আবির হাকিম, ঢাকা
ঢাকায় এখনো হাট শুরুই হয়নি, অথচ এরই মধ্যে কোরবানির পশু কিনে রেখেছেন অনেক কোরবানিদাতা। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে নগরীর অদূরে কেরানীগঞ্জে গেলে। সেখানে গড়ে ওঠা খামারগুলো যেন একেকটা ছোট হাট। কদিন ধরে এসব খামারে চলছে কোরবানির পশুর জমজমাট বেচাকেনা।
শুধু কেরানীগঞ্জ নয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খামারগুলোতেও সমানতালে চলছে বিকিকিনি।
খামারিরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ৯০ ভাগ পশু বিক্রি হয়ে গেছে। এতে তারা যেমন বেশ খুশি, তেমনি ক্রেতারাও আছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
গতকাল কেরানীগঞ্জের অন্তত পাঁচটি খামার ঘুরে পশু কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। সেখানকার খামারিরা জানিয়েছেন, তাঁরা আট-দশ বছর ধরেই পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত। বেশির ভাগই ঢাকায় নিজস্ব খামারে পশু লালনপালন করেন।
নবাবচর এলাকায় আলম ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী হাজি শাহ আলম জানান, তিনি সারা বছর নিজস্ব খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগল পালন করে থাকেন। এবারের কোরবানির জন্য আড়াই শ গরু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে দুই শটির বেশি ইতিমধ্যে বিক্রিও হয়ে গেছে।
চারুলতা নামে একটি খামারে গরু কিনছিলেন যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আবদুল হাই। তিনি জানালেন, একজনের কাছে শুনে খামারে গরু দেখতে এসেছেন। এসেই পছন্দ হওয়াতে দুটি গরু কিনে ফেলেছেন। একটির দাম ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আরেকটি কিনেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।
হাটের বদলে খামার থেকে গরু কেনার কারণ জানতে চাইলে এই ক্রেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব সময় হাট থেকেই গরু কিনি, কিন্তু খামার থেকে কেনা অপেক্ষাকৃত স্বস্তির মনে হলো। এখানে একটা নিশ্চয়তাও পাওয়া যায়। যেমন-কিনে নেওয়া গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে সেটি আবার বদলে দেওয়ার কথা বলেছেন খামারের ব্যবস্থাপক। হাটে তো এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। আর ঈদের আগে আগে খামারি নিজেই গরু বাসায় পৌঁছে দেবেন।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে সাদেক অ্যাগ্রোর ভেতরে গিয়ে দেখা যায়। সেখানেও ক্রেতারা আসছেন প্রতিনিয়ত। গরু দেখছেন, দরদাম করছেন। পছন্দ হলে কিনেও নিচ্ছেন।
খামারটির মালিক ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকার অনেক হাটের চেয়ে এ খামারে বেশি ক্রেতা আসেন। ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের একটা পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। এখান থেকে যাঁরা একবার কোরবানির পশু কেনেন, তাঁরা আর কখনোই অন্য কোনো হাটে যান না। ক্রেতাদের কী ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখান থেকে কেউ গরু কিনলে ঈদ পর্যন্ত আমরা বিনা মূল্যে যত্ন নেই। ঈদের আগে কোনো ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই ক্রেতার বাসায় আমরা পৌঁছে দিই। প্রয়োজনে সঙ্গে আমরা এক-দুই দিনের খাবারও দিয়ে দিই।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে আল-মদিনা ক্যাটেল ফার্ম নামে খামারে গিয়েও দেখা গেছে ক্রেতাদের সমাগম। অনেকে পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে অধিকাংশই বুকিং করে রেকে যাচ্ছেন খামারেই।
ফার্মের কর্মী নাহিদ খান জানান, আমাদের এখানে চারশর মতো পশু আছে। ক্রেতারা যেহেতু কেনার পর আমাদের কাছেই রেখে যেতে পারছেন এ কারণে তারা হাট বাদ দিয়ে ফার্ম থেকে পশু কিনেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
ঢাকায় এখনো হাট শুরুই হয়নি, অথচ এরই মধ্যে কোরবানির পশু কিনে রেখেছেন অনেক কোরবানিদাতা। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে নগরীর অদূরে কেরানীগঞ্জে গেলে। সেখানে গড়ে ওঠা খামারগুলো যেন একেকটা ছোট হাট। কদিন ধরে এসব খামারে চলছে কোরবানির পশুর জমজমাট বেচাকেনা।
শুধু কেরানীগঞ্জ নয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খামারগুলোতেও সমানতালে চলছে বিকিকিনি।
খামারিরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ৯০ ভাগ পশু বিক্রি হয়ে গেছে। এতে তারা যেমন বেশ খুশি, তেমনি ক্রেতারাও আছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
গতকাল কেরানীগঞ্জের অন্তত পাঁচটি খামার ঘুরে পশু কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। সেখানকার খামারিরা জানিয়েছেন, তাঁরা আট-দশ বছর ধরেই পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত। বেশির ভাগই ঢাকায় নিজস্ব খামারে পশু লালনপালন করেন।
নবাবচর এলাকায় আলম ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী হাজি শাহ আলম জানান, তিনি সারা বছর নিজস্ব খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগল পালন করে থাকেন। এবারের কোরবানির জন্য আড়াই শ গরু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে দুই শটির বেশি ইতিমধ্যে বিক্রিও হয়ে গেছে।
চারুলতা নামে একটি খামারে গরু কিনছিলেন যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আবদুল হাই। তিনি জানালেন, একজনের কাছে শুনে খামারে গরু দেখতে এসেছেন। এসেই পছন্দ হওয়াতে দুটি গরু কিনে ফেলেছেন। একটির দাম ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আরেকটি কিনেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।
হাটের বদলে খামার থেকে গরু কেনার কারণ জানতে চাইলে এই ক্রেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব সময় হাট থেকেই গরু কিনি, কিন্তু খামার থেকে কেনা অপেক্ষাকৃত স্বস্তির মনে হলো। এখানে একটা নিশ্চয়তাও পাওয়া যায়। যেমন-কিনে নেওয়া গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে সেটি আবার বদলে দেওয়ার কথা বলেছেন খামারের ব্যবস্থাপক। হাটে তো এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। আর ঈদের আগে আগে খামারি নিজেই গরু বাসায় পৌঁছে দেবেন।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে সাদেক অ্যাগ্রোর ভেতরে গিয়ে দেখা যায়। সেখানেও ক্রেতারা আসছেন প্রতিনিয়ত। গরু দেখছেন, দরদাম করছেন। পছন্দ হলে কিনেও নিচ্ছেন।
খামারটির মালিক ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকার অনেক হাটের চেয়ে এ খামারে বেশি ক্রেতা আসেন। ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের একটা পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। এখান থেকে যাঁরা একবার কোরবানির পশু কেনেন, তাঁরা আর কখনোই অন্য কোনো হাটে যান না। ক্রেতাদের কী ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখান থেকে কেউ গরু কিনলে ঈদ পর্যন্ত আমরা বিনা মূল্যে যত্ন নেই। ঈদের আগে কোনো ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই ক্রেতার বাসায় আমরা পৌঁছে দিই। প্রয়োজনে সঙ্গে আমরা এক-দুই দিনের খাবারও দিয়ে দিই।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে আল-মদিনা ক্যাটেল ফার্ম নামে খামারে গিয়েও দেখা গেছে ক্রেতাদের সমাগম। অনেকে পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে অধিকাংশই বুকিং করে রেকে যাচ্ছেন খামারেই।
ফার্মের কর্মী নাহিদ খান জানান, আমাদের এখানে চারশর মতো পশু আছে। ক্রেতারা যেহেতু কেনার পর আমাদের কাছেই রেখে যেতে পারছেন এ কারণে তারা হাট বাদ দিয়ে ফার্ম থেকে পশু কিনেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪