নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর বজলুল করিম গ্রামের বাসিন্দা মিলাদ উদ্দিন। কয়েক বছর আগেও তিনি বাড়ির পাশের জমিতে ধান চাষ করতেন। কিন্তু তাতে সংসার চলত না। ২০১৯ সালে সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় ওই জমিগুলোতে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে সবজি, ফলদ ও বনজ গাছের চারা উৎপাদন শুরু করেন। তাতে ভাগ্য বদলাতে থাকে মিলাদের। শুরু থেকে মাত্র ৩০টি ট্রেতে চারা রোপণ শুরু করলেও বর্তমানে ১ হাজারের বেশি ট্রে রয়েছে তাঁর নার্সারিতে।
মাটি থেকে ট্রেতে চারা উৎপাদন সহজ, কম খরচ ও ফলন বেশি হওয়ায় বর্তমানে উপজেলার অন্য কৃষকদেরও এই পদ্ধতিতে আগ্রহ বাড়ছে। তা ছাড়া এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, নোয়াখালীর চরাঞ্চলের জমিগুলোতে বন্যা, লবণাক্ততা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যথাসময়ে মৌসুমভিত্তিক চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া মানসম্পন্ন ফসলের বীজ ও চারা অপ্রতুল হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় চরের লবণাক্ত জমিতে কোকোডাস্ট ব্যবহার করে প্লাস্টিকের ট্রেতে গুণগত মানসম্পন্ন টমেটো, বেগুন, মরিচ, শসা, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, শিম, বেগুন, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপিসহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজি, ফলদ ও বনজ চারা উৎপাদন করে অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে।
এই পদ্ধতিতে অধিক ফলনের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এখানে উৎপাদিত চারার অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বেশি এবং মৃত্যুর হারও অনেক কম। প্রতি শতাংশ জমিতে চারা উৎপাদনে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর তা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকায়।
এ ছাড়া কোকোডাস্টে চারা উৎপাদনে বীজতলায় সময় কম লাগে। মাটির তৈরি বীজতলার চেয়ে কোকোডাস্টে রোগজীবাণুমুক্ত, সুস্থ চারা উৎপাদন হয়। সাধারণ চারার তুলনায় এই চারায় ফলন বেশি হওয়ায় সাধারণ চাষিদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে, স্থানীয় বাজারেও এর চাহিদা অনেক বেশি।
কৃষক মিলাদ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম দিকে চারা বিক্রি কম হলেও বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার ও যাঁরা চারা নিয়ে উপকার পেয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমে প্রচারের কারণে চারা বিক্রি অনেক বেড়েছে। প্রতি মৌসুমে আমার এই নার্সারি থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়।’
অপর এক কৃষক মো. হোসেন বলেন, ‘প্লাস্টিক ট্রে পদ্ধতি আমাদের জেলার জন্য নতুন। মিলাদ উদ্দিন ও কৃষি কর্মকর্তা শিবব্রত ভৌমিকের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে আমরা চারা উৎপাদন শুরু করেছি। বর্তমানে বাজারে এই চারার চাহিদা প্রচুর।’
সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা শিবব্রত ভৌমিক বলেন, সর্বাধুনিক ক্লাইমেট চেঞ্জ টেকনোলজি পিকেএসএফএর কৃষি ইউনিট দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উপকারভোগীদের মধ্যে গত আট বছর যাবৎ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে। এ জেলায় প্রচুর পরিমাণে নারিকেল উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু যুগ যুগ ধরে নারিকেলের খোসা অনেকেই জ্বালানির কাজে ব্যবহার করত বা ফেলে দিত। বর্তমানে কোকোডাস্ট পদ্ধতির কারণে নারকেলের অব্যবহৃত খোসাগুলো চারা উৎপাদনে জৈব সারের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এতে কৃষকদের খরচ কমেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহীদুল হক বলেন, ‘মাটিতে চারা উৎপাদনের চেয়ে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের ট্রেতে চারা উৎপাদনে খরচ কম। উন্নতমানের চারা ও বাজারে চাহিদা থাকায় বর্তমানে সুবর্ণচরের ১৫-২০ জন কৃষক এই চারা উৎপাদন করছেন। এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের জন্য চরের কৃষকদের আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর বজলুল করিম গ্রামের বাসিন্দা মিলাদ উদ্দিন। কয়েক বছর আগেও তিনি বাড়ির পাশের জমিতে ধান চাষ করতেন। কিন্তু তাতে সংসার চলত না। ২০১৯ সালে সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় ওই জমিগুলোতে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে সবজি, ফলদ ও বনজ গাছের চারা উৎপাদন শুরু করেন। তাতে ভাগ্য বদলাতে থাকে মিলাদের। শুরু থেকে মাত্র ৩০টি ট্রেতে চারা রোপণ শুরু করলেও বর্তমানে ১ হাজারের বেশি ট্রে রয়েছে তাঁর নার্সারিতে।
মাটি থেকে ট্রেতে চারা উৎপাদন সহজ, কম খরচ ও ফলন বেশি হওয়ায় বর্তমানে উপজেলার অন্য কৃষকদেরও এই পদ্ধতিতে আগ্রহ বাড়ছে। তা ছাড়া এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, নোয়াখালীর চরাঞ্চলের জমিগুলোতে বন্যা, লবণাক্ততা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যথাসময়ে মৌসুমভিত্তিক চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া মানসম্পন্ন ফসলের বীজ ও চারা অপ্রতুল হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় চরের লবণাক্ত জমিতে কোকোডাস্ট ব্যবহার করে প্লাস্টিকের ট্রেতে গুণগত মানসম্পন্ন টমেটো, বেগুন, মরিচ, শসা, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, শিম, বেগুন, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপিসহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজি, ফলদ ও বনজ চারা উৎপাদন করে অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে।
এই পদ্ধতিতে অধিক ফলনের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এখানে উৎপাদিত চারার অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বেশি এবং মৃত্যুর হারও অনেক কম। প্রতি শতাংশ জমিতে চারা উৎপাদনে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর তা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকায়।
এ ছাড়া কোকোডাস্টে চারা উৎপাদনে বীজতলায় সময় কম লাগে। মাটির তৈরি বীজতলার চেয়ে কোকোডাস্টে রোগজীবাণুমুক্ত, সুস্থ চারা উৎপাদন হয়। সাধারণ চারার তুলনায় এই চারায় ফলন বেশি হওয়ায় সাধারণ চাষিদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে, স্থানীয় বাজারেও এর চাহিদা অনেক বেশি।
কৃষক মিলাদ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম দিকে চারা বিক্রি কম হলেও বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার ও যাঁরা চারা নিয়ে উপকার পেয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমে প্রচারের কারণে চারা বিক্রি অনেক বেড়েছে। প্রতি মৌসুমে আমার এই নার্সারি থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়।’
অপর এক কৃষক মো. হোসেন বলেন, ‘প্লাস্টিক ট্রে পদ্ধতি আমাদের জেলার জন্য নতুন। মিলাদ উদ্দিন ও কৃষি কর্মকর্তা শিবব্রত ভৌমিকের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে আমরা চারা উৎপাদন শুরু করেছি। বর্তমানে বাজারে এই চারার চাহিদা প্রচুর।’
সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা শিবব্রত ভৌমিক বলেন, সর্বাধুনিক ক্লাইমেট চেঞ্জ টেকনোলজি পিকেএসএফএর কৃষি ইউনিট দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উপকারভোগীদের মধ্যে গত আট বছর যাবৎ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে। এ জেলায় প্রচুর পরিমাণে নারিকেল উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু যুগ যুগ ধরে নারিকেলের খোসা অনেকেই জ্বালানির কাজে ব্যবহার করত বা ফেলে দিত। বর্তমানে কোকোডাস্ট পদ্ধতির কারণে নারকেলের অব্যবহৃত খোসাগুলো চারা উৎপাদনে জৈব সারের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এতে কৃষকদের খরচ কমেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহীদুল হক বলেন, ‘মাটিতে চারা উৎপাদনের চেয়ে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের ট্রেতে চারা উৎপাদনে খরচ কম। উন্নতমানের চারা ও বাজারে চাহিদা থাকায় বর্তমানে সুবর্ণচরের ১৫-২০ জন কৃষক এই চারা উৎপাদন করছেন। এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের জন্য চরের কৃষকদের আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪