মো. গোলাম রহমান
সেতু চালু হলে বিভিন্ন এলাকার প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, যাতে নাকি সার্বিক জিডিপিতে ১.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এই প্রবৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে প্রকৃত পরিকল্পনা এবং দূরদর্শীতার কারণেই এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির পথে যোগ করল এক নতুন মাত্রা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত খরস্রোতা ও স্রোতস্বিনী নদীগুলোর মধ্যে আমাজনের পরেই পদ্মার নাম। সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বে যত রকমের জটিল ও সূক্ষ্ম প্রযুক্তি রয়েছে, তার বেশির ভাগ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে এবং নতুন কিছু পরীক্ষামূলক পদ্ধতিও গ্রহণ করা হয়েছে নির্মাণের ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বলা হয়েছে এমন আরেকটি সেতু হয়তো আগামী ১০০ বছরেও নির্মিত হবে না।
এই সেতু নির্মাণের পূর্বের ঘটনাসমূহে আমরা বিব্রত হয়েছি। জাতি হিসেবে বাঙালিদের মুখে চুনকালি পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক এই সেতুর জন্য অর্থায়ন না করেও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। তারা দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে এই সেতুর অর্থায়নে শুধু নিজেদের গুটিয়ে নেয়নি, বরং দুর্নীতির মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রাজনীতি করেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তথাকথিত অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে কূটকৌশল করেছে আর সেই সুযোগে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ ত্বরান্বিত হয়েছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও বহুপক্ষীয় ঋণ দানকারী সংস্থাগুলোকে লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুদ্ধাচারণ করেছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১১ এপ্রিল ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত ঋণচুক্তি দুর্নীতির অভিযোগে ৩০ জুন ২০১২ সালে বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এসব কাহিনি আমাদের সবার জানা।
দেশের সম্মান রক্ষা করার অদম্য উৎসাহ এবং দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলে। জনগণ নতুন উৎসাহ খুঁজে পায় কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল তাদের হীনস্বার্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে অপপ্রচার করে। পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার পরও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই সেতু সম্পর্কে তাদের ভুলভ্রান্তি বুঝতে চাইছে না, বরং অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তাদের উচিত ছিল উদার মন নিয়ে জাতীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুর মতো এমন সফল একটি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধনে এগিয়ে আসা। এখনো সময় আছে আপনারা আপনাদের ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থের কথা ভুলে জাতীয় স্বার্থে আত্মনিয়োগ করুন, রাজনীতির আধুনিক ধারায় ফিরে আসুন। তাতে আপনাদের জন্য যেমন ভালো হবে, সেই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থও রক্ষিত হবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ প্রবল। তাই আমি কয়েকটি বিষয় আলোচনা করছি। আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু শুধু দুই পারকে জুড়ে দিয়ে নতুন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়নি। পদ্মা নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে গভীরতর হয়ে যাওয়া হচ্ছে নদীশাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে পদ্মায় পানিপ্রবাহের তারতম্য ঘটে। এই তারতম্যের কারণে নদীর গভীরতা হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। নদীর প্রশস্ততা চার ভাগের প্রায় এক ভাগে উপনীত হতে পারে, তখন নদীটি নিজে ২০০ থেকে ২২০ ফুট গভীর খাদ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ এই গভীরতা প্রায় ৫০০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। সেই জন্য পদ্মাকে শাসন করা বিজ্ঞানসম্মত ও গবেষণালব্ধ কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে করা ব্যতীত কোনো বিকল্প ছিল না।
আজকের পত্রিকায় মাসব্যাপী পদ্মা সেতুর নানাবিধ কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর তথ্যসংবলিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কৌতূহল উদ্দীপক এসব তথ্যের কয়েকটি আমি উল্লেখ করছি। আমাদের দেশে নদীভাঙন ঠেকাতে ২৫০-৩০০ কেজি ওজনের বালিভর্তি ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণকল্পে নদীশাসনের জন্য ৮০০ কেজি ওজনের জিওব্যাগ কাজে লাগানো হয়েছে। নদীর তলদেশে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জিওব্যাগ ছাড়াও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এক টন ওজনের একেকটি পাথর। এই বড় ওজনের পাথরগুলো নদীর তলদেশকে স্থিতিশীল করে নদীর গতিপথকে স্থির রাখবে। নদীশাসনের প্রধান কাজটি হলো নদীর গতিপথ নির্দিষ্ট রেখে নদীর প্রবাহকে চালু রাখা। ভয়ংকর পদ্মা গতিপথ পাল্টাতে থাকলে সেতুটি স্থির হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে কিন্তু নদী সরে যাবে, আর নদী ক্রমান্বয়ে সরে যেতে থাকলে সেতুটি আর ব্যবহার উপযোগী থাকবে না। এই সহজ চিন্তাটি কার্যকর করা কিন্তু তত সহজ ছিল না। সেই জন্য নদীশাসনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের অন্যতম আরেকটি বিষয় ছিল সেতুর পিলার নির্মাণ। সাধারণ গভীরতা হিসাব করলে দেখা যাবে প্রায় ১৩০ ফুট, যেহেতু এই নদীটি সময়ে সময়ে তার গভীরতা পাল্টায় এবং সেই গভীরতা খাদ সৃষ্টি করার কারণে প্রায় ৪৯০ ফুট হতে পারে, যা আগেই উল্লেখ করেছি। সেই জন্য সেতুর পিলার প্রায় ৫০০ ফুট দীর্ঘ করে তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়গুলো রেকর্ড হয়েছে এই সেতুর জন্য।
সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। জনগণের কাজের ও চলাচলের গতিময়তা বাড়বে বিশেষভাবে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগত কারণেই বেড়ে যাবে অনেকাংশে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন সেতু চালু হলে বিভিন্ন এলাকার প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, যাতে নাকি সার্বিক জিডিপিতে ১.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এই প্রবৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে প্রকৃত পরিকল্পনা এবং দূরদর্শীতার কারণেই এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু তাই বাঙালির জীবন-জীবিকায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। সার্বিক উন্নয়ন কাঠামোতে এই সেতুর অবদান বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের জায়গায় এক ধাপ ওপরে নিয়ে যাবে আমাদের এই দেশকে।
মো. গোলাম রহমান, সম্পাদক,আজকের পত্রিকা
সেতু চালু হলে বিভিন্ন এলাকার প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, যাতে নাকি সার্বিক জিডিপিতে ১.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এই প্রবৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে প্রকৃত পরিকল্পনা এবং দূরদর্শীতার কারণেই এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির পথে যোগ করল এক নতুন মাত্রা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত খরস্রোতা ও স্রোতস্বিনী নদীগুলোর মধ্যে আমাজনের পরেই পদ্মার নাম। সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বে যত রকমের জটিল ও সূক্ষ্ম প্রযুক্তি রয়েছে, তার বেশির ভাগ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে এবং নতুন কিছু পরীক্ষামূলক পদ্ধতিও গ্রহণ করা হয়েছে নির্মাণের ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বলা হয়েছে এমন আরেকটি সেতু হয়তো আগামী ১০০ বছরেও নির্মিত হবে না।
এই সেতু নির্মাণের পূর্বের ঘটনাসমূহে আমরা বিব্রত হয়েছি। জাতি হিসেবে বাঙালিদের মুখে চুনকালি পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক এই সেতুর জন্য অর্থায়ন না করেও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। তারা দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে এই সেতুর অর্থায়নে শুধু নিজেদের গুটিয়ে নেয়নি, বরং দুর্নীতির মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রাজনীতি করেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তথাকথিত অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে কূটকৌশল করেছে আর সেই সুযোগে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ ত্বরান্বিত হয়েছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও বহুপক্ষীয় ঋণ দানকারী সংস্থাগুলোকে লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুদ্ধাচারণ করেছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১১ এপ্রিল ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত ঋণচুক্তি দুর্নীতির অভিযোগে ৩০ জুন ২০১২ সালে বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এসব কাহিনি আমাদের সবার জানা।
দেশের সম্মান রক্ষা করার অদম্য উৎসাহ এবং দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলে। জনগণ নতুন উৎসাহ খুঁজে পায় কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল তাদের হীনস্বার্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে অপপ্রচার করে। পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার পরও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই সেতু সম্পর্কে তাদের ভুলভ্রান্তি বুঝতে চাইছে না, বরং অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তাদের উচিত ছিল উদার মন নিয়ে জাতীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুর মতো এমন সফল একটি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধনে এগিয়ে আসা। এখনো সময় আছে আপনারা আপনাদের ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থের কথা ভুলে জাতীয় স্বার্থে আত্মনিয়োগ করুন, রাজনীতির আধুনিক ধারায় ফিরে আসুন। তাতে আপনাদের জন্য যেমন ভালো হবে, সেই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থও রক্ষিত হবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ প্রবল। তাই আমি কয়েকটি বিষয় আলোচনা করছি। আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু শুধু দুই পারকে জুড়ে দিয়ে নতুন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়নি। পদ্মা নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে গভীরতর হয়ে যাওয়া হচ্ছে নদীশাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে পদ্মায় পানিপ্রবাহের তারতম্য ঘটে। এই তারতম্যের কারণে নদীর গভীরতা হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। নদীর প্রশস্ততা চার ভাগের প্রায় এক ভাগে উপনীত হতে পারে, তখন নদীটি নিজে ২০০ থেকে ২২০ ফুট গভীর খাদ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ এই গভীরতা প্রায় ৫০০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। সেই জন্য পদ্মাকে শাসন করা বিজ্ঞানসম্মত ও গবেষণালব্ধ কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে করা ব্যতীত কোনো বিকল্প ছিল না।
আজকের পত্রিকায় মাসব্যাপী পদ্মা সেতুর নানাবিধ কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর তথ্যসংবলিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কৌতূহল উদ্দীপক এসব তথ্যের কয়েকটি আমি উল্লেখ করছি। আমাদের দেশে নদীভাঙন ঠেকাতে ২৫০-৩০০ কেজি ওজনের বালিভর্তি ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণকল্পে নদীশাসনের জন্য ৮০০ কেজি ওজনের জিওব্যাগ কাজে লাগানো হয়েছে। নদীর তলদেশে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জিওব্যাগ ছাড়াও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এক টন ওজনের একেকটি পাথর। এই বড় ওজনের পাথরগুলো নদীর তলদেশকে স্থিতিশীল করে নদীর গতিপথকে স্থির রাখবে। নদীশাসনের প্রধান কাজটি হলো নদীর গতিপথ নির্দিষ্ট রেখে নদীর প্রবাহকে চালু রাখা। ভয়ংকর পদ্মা গতিপথ পাল্টাতে থাকলে সেতুটি স্থির হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে কিন্তু নদী সরে যাবে, আর নদী ক্রমান্বয়ে সরে যেতে থাকলে সেতুটি আর ব্যবহার উপযোগী থাকবে না। এই সহজ চিন্তাটি কার্যকর করা কিন্তু তত সহজ ছিল না। সেই জন্য নদীশাসনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের অন্যতম আরেকটি বিষয় ছিল সেতুর পিলার নির্মাণ। সাধারণ গভীরতা হিসাব করলে দেখা যাবে প্রায় ১৩০ ফুট, যেহেতু এই নদীটি সময়ে সময়ে তার গভীরতা পাল্টায় এবং সেই গভীরতা খাদ সৃষ্টি করার কারণে প্রায় ৪৯০ ফুট হতে পারে, যা আগেই উল্লেখ করেছি। সেই জন্য সেতুর পিলার প্রায় ৫০০ ফুট দীর্ঘ করে তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়গুলো রেকর্ড হয়েছে এই সেতুর জন্য।
সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। জনগণের কাজের ও চলাচলের গতিময়তা বাড়বে বিশেষভাবে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগত কারণেই বেড়ে যাবে অনেকাংশে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন সেতু চালু হলে বিভিন্ন এলাকার প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, যাতে নাকি সার্বিক জিডিপিতে ১.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এই প্রবৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে প্রকৃত পরিকল্পনা এবং দূরদর্শীতার কারণেই এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু তাই বাঙালির জীবন-জীবিকায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। সার্বিক উন্নয়ন কাঠামোতে এই সেতুর অবদান বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের জায়গায় এক ধাপ ওপরে নিয়ে যাবে আমাদের এই দেশকে।
মো. গোলাম রহমান, সম্পাদক,আজকের পত্রিকা
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫