Ajker Patrika

বিক্রেতা খুশি, অখুশি ক্রেতা

আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৫৩
বিক্রেতা খুশি, অখুশি ক্রেতা

দিনাজপুরে রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। এবারের বেশি বিক্রি হচ্ছে পুষ্পা শাড়ি, থ্রি-পিস ও পাঞ্জাবি। যদিও বাড়তি দামে ক্রেতাদের অসন্তোষ রয়েছে, তারপরও বেচাকেনায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, জেলার অবস্থাসম্পন্ন ক্রেতারা শহরের বাহাদুর বাজারের আব্দুর রহিম সুপার মার্কেট, জাবেদ সুপার মার্কেট, গণেশতলার গুলশান মার্কেট, লুৎফুন্নেসা টাওয়ার ও মালদহপট্টির বিপণিবিতানগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে ঢাকার বিভিন্ন সুপারশপের আউটলেটগুলোতে। তবে মধ্যবিত্ত ও আর কম আয়ের মানুষের ভরসা জেলরোডের কারাগারের দেয়ালঘেঁষে রেইনবো সুপার মার্কেট ও রাস্তার ওপর গড়ে ওঠা অস্থায়ী ফুটপাতের দোকান।

গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের গণেশতলার রেইনবো সুপার মার্কেট ও লিলির মোড় ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান ঘুরে দেখা যায়, শহর ছাড়াও বিরল, কাহারোল, চিরিরবন্দর, খানসামাসহ বিভিন্ন উপজেলার খেটে খাওয়া ও অল্প আয়ের মানুষ কেনাকাটার জন্য এসব দোকানে ভিড় করছেন। এখানে একটু কম দামে পাওয়ার আশায় এসেছেন মধ্যবিত্তরাও।

মোটামুটি বেচাকেনা হলেও আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, এবার কাপড়ের দাম বেশি। বেশি দামে কেনা, তাই খুব একটা লাভ হচ্ছে না। ঈদের তো আর বেশি বাকি নেই। এখন কাপড় আটকে রাখলেই লস। জেলরোডের এসব দোকানে সর্বনিম্ন দেড় শ থেকে সর্বোচ্চ দেড় হাজারে জামাকাপড় বিক্রি হচ্ছে।

শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান। ফেরি করে কাপড় বিক্রি তাঁর পেশা। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের জেলরোডে রেইনবো সুপার মার্কেটে নিজের দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। কয়েক দোকান ঘুরে তিনি বলেন, ‘এবারে কাপড়ের দাম বেশি। দুর্মূল্যের বাজারে এত টাকা খরচ করা সম্ভব নয়।’ সবখানেই দাম বেশি, কী করবেন জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘নিজেই দরজির কাজ জানি, দেখি না হলে শেষ ভরসা নিজেই কাপড় কিনে বানিয়ে নেব।’

রেইনবো সুপার মার্কেটের স্বাদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে দামে কাপড় কিনে এনেছি, ক্রেতারা সে দাম বলছেন না। মার্কেটগুলোতে যে কাপড় ৩ হাজারে বিক্রি হচ্ছে, তা আমরা দেড় হাজারেও বিক্রি করতে পারছি না। ঈদের তো আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এখন সামান্য লাভ হলেই দিয়ে দিচ্ছি।’

জেলরোডের ফুটপাতে কাপড়ের পসরা সাজিয়েছেন খুদে দোকানি নাহিদ। তিনি জানান, ১ লাখ টাকার কাপড় কিনে দোকান দিয়েছেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত কোনো বিক্রি হয়নি।’

পাশেই জুতার পসরা সাজিয়েছেন বাবু হোসেন। তিনি জানান, দুবারে মোট ২ লাখ টাকার মাল নিয়ে দোকান দিয়েছেন। গত ১৫ দিনে ২৫ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। মানুষের হাতে টাকা নেই। যদিওবা একটু কাপড়-চোপড় কিনছেন, জুতা দেখছেন, দামও শুনছেন, তারপর বলছেন থাক এবার পুরোনো জুতা দিয়েই চালিয়ে নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত