Ajker Patrika

ভোজ্যতেলের সরবরাহ এখনো অস্বাভাবিক, দামও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১১: ৩২
Thumbnail image

ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় গতকাল রোববার অনেক জায়গায় তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-র বাজার তদারকিতে বিষয়টি উঠে এসেছে।

টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়। আর সরকার নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৯৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৮২ টাকায়। যা দুই দিন আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। অথচ সরকার-নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৮০ টাকা। তবে পাম তেল আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় বাজারে তা সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার দোহারের কার্তিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান গত শনিবার ফ্রেশ ব্র্যান্ডের তেল এক লিটার সয়াবিন ২০০ টাকায় কেনেন। অথচ বোতলের গায়ে দাম লেখা রয়েছে ১৬০ টাকা। তিনি বলেন, বোতলের গায়ে ১৬০ টাকা লেখা থাকলেও দোকানি ২০০ টাকার কমে বিক্রি করবেন না। একান্ত বাধ্য হয়েই তিনি ২০০ টাকায় তা কিনেছেন।

এদিকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে পাইকারি ও কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল পর্যন্ত তেল সরবরাহ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স মাহমুদ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান বলেন, তাদের বাজারে সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানি অর্ডার নেওয়া শুরু করেছে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। রাজধানীর সেগুনবাগিচা, নিউমার্কেট, আজিমপুর, লালবাগ, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।

ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীরা বলছেন, তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঈদের পর। বোতলজাত তেল প্যাকিং করতে অনেক লোকবলের প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (বিএওএল)-এর অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা দিদার মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার কারখানা খোলা হয়েছে। গতকাল থেকে প্যাকেজিংয়ের কাজ শুরু হয়। আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে ভোজ্যতেলের বড় একটি অংশ মজুত থাকত। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাজার ওঠানামা করত। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর পর পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা মিলারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এখন বাজারে দাম কম-বেশি হওয়া মূলত মিলারদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত