আয়নাল হোসেন, ঢাকা
২০১৫ সালের কথা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক ফারুক আহাম্মদ আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অচেনা মাটিতে এমন অসুস্থতা তাঁকে আরও ভাবিয়ে তোলে। তবে এটা বুঝতে পারেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হয়তো শরীরটা একটু খারাপ হয়েছে। তাই ভাবেন, ফার্মেসিই ভরসা। ফার্মেসির চিকিৎসকেরা তাঁর রক্তচাপ মেপে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দেখেন। ফারুককে সেই অনুযায়ী ডাক্তারও দেখাতে বলেন। পরে স্থানীয় এক বন্ধুর সহযোগিতায় ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ীই ওষুধ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন ফারুক।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর উন্নত ও অনেক উন্নয়নশীল দেশে এ রকমটাই স্বাভাবিক। সেখানে এ-সংক্রান্ত কঠোর আইন আছে, আছে সেগুলোর বাস্তবায়নও। অথচ দেশে ওষুধ বিক্রি করা হয় মুদি দোকানের মতো। এমনকি কিছু কিছু ফার্মেসিতে পাওয়া যায় চাল, ডাল, আটা-ময়দাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার কোনো তোয়াক্কাই করছেন না এসব বিক্রেতা।
১৭ নভেম্বর গ্রিন রোডের এ কে এস ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে আসেন আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন। ওই সময় ফার্মেসিতে দুজন বিক্রয়কর্মী উপস্থিত ছিলেন। যাঁদের কেউই ফার্মাসিস্ট নন। অথচ নীতিমালার ২ নম্বর শর্তানুযায়ী, ফার্মেসি পরিচালনার জন্য একজন রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। ফার্মাসিস্টের অনুপস্থিতিতে কোনো ওষুধ ডিসপেন্স বা বিক্রি করা যাবে না। ওই ফার্মাসিস্টের রেজিস্টার্ড সনদ ফার্মেসিতে প্রদর্শন করতে হবে। ফার্মাসিস্ট পরিবর্তন হলে অবশ্যই তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ ফার্মেসিতে এসি নেই। অথচ তাপ সংবেদনশীল নানা ওষুধ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখার বিধান আছে নীতিমালায়। সরেজমিন দেখা যায়, মিটফোর্ড, বাবুবাজার ও ইসলামপুর এলাকার অধিকাংশ মার্কেটের ওষুধের দোকানে এসি তো দূরের কথা, একটি ফ্রিজও নেই। মুদি দোকানের মতো চিপসের প্যাকেটের পাশেই তাকের মধ্যে রাখা হয়েছে ওষুধ।
ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় বলা হয়েছে, সংবেদনশীল ওষুধ ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে। নির্ধারিত শেলফে ওষুধ সংরক্ষণ করতে হবে। ওষুধ ছাড়া অন্যান্য পণ্য আলাদা শেলফে রাখতে হবে। ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। সেবনবিধি সম্পর্কে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। পূর্ণ কোর্সে ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশিত নিয়মে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে পরামর্শ দিতে হবে।
দেশের বেশির ভাগ ফার্মেসিতে কেন এসব মানা হয় না? এ প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘ওষুধ আসলে সেবাপণ্য। ওষুধ সাজিয়ে রাখলেই সেটা ফার্মেসি হয় না। ফার্মেসি হলে অবশ্যই সেবনপদ্ধতি বলার মতো লোকও (ফার্মাসিস্ট) রাখতে হবে। অথচ দেশের বিভিন্ন দোকানে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে ওষুধ।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী, ফার্মাসিস্টদের ৫৫ শতাংশ কমিউনিটি ফার্মাসিতে, ৩০ শতাংশ হসপিটাল ফার্মাসি, ৫ শতাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং, ৫ শতাংশ সরকারি সংস্থায়, ৫ শতাংশ একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কমিউনিটি কিংবা হসপিটাল ফার্মাসিতে কোনো গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই। কারণ, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের ফার্মেসিতে কাজ করতে আগ্রহী হন না বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশ ওষুধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদের সদস্যসচিব জাকির হোসেন রনি বলেন, ‘ফার্মেসিগুলো এখনো সনাতনি পদ্ধতিতেই চলছে। গত পাঁচ বছরে এসব পরিবর্তনে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) কোনো কাজই করেনি।’
আ ব ম ফারুক আরও বলেন, ফার্মাসিস্ট না থাকার কারণে ওষুধ কিনে অনেক রোগীই ভুল করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছেন। ধরুন, এমন ওষুধ, যা খেলে রোদে যাওয়ার নিয়ম নেই। এসব তো দোকান থেকেই বুঝিয়ে দিতে হয়। এমন অনেক কারণেই ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন আছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই যেকোনো ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় করা যায়। তবে অ্যান্টিবায়োটিকসহ জটিল রোগের ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বেচাকেনা নিষিদ্ধ। পরিস্থিতি বদলাতে আমরা কাজ করব।’
২০১৫ সালের কথা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক ফারুক আহাম্মদ আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অচেনা মাটিতে এমন অসুস্থতা তাঁকে আরও ভাবিয়ে তোলে। তবে এটা বুঝতে পারেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হয়তো শরীরটা একটু খারাপ হয়েছে। তাই ভাবেন, ফার্মেসিই ভরসা। ফার্মেসির চিকিৎসকেরা তাঁর রক্তচাপ মেপে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দেখেন। ফারুককে সেই অনুযায়ী ডাক্তারও দেখাতে বলেন। পরে স্থানীয় এক বন্ধুর সহযোগিতায় ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ীই ওষুধ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন ফারুক।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর উন্নত ও অনেক উন্নয়নশীল দেশে এ রকমটাই স্বাভাবিক। সেখানে এ-সংক্রান্ত কঠোর আইন আছে, আছে সেগুলোর বাস্তবায়নও। অথচ দেশে ওষুধ বিক্রি করা হয় মুদি দোকানের মতো। এমনকি কিছু কিছু ফার্মেসিতে পাওয়া যায় চাল, ডাল, আটা-ময়দাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার কোনো তোয়াক্কাই করছেন না এসব বিক্রেতা।
১৭ নভেম্বর গ্রিন রোডের এ কে এস ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে আসেন আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন। ওই সময় ফার্মেসিতে দুজন বিক্রয়কর্মী উপস্থিত ছিলেন। যাঁদের কেউই ফার্মাসিস্ট নন। অথচ নীতিমালার ২ নম্বর শর্তানুযায়ী, ফার্মেসি পরিচালনার জন্য একজন রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। ফার্মাসিস্টের অনুপস্থিতিতে কোনো ওষুধ ডিসপেন্স বা বিক্রি করা যাবে না। ওই ফার্মাসিস্টের রেজিস্টার্ড সনদ ফার্মেসিতে প্রদর্শন করতে হবে। ফার্মাসিস্ট পরিবর্তন হলে অবশ্যই তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ ফার্মেসিতে এসি নেই। অথচ তাপ সংবেদনশীল নানা ওষুধ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখার বিধান আছে নীতিমালায়। সরেজমিন দেখা যায়, মিটফোর্ড, বাবুবাজার ও ইসলামপুর এলাকার অধিকাংশ মার্কেটের ওষুধের দোকানে এসি তো দূরের কথা, একটি ফ্রিজও নেই। মুদি দোকানের মতো চিপসের প্যাকেটের পাশেই তাকের মধ্যে রাখা হয়েছে ওষুধ।
ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় বলা হয়েছে, সংবেদনশীল ওষুধ ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে। নির্ধারিত শেলফে ওষুধ সংরক্ষণ করতে হবে। ওষুধ ছাড়া অন্যান্য পণ্য আলাদা শেলফে রাখতে হবে। ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। সেবনবিধি সম্পর্কে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। পূর্ণ কোর্সে ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশিত নিয়মে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে পরামর্শ দিতে হবে।
দেশের বেশির ভাগ ফার্মেসিতে কেন এসব মানা হয় না? এ প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘ওষুধ আসলে সেবাপণ্য। ওষুধ সাজিয়ে রাখলেই সেটা ফার্মেসি হয় না। ফার্মেসি হলে অবশ্যই সেবনপদ্ধতি বলার মতো লোকও (ফার্মাসিস্ট) রাখতে হবে। অথচ দেশের বিভিন্ন দোকানে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে ওষুধ।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী, ফার্মাসিস্টদের ৫৫ শতাংশ কমিউনিটি ফার্মাসিতে, ৩০ শতাংশ হসপিটাল ফার্মাসি, ৫ শতাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং, ৫ শতাংশ সরকারি সংস্থায়, ৫ শতাংশ একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কমিউনিটি কিংবা হসপিটাল ফার্মাসিতে কোনো গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই। কারণ, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের ফার্মেসিতে কাজ করতে আগ্রহী হন না বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশ ওষুধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদের সদস্যসচিব জাকির হোসেন রনি বলেন, ‘ফার্মেসিগুলো এখনো সনাতনি পদ্ধতিতেই চলছে। গত পাঁচ বছরে এসব পরিবর্তনে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) কোনো কাজই করেনি।’
আ ব ম ফারুক আরও বলেন, ফার্মাসিস্ট না থাকার কারণে ওষুধ কিনে অনেক রোগীই ভুল করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছেন। ধরুন, এমন ওষুধ, যা খেলে রোদে যাওয়ার নিয়ম নেই। এসব তো দোকান থেকেই বুঝিয়ে দিতে হয়। এমন অনেক কারণেই ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন আছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই যেকোনো ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় করা যায়। তবে অ্যান্টিবায়োটিকসহ জটিল রোগের ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বেচাকেনা নিষিদ্ধ। পরিস্থিতি বদলাতে আমরা কাজ করব।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫