আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
আমনের মৌসুমে বাড়তি দামে সার কিনতে হয়েছে কৃষককে। বোরো মৌসুম শুরু হতে মাসখানেক বাকি। কিন্তু এখনো সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আমনের মতো আগামী বোরো মৌসুমেও কৃষককে বাড়তি দামে সার কিনতে হবে।
এদিকে সার কিনতে গিয়ে কৃষক দামে ঠকলেও এর কোনো তথ্য নেই উপজেলা কৃষি দপ্তরে। বাজার তদারকিতে দপ্তরটির নেই কোনো উদ্যোগ। গত এক মাসে উপজেলায় এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযানেরও খবর পাওয়া যায়নি।
কৃষকেরা বলছেন, কেবল আমনের মৌসুম শেষ হয়েছে। এখন সরিষা, মসুর, ভুট্টা ও শীতকালীন সবজির মৌসুম চলছে। আমন মৌসুমেও বাড়তি দামে সার কিনতে হয়েছে।
আগামী মৌসুমেও বাড়তি দামেই সার কিনতে হবে। তাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ইউরিয়া ২৫-২৬, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ৩০-৩৪, ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) ২২-২৬ ও মিউরেট অব পটাশ ২৪-২৫ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি পরিবেশকেরা কিছুটা কম দামে সার বিক্রি করলেও বাইরের খুচরা সার বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম রাখছেন।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, গত নভেম্বরে উপজেলায় ১৫ টন ইউরিয়া, ৪. ৮৫ টন টিএসপি, ১০. ৫ টন এমওপি এবং ২০.৮৫ টন ডিএপি বরাদ্দ এসেছে। প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপি ২২, এমওপি ও ডিএপি কেজিপ্রতি ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দপ্তরটির দেওয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ২০০ হেক্টরে মসুর, ১ হাজার ৮২০ হেক্টর শীতকালীন সবজি এবং ৯৪ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে।
উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, কদিন আগে সরিষা বোনার সময় স্থানীয় বাজার থেকে ২৬ টাকা করে ড্যাব কিনেছেন।
মশ্মিমনগর এলাকার কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ছয় কাঠা সরিষা বুনিছি। খেতে ছিটানোর জন্য কাঁঠালতলা বাজার থেকে ছয় কেজি ইউরিয়া ও ছয কেজি ড্যাব ২৫ টাকা করে কিনিছি। অন্য দস্তা সার না নিলে দোকানদার এই সার বেচতে চান না।’
খেদাপাড়া ইউনিয়নের সারের খুচরা পরিবেশক আলী হোসেন বলেন, ‘গত মাসে শুধু ইউরিয়ার বরাদ্দ পেয়েছি। তালিকা করে কৃষকদের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা সার বিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের ইউরিয়ার কেজি ২৪, টিএসপি ৩১, ড্যাব ১৯ ও পটাশ ২২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এরপর পরিবহন খরচ রয়েছে। ২-৪ টাকা লাভ না হলে চলব কী করে।’
এদিকে কৃষকেরা বলছেন, আমন মৌসুমে বাড়তি দামে সার কিনতে হয়েছে। আমনে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সে হিসাবে ধানের দাম পাচ্ছি না। সামনে বোরোতে যদি এভাবে বেশি দামে সার কিনতে হয়, তাহলে আর ফসল করা হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম বলেন, প্রমাণসহ বাড়তি দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামনে বোরো মৌসুম এলে সারের ব্যাপারে অভিযানে জোর দেওয়া হবে।
আমনের মৌসুমে বাড়তি দামে সার কিনতে হয়েছে কৃষককে। বোরো মৌসুম শুরু হতে মাসখানেক বাকি। কিন্তু এখনো সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আমনের মতো আগামী বোরো মৌসুমেও কৃষককে বাড়তি দামে সার কিনতে হবে।
এদিকে সার কিনতে গিয়ে কৃষক দামে ঠকলেও এর কোনো তথ্য নেই উপজেলা কৃষি দপ্তরে। বাজার তদারকিতে দপ্তরটির নেই কোনো উদ্যোগ। গত এক মাসে উপজেলায় এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযানেরও খবর পাওয়া যায়নি।
কৃষকেরা বলছেন, কেবল আমনের মৌসুম শেষ হয়েছে। এখন সরিষা, মসুর, ভুট্টা ও শীতকালীন সবজির মৌসুম চলছে। আমন মৌসুমেও বাড়তি দামে সার কিনতে হয়েছে।
আগামী মৌসুমেও বাড়তি দামেই সার কিনতে হবে। তাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ইউরিয়া ২৫-২৬, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ৩০-৩৪, ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) ২২-২৬ ও মিউরেট অব পটাশ ২৪-২৫ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি পরিবেশকেরা কিছুটা কম দামে সার বিক্রি করলেও বাইরের খুচরা সার বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম রাখছেন।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, গত নভেম্বরে উপজেলায় ১৫ টন ইউরিয়া, ৪. ৮৫ টন টিএসপি, ১০. ৫ টন এমওপি এবং ২০.৮৫ টন ডিএপি বরাদ্দ এসেছে। প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপি ২২, এমওপি ও ডিএপি কেজিপ্রতি ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দপ্তরটির দেওয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ২০০ হেক্টরে মসুর, ১ হাজার ৮২০ হেক্টর শীতকালীন সবজি এবং ৯৪ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে।
উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, কদিন আগে সরিষা বোনার সময় স্থানীয় বাজার থেকে ২৬ টাকা করে ড্যাব কিনেছেন।
মশ্মিমনগর এলাকার কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ছয় কাঠা সরিষা বুনিছি। খেতে ছিটানোর জন্য কাঁঠালতলা বাজার থেকে ছয় কেজি ইউরিয়া ও ছয কেজি ড্যাব ২৫ টাকা করে কিনিছি। অন্য দস্তা সার না নিলে দোকানদার এই সার বেচতে চান না।’
খেদাপাড়া ইউনিয়নের সারের খুচরা পরিবেশক আলী হোসেন বলেন, ‘গত মাসে শুধু ইউরিয়ার বরাদ্দ পেয়েছি। তালিকা করে কৃষকদের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা সার বিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের ইউরিয়ার কেজি ২৪, টিএসপি ৩১, ড্যাব ১৯ ও পটাশ ২২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এরপর পরিবহন খরচ রয়েছে। ২-৪ টাকা লাভ না হলে চলব কী করে।’
এদিকে কৃষকেরা বলছেন, আমন মৌসুমে বাড়তি দামে সার কিনতে হয়েছে। আমনে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সে হিসাবে ধানের দাম পাচ্ছি না। সামনে বোরোতে যদি এভাবে বেশি দামে সার কিনতে হয়, তাহলে আর ফসল করা হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম বলেন, প্রমাণসহ বাড়তি দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামনে বোরো মৌসুম এলে সারের ব্যাপারে অভিযানে জোর দেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪