্সিপাড়া এলাকার আব্দুল মাবুদ বলেন, সারা বছর খালটিতে পানি থাকে। গ্রীষ্মকালে কিছু সময়ের জন্য পানির প্রবাহের মাত্রা কম হয়। এ সময়ে ধানসহ আরও মৌসুমি ফসল উৎপাদন করা হয়। কৃষকদের ফসল বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া পাশেই আছে মাসুদপুর বিওপি। সীমান্তে টহলকে জোরদার করতে এ কালভার্টের দরকার অনেক।

ঠুঠাপাড়া এলাকার মুরসালিন নামের এক কৃষক বলেন, মাসুদপুর বিজিবি ক্যাম্পের পাশে খালের ওপর দিয়ে যে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি একটি ভালো উদ্যোগ ছিল। খুব কম সময়ে জমিতে কৃষকেরা যাতায়াত করতে পারতেন। এ ছাড়াও সীমান্তে চোরাচালান রুখতে টহলও দিতে পারত বিজিবি। কিন্তু এখন একপাশে কাঁচা সড়কের সংযোগ থাকলেও আরেক পাশে খাল আছে।

মুরসালিন আরও বলেন, পাশেই একটা কাঁচা রাস্তা আছে। ওই রাস্তা দিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে ফসল ঘরে তোলেন কৃষক। এ কালভার্টের অপর পাশে যদি মাটি ভরাট করে সংযোগ দেওয়া হয়, এতে এলাকার কয়েক হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।

মনাকষা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সমির উদ্দিন বলেন, এখন আর এ রাস্তা দিয়ে কৃষকেরা ফসল নিয়ে যাতায়াত করেন না। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে তাঁরা ফসল বাড়িতে আনেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, জটিলতার কারণে রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। তবে পানি শুকিয়ে গেলে শিগগিরই রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত