Ajker Patrika

ঝোঁক রেস্তোরাঁর প্যাকেজে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
ঝোঁক রেস্তোরাঁর প্যাকেজে

সিলেটের বাসিন্দাদের ইফতারে বিফ চিকেন আখনি, ভুনা খিচুড়ি, পাতলা খিচুড়ি থাকা চাই। এ ছাড়া জিলাপি, খেজুর, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি না হলে চলে না। তবে আগে ঘরোয়া আয়োজনে অভ্যস্ত হলেও এখন দিন বদলেছে। তাঁরা এখন ঝুঁকছেন রেস্তোরাঁর ইফতারে; বিশেষ করে এ সময়ে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ঈদবাজারে বাড়ছে তত ভিড়। আর কেনাকাটা শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার সারছেন হোটেল-রেস্তোরাঁয়। তাঁদের জন্য নগরের প্রতিটি রেস্তোরাঁ সাজিয়েছে বাহারি ইফতারির প্যাকেজ।

সম্প্রতি ঘুরে দেখা গেছে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ছোট-বড় প্রায় সব হোটেল-রেস্তোরাঁর সামনে শামিয়ানা টানিয়ে নানা পদের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। চারদিকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হইহুল্লোড় আর হাঁকডাক। ইফতারের আগে আগে হোটেল-রেস্তোরাঁ একেবারে সরগরম থাকে। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতেও ইফতারি বিক্রির ধুম। এর বাইরে খেজুর, মুড়ি, ফলের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। তবে ক্রেতাদের অনেকে ইফতারসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন। বিক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের উপকরণের দাম বাড়ায় ইফতারসামগ্রীতেও এর প্রভাব পড়েছে।

জিন্দাবাজার এলাকার পানসী রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আহমদ বলেন, তাঁদের রেস্তোরাঁয় বিফ আখনি, পাতলা খিচুড়ি, বিফ নেহারি ও হালিম বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই তিন পদ ছাড়াও অন্তত ৫০ ধরনের ইফতারসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে পানসীতে। নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ইফতারসামগ্রীর দামও বেড়েছে। ফলে আলাদা ইফতারি কেনার চেয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি প্যাকেজের প্রতি। তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় ৫০০ লোকের ইফতারের ব্যবস্থা আছে। ১০টি আইটেম দিয়ে নন-এসি ২১০ টাকা, আর এসিতে ২৩০ টাকা দাম প্লেট।’ ঐতিহ্যের পাশাপাশি আধুনিকতার মিশেলেও এখন ইফতারির বাজার জমজমাট বলে মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীর।

পাঁচ ভাই রেস্তোরাঁর পরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, তাঁদের রেস্তোরাঁয় সাড়ে ৩০০ মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা রয়েছে। নন-এসিতে ১৮০ আর এসিতে ২২০ টাকা প্লেট। তবে ২২০ টাকার প্লেটে দুটি আইটেম বেশি থাকে। সব মিলিয়ে তাঁরা ৪০টি আইটেম বিক্রি করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি আখনি, পাতলা খিচুড়ি বিক্রি হয়।  

কাইয়ুম বলেন, ‘এখন রেস্তোরাঁয় ইফতার করা মানুষের সংখ্যা বেশি। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ইফতারের কাস্টমারের চাপ তত বাড়ছে। আমরা জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। তবে তাতেও আমরা খুশি। লোকজনও বেশ আনন্দের সঙ্গে ইফতার করছেন এখানে।’

জিন্দাবাজারের রাজবাড়ি রেস্তোরাঁয় ইফতার করতে এসেছেন ব্যাংকার আবুল হাসান আনু। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি কম থাকে, অফিস শেষ করে বাসায় যাননি। মা, ভাই-বোন ও পরিবারের জন্য শপিং করবেন। এ জন্য তিন বন্ধু মিলে রেস্তোরাঁয় ইফতার সেরে নিচ্ছেন। এরপর শপিং করে বাসায় ফিরবেন। যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন রাতেই গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দেবেন।  

পাঁচ ভাই রেস্তোরাঁয় ইফতার করতে এসেছেন আনোয়ারা কামরুল। তিনি বলেন, ‘স্বামী, সন্তানদের নিয়ে শপিং করতে বের হয়েছি। পরে তো ঝামেলা বেশি থাকে, এ জন্য আগেভাগে চলে আসছি। ইফতারের সময় হয়ে গেছে, এখন আর বিশ্বনাথ যেতে পারব না। তাই এখানে এলাম। রেস্তোরাঁয় হরেক রকম ইফতারি পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর মানও বেশ ভালো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিড়াল মনিবকে কেন মৃত প্রাণী ‘উপহার’ দেয়

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

বৃষ্টি অপেক্ষায় রেখেছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রত্যাহার করতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত