Ajker Patrika

ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মে ২০২২, ১৫: ৩৯
ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

দিনাজপুরে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও ভালো দাম পাওয়া নিয়ে রয়েছে কৃষকের শঙ্কা। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় ফলন কম ও ধান কাটতে চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক না পাওয়ায় চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদে পোকার আক্রমণ কম হলেও ধানের আশানুরূপ ফলন হয়নি। অসময়ে বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে গাছ হেলে যাওয়ায় ধানের ওজন কম হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে জেলায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারেও দাম কম। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে অনেক জমির পাকা ধানগাছ জমিতে শুয়ে পড়েছে। সময়মতো কাটতে না পারলে ধান জমিতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। 
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ মেট্রিক টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান বলেন, বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। যেটুকু কাটা হয়েছে, তাতে গড়ে হেক্টরপ্রতি ৬ মেট্রিক টন পাওয়া যাচ্ছে। এখন বোরো-২৮ ও সামান্য মিনিকেট কাটা হয়েছে। পরে ২৯, হাইব্রিডসহ অন্য ধান কাটা হবে, ফলন আরও বাড়বে।

জানা গেছে, বোরো ধানের চাষ মূলত সেচভিত্তিক আবাদ হলেও এ বছর বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের জমিতে তুলনামূলক কম সেচ দিতে হয়েছে। তবে বৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কবলে জেলার অনেক এলাকার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক মো. ইমরান সরকার বলেন, ‘এবার বোরো মৌসুমে ১১ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। শ্রমিক-সংকটের কারণে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। খুব কষ্ট করে শ্রমিক সংগ্রহ করলেও বিঘাপ্রতি ৬ হাজার টাকার কমে ধান কাটেন না শ্রমিকেরা। বাধ্য হয়ে শ্রমিক লাগিয়ে দিয়েছি; না হলে পাকা ধান ঝরে পড়ছে।’

আউলিয়া পুকুর গ্রামের আরেক কৃষক শাহ মোহাম্মদ গাজি বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি কিন্তু ধানের দাম কম। ফলন ভালো হয়নি। এবার মিনিকেট ধান এক বিঘাতে ৩০ থেকে ৩২ মণ হয়েছে। এখন বর্তমান বাজারে মিনিকেট ধান ৮০০ টাকা মণ। বোরো এক বিঘা জমিতে বর্গা নিয়ে আবাদ করে খরচ প্রায় ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাহলে বলেন লাভ তো দূরের কথা, লোকসান বিঘাপ্রতি দুই-তিন হাজার টাকা।’

এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন বোরো ধান। বর্তমানে নতুন বোরো-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা বস্তা; যা ৮৬০ থেকে ৮৮০ টাকা প্রতি মণ। আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৯৭০ থেকে ৯৯০ টাকা মণ।

জেলা খাদ্য বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর বলেন, বর্তমানে বাজারে নতুন বোরো-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৮০ থেকে ৮৯০ টাকা প্রতি মণ। আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৯৩৫ থেকে ৯৪০ টাকা প্রতি মণ। এই ধান মাঠ থেকে কেটে তাৎক্ষণিক বিক্রি করা হচ্ছে। ধান শুকানোর পর বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত