মাহমুদ সোহেল, ঢাকা
ঢাকায় দূষণের সব থেকে বড় উৎস বর্জ্য। অথচ যশোর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শহর ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপন্ন করে সফলতা পেয়েছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করে রাজধানী ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
বাংলাদেশ ও রাজধানী ঢাকাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের (ইপিআইসি) এক গবেষণার ওপর আজকের পত্রিকার কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। গত ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই গবেষণায় দাবি করা হয়, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় ৫ বছর ৪ মাস। এর মধ্যে ঢাকার মানুষের কমেছে প্রায় ৭ বছর ৭ মাস।
দেশি গবেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে বর্জ্য অব্যবস্থাপনা অন্যতম। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৪টি উপায় রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ পদ্ধতিটি প্রয়োগ হচ্ছে বাংলাদেশে। ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হলে উন্নত ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নির্বাহী সহসভাপতি ডা. মো. আব্দুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে উন্নয়ন হলে পরিবেশের একটু ক্ষতি হবেই–এটা অবৈজ্ঞানিক কথা। সারা পৃথিবী উন্নয়ন করছে পরিবেশকে আমলে নিয়ে। বাংলাদেশেও সেভাবে করতে হবে। সরকারের বড় বড় কর্মকর্তা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মনে করছেন না। এটা দুঃখজনক। কেননা, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘জনসংখ্যা বাড়লে বর্জ্যের পরিমাণও বাড়বে। হাসপাতালের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো তদারকি নেই। শুধু ঢাকায় দৈনিক ১২০০ হাসপাতাল থেকে মাত্র ১৪ টন বর্জ্য সংগ্রহ করছে প্রিজম নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাকি বর্জ্য যেখানে-সেখানে পড়ে থাকছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে হাসপাতালের বর্জ্য পৃথকীকরণ জরুরি।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ। এতে পরিবর্তন আনতে হবে। কীভাবে বর্জ্য কাজে লাগানো যায়, সেটাই ভাবতে হবে। না হলে শহরের দূষণ ও তাপমাত্রা কমানো যাবে না। এ জন্য সবার আগে বর্জ্য নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা)-এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনীতিতে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। একে সম্পদে পরিণত করতে হলে বর্জ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও পরিশোধনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
দেশের গবেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের বর্জ্য থেকে শক্তি তৈরির সব ধরনের সুযোগ রয়েছে। ফুড ওয়েস্ট যে পরিমাণ থাকার কথা, ঢাকার বর্জ্যতে তা আছে। এই বর্জ্য থেকে ওয়েস্ট এনার্জির প্রকল্প নেওয়া এখন সময়ের দাবি। শহরবাসীকে সুরক্ষা দিতে বর্জ্যের দূষণ ঠেকানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নয়তো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। বাড়বে স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ও। আর বর্জ্য থেকে এনার্জি করা গেলে দূষণ কমবে। চাঙা হবে অর্থনীতি। এটি থেকে বায়োগ্যাস ও সার তৈরি করা সম্ভব। কৃষিজমির জন্য কম্পোজ সার করা যায় বর্জ্য থেকে। বিশ্বের অনেক দেশই বর্জ্য কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ বা গ্যাসের মতো শক্তি তৈরি করছে। বাংলাদেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
ঢাকায় দূষণের সব থেকে বড় উৎস বর্জ্য। অথচ যশোর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শহর ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপন্ন করে সফলতা পেয়েছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করে রাজধানী ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
বাংলাদেশ ও রাজধানী ঢাকাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের (ইপিআইসি) এক গবেষণার ওপর আজকের পত্রিকার কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। গত ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই গবেষণায় দাবি করা হয়, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় ৫ বছর ৪ মাস। এর মধ্যে ঢাকার মানুষের কমেছে প্রায় ৭ বছর ৭ মাস।
দেশি গবেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে বর্জ্য অব্যবস্থাপনা অন্যতম। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৪টি উপায় রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ পদ্ধতিটি প্রয়োগ হচ্ছে বাংলাদেশে। ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হলে উন্নত ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নির্বাহী সহসভাপতি ডা. মো. আব্দুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে উন্নয়ন হলে পরিবেশের একটু ক্ষতি হবেই–এটা অবৈজ্ঞানিক কথা। সারা পৃথিবী উন্নয়ন করছে পরিবেশকে আমলে নিয়ে। বাংলাদেশেও সেভাবে করতে হবে। সরকারের বড় বড় কর্মকর্তা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মনে করছেন না। এটা দুঃখজনক। কেননা, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘জনসংখ্যা বাড়লে বর্জ্যের পরিমাণও বাড়বে। হাসপাতালের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো তদারকি নেই। শুধু ঢাকায় দৈনিক ১২০০ হাসপাতাল থেকে মাত্র ১৪ টন বর্জ্য সংগ্রহ করছে প্রিজম নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাকি বর্জ্য যেখানে-সেখানে পড়ে থাকছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে হাসপাতালের বর্জ্য পৃথকীকরণ জরুরি।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ। এতে পরিবর্তন আনতে হবে। কীভাবে বর্জ্য কাজে লাগানো যায়, সেটাই ভাবতে হবে। না হলে শহরের দূষণ ও তাপমাত্রা কমানো যাবে না। এ জন্য সবার আগে বর্জ্য নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা)-এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনীতিতে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। একে সম্পদে পরিণত করতে হলে বর্জ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও পরিশোধনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
দেশের গবেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের বর্জ্য থেকে শক্তি তৈরির সব ধরনের সুযোগ রয়েছে। ফুড ওয়েস্ট যে পরিমাণ থাকার কথা, ঢাকার বর্জ্যতে তা আছে। এই বর্জ্য থেকে ওয়েস্ট এনার্জির প্রকল্প নেওয়া এখন সময়ের দাবি। শহরবাসীকে সুরক্ষা দিতে বর্জ্যের দূষণ ঠেকানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নয়তো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। বাড়বে স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ও। আর বর্জ্য থেকে এনার্জি করা গেলে দূষণ কমবে। চাঙা হবে অর্থনীতি। এটি থেকে বায়োগ্যাস ও সার তৈরি করা সম্ভব। কৃষিজমির জন্য কম্পোজ সার করা যায় বর্জ্য থেকে। বিশ্বের অনেক দেশই বর্জ্য কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ বা গ্যাসের মতো শক্তি তৈরি করছে। বাংলাদেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫