Ajker Patrika

জমি বাড়ি সড়ক গিলছে নদী

রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর 
আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১০: ৫৮
Thumbnail image

জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াগাং ও সবুড়ী নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে রাস্তা, ঘরবাড়ি ও জমি। বাউরভাগ মল্লিফৌদ, কাটাখাল ও লামনীগ্রামের গ্রামীণ রাস্তা, শতাধিক বাড় ও কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। কাটাখাল রাস্তার দেড় কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে পৈতৃক বসতভিটা ছেড়ে পরিবার নিয়ে অন্য স্থানে চলে যাচ্ছেন অনেকেই। তাঁরা নদী ভাঙনের হাত থেকে গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে নদীতে ব্লক স্থাপনের দাবি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাংসদ ইমরান আহমদ জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা, তিনি শিগগির নদী ভাঙনের কবল থেকে মানুষের বসতবাড়ি, জমি ও রাস্তা রক্ষায় এগিয়ে আসবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকারিয়া, হাবিবুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল আলী, আলী আকবর, আব্দুস শুক্কুর, ফখরুল ইসলাম, গাড়িচালক বিলাল আহমদ বলেন, নয়াগাং ও সবুড়ী নদীর ভাঙনে কাটাখাল গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নদীতে চলে গেছে। এ ছাড়া বসতবাড়ি, ফসলের জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হতে অনেক বাকি। যে ভাবে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে তাতে বর্ষা মৌসুম শেষ হতে হতে রাস্তার আরও অনেক অংশ নদীর পেটে চলে যাবে।

জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মোয়াখাই, লামনীগ্রাম, বাউরভাগ কাটাখাল গ্রামীণ রাস্তার মাটি ভরাটসহ সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া নদী ভাঙনের শিকার প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সংস্কার করা সম্ভব নয়। এ জন্য উপজেলা, জেলা ও মন্ত্রী মহোদয়ের সহায়তা জরুরি প্রয়োজন।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, পানি নামার পর পর বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তা মেরামত ও সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নদী ভাঙনের ফলে বাউরভাগ কান্দি, মল্লিফৌদ, কাটাখাল, মোয়খাই ও লামনীগ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষা করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত