Ajker Patrika

বায়ুদূষণে ঢাকায় গড় আয়ু কমেছে সাড়ে ৭ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১২: ০৯
বায়ুদূষণে ঢাকায় গড় আয়ু কমেছে সাড়ে ৭ বছর

বায়ুদূষণে দেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় ৫ বছর ৪ মাস। ঢাকায় কমেছে প্রায় ৭ বছর ৭ মাস। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-সহ সমমনা ৯টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে গতকাল শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘ধুলাদূষণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যু—ধুলাদূষণ রোধে চাই কার্যকর পদক্ষেপ’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি করেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২ বছর ৬ মাস। লাইফ ইনডেক্সের গবেষণামতে, ১৯৯৮ সালে বায়ুদূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছিল প্রায় ২ বছর ৮ মাস, ২০১৯ সালে সেটি ৫ বছর ৪ মাসে দাঁড়িয়েছে। গবেষণা বলছে, দেশের প্রতিটি জেলায় বায়ুদূষণের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী অন্তত ৩ গুণ বেশি। দূষিত বাতাসে কঠিন ও তরল পদার্থ উড়ে বেড়ায়, যার মধ্যে রয়েছে কাচ, ধোঁয়া বা ধুলা; যেগুলোকে ‘বস্তুকণা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ধুলা দূষণকারীদের শাস্তিসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। পবার সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সম্পাদক এম এ ওয়াহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের তৈয়ব আলী, পুরান ঢাকার নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের হাসিবুল হক পুনম, পরিষ্কার ঢাকা-এর সমন্বয়ক শাজাহান, মৃত্তিকার ব্যবস্থাপক খাদিজা খাতুন, পবার সদস্য কবি কামরুজ্জামান ভুঁইয়া, আলোকিত বন্ধু সংঘের সভাপতি মো. রনি, গ্রিনফোর্সের ইসমাইল রাকিব প্রমুখ।

মানববন্ধনে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত বায়ুর শহর। ধুলার কারণে এই দূষণের মাত্রা এখন আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ আসলে এক অবিশ্বাস্য বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে বাস করছে। নতুন নতুন অবকাঠামোর নামে প্রতিনিয়ত খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে নগরের বিভিন্ন স্থানে। ফলে ধুলা হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধুলাদূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। আমাদের দেশের, বিশেষ করে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ ইটভাটা, কলকারখানা, নির্মাণকাজ এবং যানবাহনের ধোঁয়া।

মানববন্ধন থেকে ১০টি সুপারিশ করা হয়। ধুলা সৃষ্টি করে এমন কোনো সামগ্রী, যেমন: বালু, মাটি, ইট বা পাথর বহনের সময় সঠিকভাবে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা নেওয়া; যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণের সময় নির্মাণসামগ্রী ফুটপাত বা রাস্তায় না রাখা; নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার পর আবর্জনা দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নেওয়া; সব আবর্জনা যথাযথ স্থানে ফেলা; সিটি করপোরেশন কর্তৃক আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিবহনের সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে যানবাহন থেকে আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে না পড়ে; রাস্তাঘাট ও ফুটপাত নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মেরামত করা; ইট প্রস্তুতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কম সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার করা; ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনসমূহ বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্টদের ওপর অর্পিত আইনানুগ দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা; উন্নয়ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষকে ধুলাদূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা প্রদান; নির্দেশনা অমান্যকারী কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে জরিমানা করা; ধুলাদূষণ বন্ধে নগরে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো; সেই সঙ্গে ধুলাদূষণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার ও বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম এবং সচেতন মহলের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত