শাহীন রহমান, পাবনা
পাবনার সুজানগর, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। জেলার বাজারগুলো এখন নতুন পেঁয়াজে সয়লাব, কিন্তু হাসি নেই পেঁয়াজচাষিদের মুখে। ফলনে সন্তুষ্ট হলেও দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অভিযোগ, লাভ তো দূরের কথা, বীজ, জমির মূল্য, সার-কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে উৎপাদন খরচই উঠছে না কৃষকের। তাই বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে আসামাত্রই ব্যাপারীরা যে দাম বলছেন, তাতেই বিক্রি করে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।
পাবনার হাজিরহাট, পুষ্পপাড়াহাট, বনগ্রাম হাট, আতাইকুলা বাজার, সুজানগর হাট, সাঁথিয়া বাজার, ধুলাউড়ি হাট, বেড়ার চতুরহাট, দুবলিয়ার হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভ্যান, করিমন, অটোরিকশা, ট্রলি, মিনিট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনের পেঁয়াজ নিয়ে বাজারে আসছেন চাষিরা। তেমন ক্রেতা না থাকায় তাঁদের হতাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
এ বছর জেলায় হালি পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি পেঁয়াজ-১, কলসনগর, লালতীর কিং, হাইঃ লালতীর, হাইঃ ইস্পাহানি ও হাই মেটাল জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর গত বছর আবাদ হয়েছিল ৪৪ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সুজানগর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৫শ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। এ ছাড়া সাঁথিয়ায় ১৫ হাজার ৭০০ এবং বেড়ায় ৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমেও আমদানি করা পেঁয়াজে বাজার সয়লাব। কম দামের বিদেশি পেঁয়াজ বাজারে থাকায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কম। এবার আমদানি কিছুটা কমিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে যদি হিমাগার বা সংরক্ষণাগারে রাখে তাহলে দেশের মানুষ ও কৃষকেরাও ব্যাপক লাভবান হবে। কিন্তু বারবার এসব দাবি করেও কোনো লাভ হয়নি। পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার তৈরি করতে কোনো উদ্যোগই নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বনগ্রাম হাটে কথা হয় কৃষিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সুজানগরের ভায়না গ্রামের মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রামাণিকের সঙ্গে। তিনি এবার ২০ বিঘায় পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। দামে আশাহত হয়ে তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে কীটনাশকে ৩ হাজার টাকা, সার ও চাষ বাবদ ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। লেবার বাবদ খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আর জমি লিজ নিতে হয় ২০ হাজার টাকা দিয়ে। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার টাকার ওপরে খরচ হয়েছে। এবার বিঘাপ্রতি উৎপাদন হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ মণ। আর বাজারে ৬০০ থেকে সাড়ে ৮০০ করে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এতে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি বিঘায়।’
বেড়ার চতুরহাটে পাইকারি ক্রেতা করিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ, কিন্তু চাহিদা কম। চাহিদা কম থাকায় দাম কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এতে কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি পাইকারি ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে আছে। যেহেতু এটাই আমাদের পেশা, তাই লাভ হোক আর লোকসান হোক ব্যবসা তো করতেই হবে।’
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, এবার ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৩ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আর উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় দাম একটু নিম্নমুখী।
মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, কৃষকেরা যাতে সঠিক দাম পান এ জন্য সরকারি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করছেন, খুব শিগগির পাবনায় একটি বড় আকারের পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা সম্ভব হবে।
পাবনার সুজানগর, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। জেলার বাজারগুলো এখন নতুন পেঁয়াজে সয়লাব, কিন্তু হাসি নেই পেঁয়াজচাষিদের মুখে। ফলনে সন্তুষ্ট হলেও দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অভিযোগ, লাভ তো দূরের কথা, বীজ, জমির মূল্য, সার-কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে উৎপাদন খরচই উঠছে না কৃষকের। তাই বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে আসামাত্রই ব্যাপারীরা যে দাম বলছেন, তাতেই বিক্রি করে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।
পাবনার হাজিরহাট, পুষ্পপাড়াহাট, বনগ্রাম হাট, আতাইকুলা বাজার, সুজানগর হাট, সাঁথিয়া বাজার, ধুলাউড়ি হাট, বেড়ার চতুরহাট, দুবলিয়ার হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভ্যান, করিমন, অটোরিকশা, ট্রলি, মিনিট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনের পেঁয়াজ নিয়ে বাজারে আসছেন চাষিরা। তেমন ক্রেতা না থাকায় তাঁদের হতাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
এ বছর জেলায় হালি পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি পেঁয়াজ-১, কলসনগর, লালতীর কিং, হাইঃ লালতীর, হাইঃ ইস্পাহানি ও হাই মেটাল জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর গত বছর আবাদ হয়েছিল ৪৪ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সুজানগর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৫শ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। এ ছাড়া সাঁথিয়ায় ১৫ হাজার ৭০০ এবং বেড়ায় ৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমেও আমদানি করা পেঁয়াজে বাজার সয়লাব। কম দামের বিদেশি পেঁয়াজ বাজারে থাকায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কম। এবার আমদানি কিছুটা কমিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে যদি হিমাগার বা সংরক্ষণাগারে রাখে তাহলে দেশের মানুষ ও কৃষকেরাও ব্যাপক লাভবান হবে। কিন্তু বারবার এসব দাবি করেও কোনো লাভ হয়নি। পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার তৈরি করতে কোনো উদ্যোগই নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বনগ্রাম হাটে কথা হয় কৃষিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সুজানগরের ভায়না গ্রামের মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রামাণিকের সঙ্গে। তিনি এবার ২০ বিঘায় পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। দামে আশাহত হয়ে তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে কীটনাশকে ৩ হাজার টাকা, সার ও চাষ বাবদ ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। লেবার বাবদ খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আর জমি লিজ নিতে হয় ২০ হাজার টাকা দিয়ে। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার টাকার ওপরে খরচ হয়েছে। এবার বিঘাপ্রতি উৎপাদন হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ মণ। আর বাজারে ৬০০ থেকে সাড়ে ৮০০ করে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এতে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি বিঘায়।’
বেড়ার চতুরহাটে পাইকারি ক্রেতা করিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ, কিন্তু চাহিদা কম। চাহিদা কম থাকায় দাম কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এতে কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি পাইকারি ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে আছে। যেহেতু এটাই আমাদের পেশা, তাই লাভ হোক আর লোকসান হোক ব্যবসা তো করতেই হবে।’
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, এবার ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৩ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আর উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় দাম একটু নিম্নমুখী।
মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, কৃষকেরা যাতে সঠিক দাম পান এ জন্য সরকারি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করছেন, খুব শিগগির পাবনায় একটি বড় আকারের পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা সম্ভব হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪