জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী
শুষ্ক মৌসুম, নগরের বিভিন্ন রাস্তায় উড়ছে ধুলাবালি। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নিয়ম করে সকাল-বিকেল রাস্তায় পানি ছিটান অনেকে। অথচ জুরাইনের হাজী রজ্জব আলী সরদার বা মেডিকেল রোডের চিত্র ভিন্ন। পয়োনিষ্কাশনে ত্রুটি থাকায় বৃষ্টি না থাকলেও সড়কটিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েও রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। তাঁদের দাবি, রাস্তাটি অতি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করা হোক।
কদমতলী থানার ঢাকা-মাওয়া সড়কের পূর্বদিকে অবস্থিত এই রাস্তাটি এলাকাবাসীর কাছে মেডিকেল রোড হিসেবেই বেশি পরিচিত। প্রায় দুই কিলোমিটার এই রাস্তার দুপাশে রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর, দোকানপাট, মিল-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা ও একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল। এটিই স্থানীয়দের চলাচলের অন্যতম পথ। রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, প্রাইভেট কার ও ট্রাকসহ নানা যানবাহন চলে এখান দিয়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির ইট-সুরকি উঠে জায়গায় জায়গায় ছোটবড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেসব গর্তে জমা হয়ে থাকে ময়লা-নোংরা পানি। বর্ষা মৌসুমে এ অবস্থা আরও প্রকট হয় বলেই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব বলেন, ‘এখন তো বৃষ্টি হয় না। তারপরও রাস্তায় কালো রঙের পানি জমে থাকে। দুর্গন্ধে এখান দিয়ে হাঁটা যায় না। সারা বছরই দুর্ভোগ আমাদের। পয়োনালায় ত্রুটি থাকায় এমন অবস্থা হচ্ছে।’ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।
রাস্তার একদিকে ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানি। অন্যদিকে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। এসব বাড়ির টয়লেটের বর্জ্য রাস্তার পানিতেই মিশে যাচ্ছে। তা ছাড়া ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে এ রাস্তায়। রিকশাচালক মাসুম বলেন, ‘সারা বছরের মতো শুষ্ক মৌসুমেও এ রাস্তায় পানি জমে থাকে। ঝুঁকি থাকলেও জীবিকার তাগিদে আমরা রিকশা নিয়ে বের হই। ভাঙা রাস্তার রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করুক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বিগত কয়েক বছরের বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তারা। এরপরও রাস্তাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতায় তারা বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে এসব নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এ ব্যাপার স্থানীয় সমাজসেবক শাহ উল্লাহ বলেন, ‘আমরা এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রকে বলেছি। তিনি যত দ্রুত সম্ভব ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি, এবার সমস্যার সমাধান হবে।’
স্থানীয় ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন বলেন, ‘খুব দ্রুত এই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।’ ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘জলাবদ্ধতার সমস্যাটি স্থায়ীভাবে সমাধানের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে ডিএসসিসির সঙ্গে কথা বলেছি।
শুষ্ক মৌসুম, নগরের বিভিন্ন রাস্তায় উড়ছে ধুলাবালি। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নিয়ম করে সকাল-বিকেল রাস্তায় পানি ছিটান অনেকে। অথচ জুরাইনের হাজী রজ্জব আলী সরদার বা মেডিকেল রোডের চিত্র ভিন্ন। পয়োনিষ্কাশনে ত্রুটি থাকায় বৃষ্টি না থাকলেও সড়কটিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েও রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। তাঁদের দাবি, রাস্তাটি অতি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করা হোক।
কদমতলী থানার ঢাকা-মাওয়া সড়কের পূর্বদিকে অবস্থিত এই রাস্তাটি এলাকাবাসীর কাছে মেডিকেল রোড হিসেবেই বেশি পরিচিত। প্রায় দুই কিলোমিটার এই রাস্তার দুপাশে রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর, দোকানপাট, মিল-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা ও একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল। এটিই স্থানীয়দের চলাচলের অন্যতম পথ। রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, প্রাইভেট কার ও ট্রাকসহ নানা যানবাহন চলে এখান দিয়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির ইট-সুরকি উঠে জায়গায় জায়গায় ছোটবড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেসব গর্তে জমা হয়ে থাকে ময়লা-নোংরা পানি। বর্ষা মৌসুমে এ অবস্থা আরও প্রকট হয় বলেই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব বলেন, ‘এখন তো বৃষ্টি হয় না। তারপরও রাস্তায় কালো রঙের পানি জমে থাকে। দুর্গন্ধে এখান দিয়ে হাঁটা যায় না। সারা বছরই দুর্ভোগ আমাদের। পয়োনালায় ত্রুটি থাকায় এমন অবস্থা হচ্ছে।’ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।
রাস্তার একদিকে ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানি। অন্যদিকে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। এসব বাড়ির টয়লেটের বর্জ্য রাস্তার পানিতেই মিশে যাচ্ছে। তা ছাড়া ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে এ রাস্তায়। রিকশাচালক মাসুম বলেন, ‘সারা বছরের মতো শুষ্ক মৌসুমেও এ রাস্তায় পানি জমে থাকে। ঝুঁকি থাকলেও জীবিকার তাগিদে আমরা রিকশা নিয়ে বের হই। ভাঙা রাস্তার রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করুক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বিগত কয়েক বছরের বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তারা। এরপরও রাস্তাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতায় তারা বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে এসব নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এ ব্যাপার স্থানীয় সমাজসেবক শাহ উল্লাহ বলেন, ‘আমরা এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রকে বলেছি। তিনি যত দ্রুত সম্ভব ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি, এবার সমস্যার সমাধান হবে।’
স্থানীয় ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন বলেন, ‘খুব দ্রুত এই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।’ ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘জলাবদ্ধতার সমস্যাটি স্থায়ীভাবে সমাধানের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে ডিএসসিসির সঙ্গে কথা বলেছি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৯ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪