দাউদকান্দি প্রতিনিধি
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সড়ক পাকা করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটির কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে চরমাহমুদ্দি হয়ে লালপুর পর্যন্ত রাস্তা পাকা করার কাজে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে জনপ্রতিনিধ ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে রাস্তা পাকাকরণের এ কাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের (সিবিসি) আওতায় ৯১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার গৌরীপুর ইউপি কার্যালয় থেকে চরমাহমুদ্দি হয়ে লালপুর সড়কের ১ হাজার ১০০ মিটার এবং ৮৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয়ে দৈয়াপাড়া-চরমাহমুদ্দি (নীলকুঠি) ১ হাজার মিটার সড়কের উন্নয়নকাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঈশান এন্টারপ্রাইজ। প্রায় এক মাস ধরে সড়কে খোয়া বিছানোর কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তায় পিকেট ইটের খোয়া ব্যবহারের পরিবর্তে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করলেও, ঠিকাদারের লোকজন আমলে নিচ্ছেন না।
চরমাহমুদ্দি গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ফজলুসহ কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাটি খারাপ। এ কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। রাস্তাটির বরাদ্দ পেতে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। আমরা গ্রামবাসী মিলে এই টাকার জোগান দিয়েছি। রাস্তা পাকা হওয়ার খবরে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা ক্ষুব্ধ। কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি পাকা করার কাজে সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু আমাদের কোনো কথাই শুনছে না তারা।’
গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান নোমান মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার যে পরিমাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করছেন, তা দেশের কোথাও কোনো কাজে ব্যবহার করা হয় বলে আমার জানা নেই। আমাদের উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার বা দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী কী করেন, কী দেখে কাজ চলমান রেখেছেন তা জানি না। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা না থাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি খারাপ মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মালামাল ফেরতও পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঈশান এন্টারপ্রাইজের মালিক গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেন খন্দকার বলেছেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে ওই রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে গত রোববার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সড়ক পাকা করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটির কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে চরমাহমুদ্দি হয়ে লালপুর পর্যন্ত রাস্তা পাকা করার কাজে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে জনপ্রতিনিধ ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে রাস্তা পাকাকরণের এ কাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের (সিবিসি) আওতায় ৯১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার গৌরীপুর ইউপি কার্যালয় থেকে চরমাহমুদ্দি হয়ে লালপুর সড়কের ১ হাজার ১০০ মিটার এবং ৮৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয়ে দৈয়াপাড়া-চরমাহমুদ্দি (নীলকুঠি) ১ হাজার মিটার সড়কের উন্নয়নকাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঈশান এন্টারপ্রাইজ। প্রায় এক মাস ধরে সড়কে খোয়া বিছানোর কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তায় পিকেট ইটের খোয়া ব্যবহারের পরিবর্তে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করলেও, ঠিকাদারের লোকজন আমলে নিচ্ছেন না।
চরমাহমুদ্দি গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ফজলুসহ কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাটি খারাপ। এ কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। রাস্তাটির বরাদ্দ পেতে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। আমরা গ্রামবাসী মিলে এই টাকার জোগান দিয়েছি। রাস্তা পাকা হওয়ার খবরে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা ক্ষুব্ধ। কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি পাকা করার কাজে সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু আমাদের কোনো কথাই শুনছে না তারা।’
গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান নোমান মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার যে পরিমাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করছেন, তা দেশের কোথাও কোনো কাজে ব্যবহার করা হয় বলে আমার জানা নেই। আমাদের উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার বা দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী কী করেন, কী দেখে কাজ চলমান রেখেছেন তা জানি না। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা না থাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি খারাপ মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মালামাল ফেরতও পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঈশান এন্টারপ্রাইজের মালিক গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেন খন্দকার বলেছেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে ওই রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে গত রোববার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪