মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন উপজেলা ভূমি অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা। গত ১ মার্চ থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। দেশব্যাপী একযোগে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে গত ১ মার্চ থেকে উপজেলা ভূমি অফিসে লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, লোকজনের তেমন জটলা নেই। ভূমি অফিসের সামনের দেয়ালে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাতে পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে আছেন এ দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা।
এদিন খতিয়ান তোলার কাজে উপজেলা ভূমি অফিসে এসেছিলেন কালিকাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন প্রামাণিক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বোন আছিয়া বিবিসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু অফিসে এসে কাজ করতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর লোকজনদের নিয়ে।
ইসমাইল হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে আসতে দুইবার যানবাহন পরিবর্তন করতে হয়েছে। একেকজনকে ভাড়া গুনতে হয়েছে ৫০ টাকা করে। ফিরতেও একই হারে ভাড়া গুনতে হবে। অন্যান্য খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র পাঁচজনের ভাড়া বাবদ খরচ হবে ৫০০ টাকা। তিনি আরও বলেন, ভূমি অফিসে কর্মবিরতি চলছে এটি তাঁর জানা নেই। ভোগ দখলীয় জমির পারিবারিক জটিলতা নিরসনে খতিয়ানটি খুব প্রয়োজন ছিল। তাই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাঁকে।
একইদিন জমির নামজারির কাজে এসেছিলেন আকবর হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম। কর্মবিরতির অজুহাতে দপ্তরের লোকজন কথাই বলছেন না। কাজ করতে না পারায় ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সেবাপ্রার্থী বলেন, সামনে মেয়ের বিয়ে। তাই টাকার খুব প্রয়োজন। জমি বিক্রি করার জন্য একজনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু নামজারি না থাকায় জমি রেজিস্ট্রি করাতে পারছেন না।
সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, সরকারি চাকরিজীবীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। দাবি-দাওয়া আদায়ে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করবেন। আর খেসারত দিতে হবে সাধারণ জনগণকে, এটা হতে পারে না। তাঁদের দাবি ন্যায়সংগত হলে তা নিরসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিত তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ভূমি দপ্তরের একজন কর্মচারী বলেন, এ দপ্তরের তহশিলদারদের ১৬ তম গ্রেড থেকে ১১ তম ও সহকারী তহশিলদারদের ১৭ তম গ্রেড থেকে ১২ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের পদবি পরিবর্তন করে তহসিলদারের পরিবর্তে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও সহকারী তহশিলদারের পদবি পরিবর্তন করে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দপ্তরটিতে নাজির কাম ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, সার্টিফিকেট সহকারীসহ আরও একাধিক পদে কর্মরতদের পদবি আগের মতোই আছে। গ্রেডও সমন্বয় করা হয়নি। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বেতনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন অসন্তোষ চলছে। দাবি-দাওয়া আদায়ে দেশব্যাপী লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা। এটি তাঁদের একটি চলমান আন্দোলন।
নওগাঁর মান্দায় পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন উপজেলা ভূমি অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা। গত ১ মার্চ থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। দেশব্যাপী একযোগে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে গত ১ মার্চ থেকে উপজেলা ভূমি অফিসে লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, লোকজনের তেমন জটলা নেই। ভূমি অফিসের সামনের দেয়ালে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাতে পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে আছেন এ দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা।
এদিন খতিয়ান তোলার কাজে উপজেলা ভূমি অফিসে এসেছিলেন কালিকাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন প্রামাণিক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বোন আছিয়া বিবিসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু অফিসে এসে কাজ করতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর লোকজনদের নিয়ে।
ইসমাইল হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে আসতে দুইবার যানবাহন পরিবর্তন করতে হয়েছে। একেকজনকে ভাড়া গুনতে হয়েছে ৫০ টাকা করে। ফিরতেও একই হারে ভাড়া গুনতে হবে। অন্যান্য খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র পাঁচজনের ভাড়া বাবদ খরচ হবে ৫০০ টাকা। তিনি আরও বলেন, ভূমি অফিসে কর্মবিরতি চলছে এটি তাঁর জানা নেই। ভোগ দখলীয় জমির পারিবারিক জটিলতা নিরসনে খতিয়ানটি খুব প্রয়োজন ছিল। তাই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাঁকে।
একইদিন জমির নামজারির কাজে এসেছিলেন আকবর হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম। কর্মবিরতির অজুহাতে দপ্তরের লোকজন কথাই বলছেন না। কাজ করতে না পারায় ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সেবাপ্রার্থী বলেন, সামনে মেয়ের বিয়ে। তাই টাকার খুব প্রয়োজন। জমি বিক্রি করার জন্য একজনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু নামজারি না থাকায় জমি রেজিস্ট্রি করাতে পারছেন না।
সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, সরকারি চাকরিজীবীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। দাবি-দাওয়া আদায়ে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করবেন। আর খেসারত দিতে হবে সাধারণ জনগণকে, এটা হতে পারে না। তাঁদের দাবি ন্যায়সংগত হলে তা নিরসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিত তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ভূমি দপ্তরের একজন কর্মচারী বলেন, এ দপ্তরের তহশিলদারদের ১৬ তম গ্রেড থেকে ১১ তম ও সহকারী তহশিলদারদের ১৭ তম গ্রেড থেকে ১২ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের পদবি পরিবর্তন করে তহসিলদারের পরিবর্তে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও সহকারী তহশিলদারের পদবি পরিবর্তন করে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দপ্তরটিতে নাজির কাম ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, সার্টিফিকেট সহকারীসহ আরও একাধিক পদে কর্মরতদের পদবি আগের মতোই আছে। গ্রেডও সমন্বয় করা হয়নি। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বেতনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন অসন্তোষ চলছে। দাবি-দাওয়া আদায়ে দেশব্যাপী লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা। এটি তাঁদের একটি চলমান আন্দোলন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪