তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
জুন মাস নাকি ডিসেম্বর, পদ্মা সেতু কবে চালু হবে তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয়। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯৮ ভাগ। আর প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৯৩ শতাংশের বেশি। জুনেই যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে সেতুর কাজ চলছে পুরোদমে। চলছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রস্তুতিও। ফলে নির্ধারিত সময়েই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত বাস্তবে রূপ নেবে বলে আশার সঞ্চার হয়েছে।
ইতিমধ্যে মূল সেতুর ওপরে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। পুরোপুরি শেষ হয়েছে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজও। জুনের মধ্যেই সেতুর সব কাজ শেষ করার লক্ষ্যের কথা সরকারকে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সেতু চালুর আগেই চূড়ান্ত হচ্ছে টোলের হার। পদ্মা সেতুর প্রস্তাবিত টোলের সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
নির্ধারিত সময়েই পদ্মা সেতু চালুর কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী মাসের শেষ দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদ্বোধনের সামারি (সারাংশ) পাঠাব। তিনি জুন মাসের যে দিন সময় দেবেন, সেই দিনই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে।’
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর প্রায় ৯৮ ভাগ কাজ শেষ। প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৯২ শতাংশ। সেতুর দুই পাশে প্রস্তুত টোল প্লাজাও। যদিও টোল আদায়ের সরঞ্জাম বসানোর কাজ বাকি।
এদিকে পদ্মা সেতুর টোল আদায় ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে পাঁচ বছরের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে সেতু বিভাগ। এই কাজ পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন (কেইসি) ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। পাঁচ বছরে তাদের দিতে হবে ৬৯৩ কোটি টাকা।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সেতুর ভায়াডাক্টে কার্পেটিংয়ের কাজ, সেতুর সড়কে সাইন মার্কিং, রোডমার্কিং ও সাইড সিগন্যালের কাজ বাকি আছে। সেতুতে যুক্ত গ্যাস পাইপলাইন ও ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের কাজও শেষ হয়নি। বাকি আছে মূল সেতুতে আলোকসজ্জার জন্য বসানো ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের তার লাগানোর কাজও।
এসব কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে জানতে চাইলে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারকে ইতিমধ্যে আমরা জানিয়েছি আগামী জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর সব কাজ শেষ করতে পারব। মে মাসের মধ্যেই কার্পেটিংয়ের বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। বিদেশ থেকে যেসব মালামাল আসতে বাকি আছে, সেগুলো দ্রুত আনতে বিকল্প হিসেবে আকাশপথ ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সেতু উদ্বোধনের আগেই টোল আদায়ের যাবতীয় কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, ‘৩০ জুনের মধ্যে সেতু খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতুর কাজ কয়েক বছর এগোয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর থেমে থাকা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১২ সালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করে। ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই চলছে সেতু নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞ।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জুন মাস নাকি ডিসেম্বর, পদ্মা সেতু কবে চালু হবে তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয়। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯৮ ভাগ। আর প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৯৩ শতাংশের বেশি। জুনেই যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে সেতুর কাজ চলছে পুরোদমে। চলছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রস্তুতিও। ফলে নির্ধারিত সময়েই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত বাস্তবে রূপ নেবে বলে আশার সঞ্চার হয়েছে।
ইতিমধ্যে মূল সেতুর ওপরে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। পুরোপুরি শেষ হয়েছে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজও। জুনের মধ্যেই সেতুর সব কাজ শেষ করার লক্ষ্যের কথা সরকারকে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সেতু চালুর আগেই চূড়ান্ত হচ্ছে টোলের হার। পদ্মা সেতুর প্রস্তাবিত টোলের সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
নির্ধারিত সময়েই পদ্মা সেতু চালুর কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী মাসের শেষ দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদ্বোধনের সামারি (সারাংশ) পাঠাব। তিনি জুন মাসের যে দিন সময় দেবেন, সেই দিনই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে।’
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর প্রায় ৯৮ ভাগ কাজ শেষ। প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৯২ শতাংশ। সেতুর দুই পাশে প্রস্তুত টোল প্লাজাও। যদিও টোল আদায়ের সরঞ্জাম বসানোর কাজ বাকি।
এদিকে পদ্মা সেতুর টোল আদায় ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে পাঁচ বছরের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে সেতু বিভাগ। এই কাজ পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন (কেইসি) ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। পাঁচ বছরে তাদের দিতে হবে ৬৯৩ কোটি টাকা।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সেতুর ভায়াডাক্টে কার্পেটিংয়ের কাজ, সেতুর সড়কে সাইন মার্কিং, রোডমার্কিং ও সাইড সিগন্যালের কাজ বাকি আছে। সেতুতে যুক্ত গ্যাস পাইপলাইন ও ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের কাজও শেষ হয়নি। বাকি আছে মূল সেতুতে আলোকসজ্জার জন্য বসানো ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের তার লাগানোর কাজও।
এসব কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে জানতে চাইলে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারকে ইতিমধ্যে আমরা জানিয়েছি আগামী জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর সব কাজ শেষ করতে পারব। মে মাসের মধ্যেই কার্পেটিংয়ের বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। বিদেশ থেকে যেসব মালামাল আসতে বাকি আছে, সেগুলো দ্রুত আনতে বিকল্প হিসেবে আকাশপথ ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সেতু উদ্বোধনের আগেই টোল আদায়ের যাবতীয় কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, ‘৩০ জুনের মধ্যে সেতু খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতুর কাজ কয়েক বছর এগোয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর থেমে থাকা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১২ সালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করে। ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই চলছে সেতু নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞ।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪