Ajker Patrika

কালভার্টের মুখ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৬
কালভার্টের মুখ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্রিজ-কালভার্টের মুখ ভরাট করে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালভার্ট ও ব্রিজের সামনের অংশ ভরাট করে কেউ কেউ আবার পাকা দেয়াল দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে পানি চলাচল। এতে এলাকার শতশত একর জমিতে জোয়ার-ভাটার পানি ওঠানামা না করতে পারছে না। ফলে জমিগুলো দিনদিন উর্বরতা হারিয়ে ফেলছে।

জানা গেছে, উপজেলার বাশুরী গ্রামের কাউখালী-নৈকাঠী সড়কের ফকিরহাটের সামনে কালভার্টের মাটি কেটে বাগান তৈরি করেছেন মো. হাসান মিয়া। এতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাশুরী ফকিরবাড়ির রাস্তার মোস্তফা তালুকদারের বাড়ির সামনের ব্রিজ ভরাট করে কৃষিখামার তৈরি করা হয়েছে। কাউখালী-নৈকাঠী সড়কের বাশুরী কাজিবাড়ির সামনে কালভার্টের সামনের অংশ ভরাট করে বাগানবাড়ি নির্মাণ করার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। চিরাপাড়া ইউনিয়নের কে এম স্কুলের সামনে কালভার্ট মাটি দিয়ে ভরাট করার ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সব এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকার কৃষকদের নানাভাবে কৃষি উৎপাদনে উৎসাহিত করে। সার, বীজ, অর্থ প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের হাতে তুলে দেয়। চাষাবাদ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য মরা খালগুলো পুনঃখনন করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অথচ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্রিজ ও কালভার্টের সামনের অংশ ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ ও বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। মৌসুমের শুরুতে যখন চাষাবাদের জন্য পানির প্রয়োজন তখন প্রতিবন্ধকতার জন্য পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করতে পারে না।

স্থানীয় কৃষক ইমাম হোসেন খন্দকার বলেন, পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার কারণে কৃষকদের মৌসুমি ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ার ফলে উঁচু জায়গা পানিতে ডুবে রাস্তাঘাট ও গাছপালার ক্ষতি হয়।

বাশুরী গ্রামের মোস্তফা তালুকদার বলেন, বাঁধ প্রয়োজনে অপসারণ করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

অপরদিকে পানির চলাচলের পথ বন্ধ করে বাড়িঘর তৈরি করা কাজিবাড়ির কাজি মাসুদ ইকবাল বলেন, ‘পানি চলাচলের খালটি আমাদের মালিকানাধীন ছিল। নিজস্ব প্রয়োজনে ভরাট করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত আরা তিথি বলেন, ‘এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি; তবে বিষয়টি যখন আপনার মাধ্যমে জানাতে পারলাম তখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত