Ajker Patrika

৫৫ মণ ওজনের টাইগারে

মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২২, ১৩: ১২
৫৫ মণ ওজনের টাইগারে

আগৈলঝাড়া উপজেলায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৫৫ মণ ওজনের ষাঁড় টাইগারকে। বিশাল আকৃতির এই গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন মালিক ৩৫ লাখ টাকা।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু মোটাতাজাকরণ চলছে উপজেলার বিভিন্ন খামারে। এসব পশুর মধ্যে অন্যতম চার বছর বয়সী বিশালাকৃতির ষাঁড় টাইগার। উচ্চতায় সাড়ে ৬ ফুট। টাইগারকে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামের শামীম সিকদারের খামারে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে চাহিদার কাছাকাছি এলেই গরুটি বিক্রি করবেন বলে জানান খামারি শামীম। তাঁর খামারে বর্তমানে ২০৬টি বিভিন্ন আকারের ছোট-বড় দেশি ষাঁড় রয়েছে। খামার থেকে নিয়মিত বিভিন্ন স্থানের লোকজন ছোট-বড় ষাঁড় কিনে নিচ্ছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা আসছেন টাইগারকে দেখতে।

শামীম সিকদার জানান, চার বছর আগে চিটাগাং সিন্ধি ও হোলস্টেইন ফ্রিজিয়ান গরুর প্রজননে জন্ম টাইগারের। তবে বিশাল আকারের ষাঁড়টি বিক্রির ব্যাপারে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন শামীম। কারণ, এত বড় গরু এই এলাকায় বিক্রি করা মুশকিল। তিনি নিজেই প্রতিদিন টাইগারের গোসল করা থেকে শুরু করে সবকিছু দেখভাল করেন। টাইগার সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খায়। বর্তমানে প্রতিদিন আড়াই কেজি গুড়, ৫ কেজি ভুসি, ২ কেজি ডালের ভুসি, ২ কেজি ধানের কুড়া, ১ কেজি ভুট্টার গুঁড়া, ২ কেজি গমের ভুসি, ৫ কেজি তিলের খৈল, ১০ কেজি চালের গুঁড়া, ঘাস এবং ২ কেজি খুদের ভাত খায়।

শামীম সিকদার আরও জানান, মহামারি করোনা বর্তমানে আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় হাট-বাজারে ষাঁড়টি বিক্রির জন্য না নিয়ে খামারেই বেচতে চান। আর বাড়িতে বসে বিক্রি করতে না পারলে কোরবানির হাটে ঢাকায় নিয়ে যেতে চান তিনি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন, ‘আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একেবারেই প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল পদ্ধতিতে অনেকেই গরু লালনপালন করেছেন বিভিন্ন খামারি। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এ ধরনের ষাঁড় বা দামি গরু সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতাদের বেশি আকৃষ্ট করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত