নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চার দিন আগে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন দিলু (৩৫)। পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গু জ্বর। প্লাটিলেট নেমে যায় ১২ হাজারে। ফলে প্রতিদিনই তাঁকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়। গতকাল শুক্রবার তিনি বললেন, দুর্বল শরীরে এই পরীক্ষাই তাঁর জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় যন্ত্রণার।
মান্ডার এই রোগী দিলু বলেন, ‘সকাল ৬টার সুমায় যাইয়াও দেহি ৫০০ মানুষ লাইনে। এই অসুস্থ সইল নিয়া লাইনে খাড়ায়া টেস্ট করানি সম্ভব না। বাধ্য হইয়া ৪০০ টাহা দিয়া বাইরে থিকা করাইতে হয়। হাসপাতালে করাইতে লাগে ১২০ টাহা। নানা খরচে চাইর দিনে ১০ হাজার টাহা শ্যাষ। পাঁচ হাজার ধার করছি।’
দিলুর পাশের ঘরের বাসিন্দা মো. শ্যামলও (২৬) ভর্তি আছেন পাশের শয্যায়। তিনিও শুরুর দিন থেকে সব পরীক্ষা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন হাসপাতালে এসে রোগীদের রক্ত নিয়ে যান। পরে রিপোর্ট দিয়ে টাকা নিয়ে যান। টাকা বেশি লাগলেও লাইনে দাঁড়াতে হয় না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আলাদা বুথে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। রাতেই রিপোর্ট দেওয়া হয়। বিষয়টি ভর্তি অনেক ডেঙ্গু রোগীই জানে না। রোগীদের না জানার এই সুযোগই নিচ্ছে কেউ কেউ।
গতকাল বিকেলে হাসপাতালের ১০ ও ১১ তলায় গিয়ে দেখা গেল, এক নারী ও এক যুবক পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ঘুরে ঘুরে রোগীদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা হাসপাতালের নন, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী। নাম প্রকাশ না করে তাঁরা জানান, হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য রোগীদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই তাঁরা এসে রক্ত নিয়ে যান, পরে রিপোর্ট দিয়ে যান।
রাজধানীতে মুগদা হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীদের চাপ সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালের ৩, ৬, ৮, ১০ ও ১১ তলায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সব শয্যা ছাড়িয়ে মেঝে ও বারান্দায়ও রোগী। গতকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৫০২ জন। তাদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১৬৪ জন। আইসিইউতে থাকা এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে। ভর্তি রোগীদের জন্য বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। এসব রোগীর রিপোর্ট রাতের মধ্যেই দিতে হয়। এগুলো অনেক রোগীই জানে না। তাই তারা ভোগান্তিতে পড়ে।’
ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এসে রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছু জানি না। বাইরে থেকে যদি কেউ আসে, তাকে রোগীরা ডেকে নিয়ে আসে। এর সঙ্গে হাসপাতালের সম্পৃক্ততা নেই। চোখে পড়লে তাদের পুলিশে দেওয়া হবে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৪৪৯ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি হয়েছে ১৮৪ জন।
চার দিন আগে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন দিলু (৩৫)। পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গু জ্বর। প্লাটিলেট নেমে যায় ১২ হাজারে। ফলে প্রতিদিনই তাঁকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়। গতকাল শুক্রবার তিনি বললেন, দুর্বল শরীরে এই পরীক্ষাই তাঁর জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় যন্ত্রণার।
মান্ডার এই রোগী দিলু বলেন, ‘সকাল ৬টার সুমায় যাইয়াও দেহি ৫০০ মানুষ লাইনে। এই অসুস্থ সইল নিয়া লাইনে খাড়ায়া টেস্ট করানি সম্ভব না। বাধ্য হইয়া ৪০০ টাহা দিয়া বাইরে থিকা করাইতে হয়। হাসপাতালে করাইতে লাগে ১২০ টাহা। নানা খরচে চাইর দিনে ১০ হাজার টাহা শ্যাষ। পাঁচ হাজার ধার করছি।’
দিলুর পাশের ঘরের বাসিন্দা মো. শ্যামলও (২৬) ভর্তি আছেন পাশের শয্যায়। তিনিও শুরুর দিন থেকে সব পরীক্ষা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন হাসপাতালে এসে রোগীদের রক্ত নিয়ে যান। পরে রিপোর্ট দিয়ে টাকা নিয়ে যান। টাকা বেশি লাগলেও লাইনে দাঁড়াতে হয় না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আলাদা বুথে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। রাতেই রিপোর্ট দেওয়া হয়। বিষয়টি ভর্তি অনেক ডেঙ্গু রোগীই জানে না। রোগীদের না জানার এই সুযোগই নিচ্ছে কেউ কেউ।
গতকাল বিকেলে হাসপাতালের ১০ ও ১১ তলায় গিয়ে দেখা গেল, এক নারী ও এক যুবক পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ঘুরে ঘুরে রোগীদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা হাসপাতালের নন, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী। নাম প্রকাশ না করে তাঁরা জানান, হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য রোগীদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই তাঁরা এসে রক্ত নিয়ে যান, পরে রিপোর্ট দিয়ে যান।
রাজধানীতে মুগদা হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীদের চাপ সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালের ৩, ৬, ৮, ১০ ও ১১ তলায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সব শয্যা ছাড়িয়ে মেঝে ও বারান্দায়ও রোগী। গতকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৫০২ জন। তাদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১৬৪ জন। আইসিইউতে থাকা এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে। ভর্তি রোগীদের জন্য বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। এসব রোগীর রিপোর্ট রাতের মধ্যেই দিতে হয়। এগুলো অনেক রোগীই জানে না। তাই তারা ভোগান্তিতে পড়ে।’
ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এসে রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছু জানি না। বাইরে থেকে যদি কেউ আসে, তাকে রোগীরা ডেকে নিয়ে আসে। এর সঙ্গে হাসপাতালের সম্পৃক্ততা নেই। চোখে পড়লে তাদের পুলিশে দেওয়া হবে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৪৪৯ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি হয়েছে ১৮৪ জন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪