Ajker Patrika

সংকটে বানারীপাড়ার মৃৎশিল্পীরা

আব্দুল আউয়াল, বানারীপাড়া
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ৩৯
সংকটে বানারীপাড়ার মৃৎশিল্পীরা

বানারীপাড়ার মৃৎ শিল্পীদের এখন ঘোর দুর্দিন। হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি হাঁড়ি, পাতিল থেকে শুরু করে মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র। অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপট এর বড় কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এখন এই পেশায় হাতেগোনা কয়েকটি পাল পরিবার কেবল টিকে আছে। মৃৎশিল্পীদের সংখ্যা এত কমে গেছে যে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা তৈরির জন্য পাল পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়।

গ্রামাঞ্চলে এক সময় পানি ও চাল রাখার জন্য মটকি ও কলসি, গুড় রাখার জন্য কোলা, খাওয়ার জন্য বাসন, পানি খেতে খোরা এমনকি লবণসহ রান্নার সামগ্রী রাখার জন্য ব্যবহৃত হতো মাটির পাত্র।

বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিবুল হক টুকু বলেন, মৃৎ শিল্পের পুরোনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য সকল শ্রেণির লোকদের এগিয়ে আসতে হবে।

৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গৌতম সমদ্দার বলেন, উপজেলার বৌসেরহাট, বাইশারী, কুন্দিহার, চাউলাকাঠী ও কালিবাজারে একসময় পাল বংশের অনেক লোক ছিলেন।

পৌর শহরের বিখ্যাত মৃৎশিল্পী নারায়ণ পালের ছেলে লক্ষ্মী পাল এবং তার স্ত্রী অঞ্জনা পাল প্রায় ৪০ বছর যাবৎ এ পেশার সঙ্গে জড়িত।

গাভা গ্রামের গৌরাঙ্গ পাল জানান বর্তমানে দধির পাতিল ও জালের চড়াই এ দুইটি সামগ্রী অল্প বিক্রি হয়।

বানারীপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচার করা ৭৮১ কোটি টাকা ফেরত দিতে চেয়েও জামিন পেলেন না নাসার চেয়ারম্যান নজরুল

জীবন বিলিয়ে দিয়ে উত্তরার মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের বাঁচালেন, কে এই মাহরীন চৌধুরী

পাইলটের শেষ বার্তা: বিমান ভাসছে না, নিচে পড়ছে

মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরাই ছিল ৩৭ বছরের মাসুকার ‘সংসার’, যুদ্ধবিমান তছনছ করে দিল

চোখের জলে পাইলট তৌকিরের বিদায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত