Ajker Patrika

ঘেরে মাছ, পাড়ে শসা চাষ

এইচ এম মঈনুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৩৩
ঘেরে মাছ, পাড়ে শসা চাষ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য ঘেরের আইলে চাষ হচ্ছে শসা। ১৩ নম্বর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে উৎপাদিত এসব শসা যাচ্ছে রাজধানী ও বন্দর নগরী চিটাগাং সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এ কারণে উপজেলায় শসা উৎপাদনের মাত্রা দিন দিন আরও বাড়ছে। স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন যেখানে প্রতিবছর শত শত মেট্রিক টন শসা উৎপাদিত হয়। এ ইউনিয়নে কৃষক রয়েছেন ১ হাজার ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ৩০০ কৃষক চলতি বছরে শতাধিক ঘেরের আইলে শসা চাষ করছেন।

জুন-জুলাই মাসে শসা চাষের মৌসুম। দেড় মাস পরেই উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করে কৃষকেরা। ৩ মাস পর্যন্ত চলে এর উৎপাদন ও বেচা-কেনা। পুরা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কৃষকেরা শসা বিক্রি করতে পারবেন। সিংহভাগ শসা পাইকারি হিসেবে বিক্রি হয়। প্রতিসপ্তাহে ট্রাক ভর্তি শসা চলে যায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ পাশের জেলাগুলোতে।

ইউনিয়নের হরতকিতরা গ্রামের কলেজশিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, গত বছরে তিনি ১০ মেট্রিক টন শসা উৎপাদন ও বিক্রি করেছেন। চলতি বছরে তিনি তাঁর ঘেরের আইলে শসা চাষ করে ১৫ মেট্রিক টন ফলন পেয়েছেন।

গুলিশাখালী গ্রামের কৃষক আবদুল হাই জানান, ঘেরে মাছচাষ ও ঘেরের আইলে শসা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। চলতি বছরে শসা বিক্রি করে প্রথম দিকে তেমন লাভ না হলেও শেষের দিকে তাঁরা ভালো দাম পেয়েছেন।

নিশানবাড়িয়া ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরে এ ইউনিয়নে সাড়ে ৩১০ মেট্রিক টন শসা উৎপাদিত হয়েছিল। চলতি বছরে ৩৫০ মেট্রিক টন শসা উৎপাদিত হয়েছে।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ বলেন, ‘কৃষকেরা এ মৌসুমে ঘেরের বৃষ্টির মিষ্টি পানি ব্যবহার করার কারণে শসা চাষ বেড়েছে। চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত