খায়রুল বাসার নির্ঝর
১৯৮৭ সালে আমি মহারাজজির কাছে কত্থক শিখতে যাই । এর আগে উনার সঙ্গে আমার একবার দেখা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। আমরা নাচ নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে শিবলী (নৃত্যশিল্পী শিবলী মুহম্মদ) ভাইও ছিলেন। তিনি মহারাজজির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। তাঁকে বললাম, আমিও যাব দেখা করতে।
তাঁর কাছে যখন গেলাম, ওখানে বসন্ত পঞ্চমীর পূজা হচ্ছিল। গুরু বসে থাকেন। আর শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর নতুন করে তাঁদের ঘুঙুর পূজা করে নেয়। সবাই ঘুঙুর জমা দিচ্ছেন। মহারাজকে সালাম করে বসছেন। এসব দেখে ভাবলাম, এত সুন্দর শেখার একটা পরিবেশ হতে পারে! আমার চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়ে লারকি কিউ রো রাহি হ্যায়?’ শিবলী বললেন, ‘মহারাজজি, ও খুব ভালো নাচে। আপনাকে দেখে আর এই পরিবেশ দেখে নিশ্চয়ই ওর খুব ভালো লাগছে।’ মহারাজজি তখন আমাকে বললেন, ‘আমিই তোমাকে শেখাব।’
এরপর আমি ১৯৮৭ সালে স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে গেলাম। ভর্তি হলাম ভারতীয় কলাকেন্দ্রে। মহারাজজি শেখান দিল্লি কত্থক কেন্দ্রে। কিন্তু ওখানে সরাসরি ভর্তি হওয়ার সুযোগ ছিল না। অগত্যা, ভারতীয় কলাকেন্দ্রে দুই বছর শেখার পর, দিল্লি কত্থক কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে সরাসরি তৃতীয় বর্ষে ভর্তি হলাম। মহারাজজি আমাকে পেয়ে মহাখুশি।
বিভিন্ন দেশ থেকে যে ছেলেমেয়েরা আসে, ওরা তো কত্থকের সঙ্গে তেমন পরিচিত না। আর আমি ছোটবেলা থেকেই কত্থক নাচি। ভালো একটা স্টুডেন্ট পেলে যাঁরা শেখান তাঁদেরও ভালো লাগে। তাই আমাকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি হয়েছিলেন। আমিও অসম্ভব চর্চা করা একজন মানুষ। উনি যা শেখাতেন, আমি চর্চা করে হান্ড্রেড পারসেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করতাম।
উনাকে গুরু হিসেবে পাওয়া, আমার সবচেয়ে মধুর স্মৃতি। তাঁর তালিম দেওয়ার যে টেকনিক, কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখানোর যে কৌশল, মনে হচ্ছে এখনো সামনাসামনি দেখতে পাচ্ছি। এত সহজভাবে, সুন্দরভাবে বোঝাতেন!
মহারাজজি খুব সহজ-সাধারণ মানুষ ছিলেন। সামান্য আহার করতেন। দুটো আটার রুটি, একটু সবজি, সালাদ—খুব মেনে চলতেন। স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন তিনি।
তাঁর সঙ্গে আমার প্রায়ই যোগাযোগ হতো। উনি আমাকে ভিডিও কল দিতেন। আমিও কোনো প্রোগ্রাম থাকলে জিজ্ঞেস করে নিতাম, মহারাজজি এটা কীভাবে করব। এটা আমাকে একটু দেখিয়ে দেন, বুঝিয়ে দেন। কয়েক দিন আগেও ফোন করেছেন আমাকে। উনার ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে অন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করছে, সেটা তিনি জানতে চাচ্ছিলেন। আমি আমার শিক্ষার্থীদের নাচ পাঠালাম। সেগুলো দেখে তিনি খুব খুশি হলেন, তাঁর শেখানো নাচ নতুন প্রজন্মের মধ্যে এভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন!
মহারাজজি চলে গেছেন—এটা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। খবরটা শোনার পর থেকে শকড হয়ে আছি। এমন ভালোবাসার ছায়া আমরা সবাই হারিয়ে ফেললাম! ভাবতেই পারছি না!
একনজরে বিরজু মহারাজ
১৯৮৭ সালে আমি মহারাজজির কাছে কত্থক শিখতে যাই । এর আগে উনার সঙ্গে আমার একবার দেখা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। আমরা নাচ নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে শিবলী (নৃত্যশিল্পী শিবলী মুহম্মদ) ভাইও ছিলেন। তিনি মহারাজজির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। তাঁকে বললাম, আমিও যাব দেখা করতে।
তাঁর কাছে যখন গেলাম, ওখানে বসন্ত পঞ্চমীর পূজা হচ্ছিল। গুরু বসে থাকেন। আর শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর নতুন করে তাঁদের ঘুঙুর পূজা করে নেয়। সবাই ঘুঙুর জমা দিচ্ছেন। মহারাজকে সালাম করে বসছেন। এসব দেখে ভাবলাম, এত সুন্দর শেখার একটা পরিবেশ হতে পারে! আমার চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়ে লারকি কিউ রো রাহি হ্যায়?’ শিবলী বললেন, ‘মহারাজজি, ও খুব ভালো নাচে। আপনাকে দেখে আর এই পরিবেশ দেখে নিশ্চয়ই ওর খুব ভালো লাগছে।’ মহারাজজি তখন আমাকে বললেন, ‘আমিই তোমাকে শেখাব।’
এরপর আমি ১৯৮৭ সালে স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে গেলাম। ভর্তি হলাম ভারতীয় কলাকেন্দ্রে। মহারাজজি শেখান দিল্লি কত্থক কেন্দ্রে। কিন্তু ওখানে সরাসরি ভর্তি হওয়ার সুযোগ ছিল না। অগত্যা, ভারতীয় কলাকেন্দ্রে দুই বছর শেখার পর, দিল্লি কত্থক কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে সরাসরি তৃতীয় বর্ষে ভর্তি হলাম। মহারাজজি আমাকে পেয়ে মহাখুশি।
বিভিন্ন দেশ থেকে যে ছেলেমেয়েরা আসে, ওরা তো কত্থকের সঙ্গে তেমন পরিচিত না। আর আমি ছোটবেলা থেকেই কত্থক নাচি। ভালো একটা স্টুডেন্ট পেলে যাঁরা শেখান তাঁদেরও ভালো লাগে। তাই আমাকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি হয়েছিলেন। আমিও অসম্ভব চর্চা করা একজন মানুষ। উনি যা শেখাতেন, আমি চর্চা করে হান্ড্রেড পারসেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করতাম।
উনাকে গুরু হিসেবে পাওয়া, আমার সবচেয়ে মধুর স্মৃতি। তাঁর তালিম দেওয়ার যে টেকনিক, কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখানোর যে কৌশল, মনে হচ্ছে এখনো সামনাসামনি দেখতে পাচ্ছি। এত সহজভাবে, সুন্দরভাবে বোঝাতেন!
মহারাজজি খুব সহজ-সাধারণ মানুষ ছিলেন। সামান্য আহার করতেন। দুটো আটার রুটি, একটু সবজি, সালাদ—খুব মেনে চলতেন। স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন তিনি।
তাঁর সঙ্গে আমার প্রায়ই যোগাযোগ হতো। উনি আমাকে ভিডিও কল দিতেন। আমিও কোনো প্রোগ্রাম থাকলে জিজ্ঞেস করে নিতাম, মহারাজজি এটা কীভাবে করব। এটা আমাকে একটু দেখিয়ে দেন, বুঝিয়ে দেন। কয়েক দিন আগেও ফোন করেছেন আমাকে। উনার ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে অন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করছে, সেটা তিনি জানতে চাচ্ছিলেন। আমি আমার শিক্ষার্থীদের নাচ পাঠালাম। সেগুলো দেখে তিনি খুব খুশি হলেন, তাঁর শেখানো নাচ নতুন প্রজন্মের মধ্যে এভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন!
মহারাজজি চলে গেছেন—এটা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। খবরটা শোনার পর থেকে শকড হয়ে আছি। এমন ভালোবাসার ছায়া আমরা সবাই হারিয়ে ফেললাম! ভাবতেই পারছি না!
একনজরে বিরজু মহারাজ
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪