কয়রা প্রতিনিধি
‘ঘূর্ণিঝড় আইলা, আম্পান ও ইয়াসে বাঁধ ভাঙনের ফলে ঘরবাড়ি সহায়-সম্বল সব হারিয়ে ফেলেছি। তবুও স্থায়ী বেড়িবাঁধের বিল পাস হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে নতুন করে বাঁচার আশা দেখছি।’
গত মঙ্গলবার একনেকে কয়রায় পুরোনো বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তির কথা জানান উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতীরঘেরী গ্রামের গণেশ গাইন।
গত মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে
উপকূলীয় খুলনার কয়রায় পুরোনো বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১ হাজার ১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেন। প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় আশার আলো দেখছেন কয়রায় নদীভাঙনে নিঃস্ব হওয়া মানুষেরা।
খুলনার কয়রা উপজেলার ১৪/১ নম্বর পোল্ডারে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে ৩১.৭৫০ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ও পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পুরো ব্যয় বহন করবে সরকার।
প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উপকূলীয় কয়রার সর্বস্তরের মানুষ। উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন উপকূলবাসী।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ কয়রার মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। দীর্ঘদিন আমরা কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি থেকে শুরু করে মানববন্ধন, গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে চলেছি একটি মজবুত বেড়িবাঁধের জন্য। কয়রার সাধারণ মানুষের দাবিকে পূরণ করতেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জনমনে স্বস্তি নেই। কারণ আমরা দেখেছি বিগত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রায় বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার টাকারও বেশি। অথচ সেসবে বাঁধ সংস্কারের নামে জোড়াতালি আর লুটপাটই হয়েছে বেশি।’
ইমতিয়াজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘নদী শাসন ছাড়া শুধু বাঁধ নির্মাণ হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেটি আবারও নদীতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই নদী শাসনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া বাঁধের সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্লুইসগেট গেটের ব্যবস্থা থাকাও জরুরি।’
সাতক্ষীরা ডিভিশন-২ এর সেকশন অফিসার মশিউল আবদিন জানান, বেড়িবাঁধ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ। পুরোনো কিছু ব্লকের সংস্কার, কিছু ব্লক নতুনভাবে নির্মাণ, ও বাঁধে ব্লক ডাম্পিং প্রক্রিয়া। ২০২২ সালের শুরুতে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। যা ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে।
‘ঘূর্ণিঝড় আইলা, আম্পান ও ইয়াসে বাঁধ ভাঙনের ফলে ঘরবাড়ি সহায়-সম্বল সব হারিয়ে ফেলেছি। তবুও স্থায়ী বেড়িবাঁধের বিল পাস হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে নতুন করে বাঁচার আশা দেখছি।’
গত মঙ্গলবার একনেকে কয়রায় পুরোনো বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তির কথা জানান উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতীরঘেরী গ্রামের গণেশ গাইন।
গত মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে
উপকূলীয় খুলনার কয়রায় পুরোনো বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১ হাজার ১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেন। প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় আশার আলো দেখছেন কয়রায় নদীভাঙনে নিঃস্ব হওয়া মানুষেরা।
খুলনার কয়রা উপজেলার ১৪/১ নম্বর পোল্ডারে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে ৩১.৭৫০ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ও পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পুরো ব্যয় বহন করবে সরকার।
প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উপকূলীয় কয়রার সর্বস্তরের মানুষ। উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন উপকূলবাসী।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ কয়রার মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। দীর্ঘদিন আমরা কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি থেকে শুরু করে মানববন্ধন, গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে চলেছি একটি মজবুত বেড়িবাঁধের জন্য। কয়রার সাধারণ মানুষের দাবিকে পূরণ করতেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জনমনে স্বস্তি নেই। কারণ আমরা দেখেছি বিগত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রায় বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার টাকারও বেশি। অথচ সেসবে বাঁধ সংস্কারের নামে জোড়াতালি আর লুটপাটই হয়েছে বেশি।’
ইমতিয়াজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘নদী শাসন ছাড়া শুধু বাঁধ নির্মাণ হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেটি আবারও নদীতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই নদী শাসনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া বাঁধের সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্লুইসগেট গেটের ব্যবস্থা থাকাও জরুরি।’
সাতক্ষীরা ডিভিশন-২ এর সেকশন অফিসার মশিউল আবদিন জানান, বেড়িবাঁধ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ। পুরোনো কিছু ব্লকের সংস্কার, কিছু ব্লক নতুনভাবে নির্মাণ, ও বাঁধে ব্লক ডাম্পিং প্রক্রিয়া। ২০২২ সালের শুরুতে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। যা ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪