Ajker Patrika

ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ০৬
ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা

বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া জমিতে এবং বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি লাগিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পালন করে ভাগ্য বদলানোরও স্বপ্ন দেখছেন অনেকে।

জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদী হলহলিয়া, সোনাভরি ও জিনিজিরাম নদীর তীরবর্তী মানুষ প্রতিবছর বন্যা মোকাবিলা করে আসছেন। এবারের বন্যায় তাঁদের ধানের বীজতলা, ধানের ফসল, বাড়ির আশপাশের শাক-সবজি ও হাঁস-মুরগির ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় ঘরবাড়ি ও গবাদিপশুর খাদ্য খড়ের গাদা। এই ক্ষতি কমাতে সরকারের উন্নয়ন সংস্থার পাশাপাশি উপজেলার ৯টি গ্রামের ২৭০টি পরিবার ফ্রেন্ডশিপের এএসডি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। বন্যা পরবর্তী সময়ে তাঁরা শুরু করে বসত ভিটায় সবজি চাষ, হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পালন। এতেই পাল্টে যেতে থাকে তাঁদের জীবনমান। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে তাঁরা তা কাজে লাগাচ্ছেন।

উপজেলার পাড়ের চর এফডিএমসির সদস্য মোছা রাশেদা খাতুন, বিউটি খাতুন, স্বপনা বেগম, খায়রুন নেছা ও আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা চরাঞ্চলের মানুষ নিজেদের বসতবাড়িতে আধুনিক পদ্ধতিতে জৈব সার ব্যবহার করে ভালোমানের সবজি চাষ করে খাদ্যের চাহিদা ও পুষ্টি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। তা ছাড়া অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।’

যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী গ্রামের এনামুল হক মন্টু বলেন, ‘উন্নত জাতের ভেড়া পালনে সবাই উৎসাহিত হচ্ছে। আমি ১টি ভেড়া পালন করে ৬ মাস পরে তিনটি ভেড়ার মালিক হয়েছি। এই ভেড়া পালন করে আমি স্বাবলম্বী হব।’ একই কথা বলেন, ওই গ্রামের লাইলী বেগম, আব্দুল মান্নান, আমেনা বেগম।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের মানুষ উন্নত জাতের শাক-সবজি ও ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বন্যা পরবর্তী সময়ে তাঁরা অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত