মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের সদর উপজেলায় করাতকল রয়েছে ৫৮টি, যার মধ্যে ৪০টি অবৈধ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন এলাকায় (বিসিক) রয়েছে ১৩টি করাতকল। এগুলোর একটিরও নিবন্ধন নেই। আর বিসিকের সীমানা ঘেঁষে রয়েছে আরও ১৭টি। প্রশাসনের চোখের সামনেই বছরের পর বছর চলছে এ অবৈধ করাতকল।
অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাদারীপুর বন বিভাগ।
বন বিভাগের তথ্য মতে, স মিল স্থাপনের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও মাদারীপুরের বিসিক শিল্পনগরীতে করাতকলের মালিকেরা মানছেন না সেই আইন। সদর উপজেলায় স মিল রয়েছে ৫৮টি, যার মধ্যে নিবন্ধন রয়েছে মাত্র ১৮টির। এর মধ্যে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছেন তিন করাতকলের মালিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, করাতকলের মালিকেরা নিবন্ধন ছাড়া দিনের পর দিন করাত পরিচালনা করছেন। যদিও মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হচ্ছে জরিমানা। কিন্তু অবৈধ করাতকলগুলো বন্ধের ব্যাপারে নেওয়া হচ্ছে না দীর্ঘমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ। এসব অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়িতে স্থানীয় অসাধু চক্রের কবলে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে বনায়ন। সচেতন মহলের দাবি, এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না হলে বনাঞ্চল খুব দ্রুত বিলীন হয়ে যাবে। এতে ভয়াবহ পরিণতি দেখা দেবে।
মাদারীপুর সুজনের সভাপতি রাজন মাহমুদ বলেন, ‘অনুমোদনহীন করাতকল যত্রতত্র বসানোর ফলে লোকজন গাছ বেশি কাটছে। গাছ হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী উপাদান। এভাবে যদি বেশি বেশি গাছ কাটা হয়, তাহলে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, যেন দ্রুত এই অনুমোদনহীন, নিয়মবহির্ভূত করাতকলগুলো বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি চাইলেই যেন কেউ সহজে করাতকল বসানোর অনুমতি না পান। তাহলেই আমাদের গাছ বাঁচবে, আমাদের পরিবেশ বাঁচবে এবং আমরা বাঁচব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিক শিল্পনগরীর এক বেকারির মালিক বলেন, ‘বিসিকের পূর্ব অংশে সব সময় ধুলা-ময়লা ওড়ে। করাতকলের কাঠের গুঁড়ার কারণে কারখানার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কলগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনেকবার বিসিক কর্তৃপক্ষকে বলেছি, লাভ হয়নি। কাঠের ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ কাজে আসে না। বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত করতে হচ্ছে।’
বিসিক শিল্পনগরীর করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি বাচ্চু খান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, করাতকল এগুলোর অনুমোদন নিয়ে চালানোর জন্য। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অবৈধ করাতকলের ব্যাপারে নির্দেশ রয়েছে। নির্দেশনার কপি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে পাঠানো হয়েছে। এসব অবৈধ করাতকল সরাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘দ্রুত এই অবৈধ করাতকলগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’
মাদারীপুরের সদর উপজেলায় করাতকল রয়েছে ৫৮টি, যার মধ্যে ৪০টি অবৈধ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন এলাকায় (বিসিক) রয়েছে ১৩টি করাতকল। এগুলোর একটিরও নিবন্ধন নেই। আর বিসিকের সীমানা ঘেঁষে রয়েছে আরও ১৭টি। প্রশাসনের চোখের সামনেই বছরের পর বছর চলছে এ অবৈধ করাতকল।
অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাদারীপুর বন বিভাগ।
বন বিভাগের তথ্য মতে, স মিল স্থাপনের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও মাদারীপুরের বিসিক শিল্পনগরীতে করাতকলের মালিকেরা মানছেন না সেই আইন। সদর উপজেলায় স মিল রয়েছে ৫৮টি, যার মধ্যে নিবন্ধন রয়েছে মাত্র ১৮টির। এর মধ্যে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছেন তিন করাতকলের মালিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, করাতকলের মালিকেরা নিবন্ধন ছাড়া দিনের পর দিন করাত পরিচালনা করছেন। যদিও মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হচ্ছে জরিমানা। কিন্তু অবৈধ করাতকলগুলো বন্ধের ব্যাপারে নেওয়া হচ্ছে না দীর্ঘমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ। এসব অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়িতে স্থানীয় অসাধু চক্রের কবলে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে বনায়ন। সচেতন মহলের দাবি, এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না হলে বনাঞ্চল খুব দ্রুত বিলীন হয়ে যাবে। এতে ভয়াবহ পরিণতি দেখা দেবে।
মাদারীপুর সুজনের সভাপতি রাজন মাহমুদ বলেন, ‘অনুমোদনহীন করাতকল যত্রতত্র বসানোর ফলে লোকজন গাছ বেশি কাটছে। গাছ হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী উপাদান। এভাবে যদি বেশি বেশি গাছ কাটা হয়, তাহলে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, যেন দ্রুত এই অনুমোদনহীন, নিয়মবহির্ভূত করাতকলগুলো বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি চাইলেই যেন কেউ সহজে করাতকল বসানোর অনুমতি না পান। তাহলেই আমাদের গাছ বাঁচবে, আমাদের পরিবেশ বাঁচবে এবং আমরা বাঁচব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিক শিল্পনগরীর এক বেকারির মালিক বলেন, ‘বিসিকের পূর্ব অংশে সব সময় ধুলা-ময়লা ওড়ে। করাতকলের কাঠের গুঁড়ার কারণে কারখানার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কলগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনেকবার বিসিক কর্তৃপক্ষকে বলেছি, লাভ হয়নি। কাঠের ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ কাজে আসে না। বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত করতে হচ্ছে।’
বিসিক শিল্পনগরীর করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি বাচ্চু খান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, করাতকল এগুলোর অনুমোদন নিয়ে চালানোর জন্য। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অবৈধ করাতকলের ব্যাপারে নির্দেশ রয়েছে। নির্দেশনার কপি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে পাঠানো হয়েছে। এসব অবৈধ করাতকল সরাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘দ্রুত এই অবৈধ করাতকলগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫