শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে। এবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা বাতিল করা হয়েছে। ওয়ার্ড বিভাজনে জটিলতা রয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে গত ২ ডিসেম্বর তা বাতিল করা হয়। অথচ ওয়ার্ড বিভাজন কাজ শেষ করে গত বছর ১০ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
নির্বাচনের তফসিল বাতিল করায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়ন পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। নদীর উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে ইউনিয়নের মানুষ বসবাস করেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পদ্মার ভাঙন ছিল। তাতে মানুষের বসত বাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়।
ইউপির সীমানা ও ওয়ার্ড বিভাজন জটিলতা থাকায় ২০১১ সালের পর আর ওই ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ওয়ার্ড বিভাজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন এলাকার অবস্থান নির্ধারণ করে গত বছর ৯টি ওয়ার্ড বিভাজনের কাজ শেষ করে। এরপর ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নতুন ওয়ার্ডের গেজেট প্রকাশ করে।
অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপির নির্বাচন বন্ধ রাখার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ব্যাপারী ও লিয়াকত মল্লিক ওই ওয়ার্ড বিভাজনের ওপর আপত্তি তুলে আবেদন করেন।
গত ১৬ নভেম্বর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এমন ইউপির তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। সেখানে কুন্ডেরচর ইউপির নামও রয়েছে। ২৭ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণার পর ওই দিনই জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরেকটি চিঠি দেন নির্বাচন কমিশনে। তিনি তফসিল থেকে কুন্ডেরচর ইউপির নাম বাদ দেওয়ার কথা জানান। ওই চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন থেকে ২ ডিসেম্বর কুন্ডেরচর ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এরপরই কুন্ডেরচরের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাঁরা নির্বাচনের দাবিতে সভা-সমাবেশ করতে থাকেন। জেলা প্রশাসকের কাছেও আবেদন করেন তাঁরা।
কুন্ডেরচর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামাল মাদবর বলেন, ‘সীমানা জটিলতার কারণে ১০ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। সব জটিলতা কাটিয়ে গত বছর ওয়ার্ড বিভাজনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কারও কোনো ধরনের আপত্তি ছিল না। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলে একটি চক্র তা বন্ধ করার জন্য নানা কৌশল নেন। তফসিল হওয়ার পর আবার তা বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’
কুন্ডেরচরের ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ব্যাপারী বলেন, ‘পদ্মা নদীর দুই তীরে ইউপির অবস্থান। নতুন ওয়ার্ড বিভাজনের পর নদীর দক্ষিণ তীরে চারটি ও উত্তর তীরে পাঁচটি ওয়ার্ড হয়েছে। ওই সীমানা নির্ধারণ অনেকে মানছেন না। চেয়ারম্যান হিসেবে এটা দেখার দায়িত্বও আমার রয়েছে। তাই আবেদন করেছি।’
কুন্ডেরচরের বাসিন্দা ও হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার আল আজাদ বলেন, ‘এলাকার মানুষ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ। যেহেতু সীমানা জটিলতা নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই, গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তাই সব শ্রেণির মানুষের দাবি নির্বাচন হোক।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, ‘একজন সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ার্ড বিভাজন চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তাঁরা একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন। ওই কারণে তফসিল হওয়ার পরও নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন।’
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান জানান, কুন্ডেরচর ইউপির নির্বাচনের তফসিল হওয়ার পরে কেন তা বাতিল হয়েছে তা নির্বাচন কর্মকর্তা বলতে পারবেন। এই মুহূর্তে সীমানা জটিলতার কোনো সমস্যার কারণে নির্বাচন আটকে থাকার কথা নয়। ইউএনও ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার একটি প্রতিবেদন এ দপ্তরে জমা হয়েছে। তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে। এবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা বাতিল করা হয়েছে। ওয়ার্ড বিভাজনে জটিলতা রয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে গত ২ ডিসেম্বর তা বাতিল করা হয়। অথচ ওয়ার্ড বিভাজন কাজ শেষ করে গত বছর ১০ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
নির্বাচনের তফসিল বাতিল করায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়ন পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। নদীর উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে ইউনিয়নের মানুষ বসবাস করেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পদ্মার ভাঙন ছিল। তাতে মানুষের বসত বাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়।
ইউপির সীমানা ও ওয়ার্ড বিভাজন জটিলতা থাকায় ২০১১ সালের পর আর ওই ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ওয়ার্ড বিভাজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন এলাকার অবস্থান নির্ধারণ করে গত বছর ৯টি ওয়ার্ড বিভাজনের কাজ শেষ করে। এরপর ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নতুন ওয়ার্ডের গেজেট প্রকাশ করে।
অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপির নির্বাচন বন্ধ রাখার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ব্যাপারী ও লিয়াকত মল্লিক ওই ওয়ার্ড বিভাজনের ওপর আপত্তি তুলে আবেদন করেন।
গত ১৬ নভেম্বর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এমন ইউপির তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। সেখানে কুন্ডেরচর ইউপির নামও রয়েছে। ২৭ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণার পর ওই দিনই জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরেকটি চিঠি দেন নির্বাচন কমিশনে। তিনি তফসিল থেকে কুন্ডেরচর ইউপির নাম বাদ দেওয়ার কথা জানান। ওই চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন থেকে ২ ডিসেম্বর কুন্ডেরচর ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এরপরই কুন্ডেরচরের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাঁরা নির্বাচনের দাবিতে সভা-সমাবেশ করতে থাকেন। জেলা প্রশাসকের কাছেও আবেদন করেন তাঁরা।
কুন্ডেরচর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামাল মাদবর বলেন, ‘সীমানা জটিলতার কারণে ১০ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। সব জটিলতা কাটিয়ে গত বছর ওয়ার্ড বিভাজনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কারও কোনো ধরনের আপত্তি ছিল না। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলে একটি চক্র তা বন্ধ করার জন্য নানা কৌশল নেন। তফসিল হওয়ার পর আবার তা বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’
কুন্ডেরচরের ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ব্যাপারী বলেন, ‘পদ্মা নদীর দুই তীরে ইউপির অবস্থান। নতুন ওয়ার্ড বিভাজনের পর নদীর দক্ষিণ তীরে চারটি ও উত্তর তীরে পাঁচটি ওয়ার্ড হয়েছে। ওই সীমানা নির্ধারণ অনেকে মানছেন না। চেয়ারম্যান হিসেবে এটা দেখার দায়িত্বও আমার রয়েছে। তাই আবেদন করেছি।’
কুন্ডেরচরের বাসিন্দা ও হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার আল আজাদ বলেন, ‘এলাকার মানুষ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ। যেহেতু সীমানা জটিলতা নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই, গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তাই সব শ্রেণির মানুষের দাবি নির্বাচন হোক।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, ‘একজন সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ার্ড বিভাজন চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তাঁরা একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন। ওই কারণে তফসিল হওয়ার পরও নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন।’
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান জানান, কুন্ডেরচর ইউপির নির্বাচনের তফসিল হওয়ার পরে কেন তা বাতিল হয়েছে তা নির্বাচন কর্মকর্তা বলতে পারবেন। এই মুহূর্তে সীমানা জটিলতার কোনো সমস্যার কারণে নির্বাচন আটকে থাকার কথা নয়। ইউএনও ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার একটি প্রতিবেদন এ দপ্তরে জমা হয়েছে। তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪