তানিম আহমেদ, ঢাকা
নাটকীয়ভাবে একের পর এক কর্মসূচি পিছিয়ে চলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন। ঘুরেফিরে বিএনপির মহাসমাবেশের দিনেই রাজধানীতে সমাবেশ করতে চায় তারা। এ কারণে দুই দফা পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার যৌথ শান্তি সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার শান্তি সমাবেশ করার কথা ছিল সংগঠন তিনটির। এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ব্যবহারের অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অনুমতি মেলেনি। এর মধ্যেই বিএনপি আজ সমাবেশ করছে না, এমন খবর আসার পর নাটকীয়ভাবে শান্তি সমাবেশের তারিখ বদলে দেয় আওয়ামী লীগের এই তিন সংগঠনও।
গতকাল রাত ৯টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু আজকের পত্রিকাকে শান্তি সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শুক্রবার আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সমাবেশ করব।’
জানা গেছে, শান্তি সমাবেশ সফল করতে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এতে বিগত কয়েকটি সমাবেশের তুলনায় সর্বোচ্চ জমায়েত করতে সংগঠনগুলোর ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের (স্বেচ্ছাসেবক লীগ) এক লাখ নেতা-কর্মীর জমায়েত হবে।’
পাল্টাপাল্টি সমাবেশে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে কি না, এমন এক প্রশ্নে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দিয়েছি। সন্ত্রাসীদের দল বিএনপি যদি কোনো ধরনের অরাজকতা করে, তাহলে জনগণই তা প্রতিরোধ করবে।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মাঠ। একই দিনে হলেও দল দুটির আগের কর্মসূচিগুলো শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু বিএনপির এবারের মহাসমাবেশ নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না আওয়ামী লীগ। সে জন্য এবার মাঠ দখলে রাখতে ছাত্র ও যুবলীগের মতো সংগঠনকে নামাচ্ছে দলটি। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, ঢাকা অচল করে লাগাতার কর্মসূচির মতো ঘটনা বিএনপি ঘটাবে না। তবে সেই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কঠোরভাবে মোকাবিলার প্রস্তুতিও আছে তাঁদের।
ঢাকায় বিএনপির অবস্থান করার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই তথ্য আওয়ামী লীগের কাছে রয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল দলটির সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যের কাছে। তাঁদের প্রায় সবাই দাবি করছেন, এমন কোনো তথ্য নেই। ১০ ডিসেম্বরের মতো এবারও নির্বিঘ্নে দুই কর্মসূচি শেষ হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি যদি অবস্থান কর্মসূচি দেয়, তাহলে আমাদের কিছু করণীয় নেই। সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে। তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) যদি কোনো সহায়তার দরকার হয়, তাহলে আমাদের কর্মসূচি থেকে নেতা-কর্মীরা সহায়তা করবে।’
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য বলেন, ‘মহাসমাবেশের নামে ঢাকায় বিএনপি যাতে কোনো ধরনের অবস্থান কর্মসূচি না দিতে পারে, এ জন্য আমরা শান্তি সমাবেশ করব। এ কর্মসূচি যাতে সফল হয়, সেই জন্য যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে করে যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে মোকাবিলা করতে সহজ হবে। আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময়ই এরাই সামনে ছিল।’
বিএনপি নির্বাচনে না এসে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তন করতে চায় বলে দাবি করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ জন্য দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি দলটি করতে চায় বলেও মনে করেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে সমাবেশের নামে শাপলা চত্বরে অবস্থান করে তাণ্ডব চালিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। কিন্তু সেদিন সরকার তাদের কঠোর হস্তে দমন করে রাতের মধ্যে ঢাকা খালি করা হয়েছিল। এখন বিএনপি যদি সমাবেশের নামে ঢাকায় অবস্থান নিতে চায়, তাহলে তাদের অবস্থা হবে হেফাজতের মতো। মানুষের জানমালের রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হবে।
বিএনপি যদি ঢাকায় অবস্থান নেওয়ার লাগাতার কর্মসূচি দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগ কী করবে, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘বিএনপি কী করবে, সেটা তো আমরা জানি না। তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বিপন্ন করার চেষ্টা করে, মানুষের যাতায়াত বন্ধ করার মতো কিছু করে, সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
নাটকীয়ভাবে একের পর এক কর্মসূচি পিছিয়ে চলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন। ঘুরেফিরে বিএনপির মহাসমাবেশের দিনেই রাজধানীতে সমাবেশ করতে চায় তারা। এ কারণে দুই দফা পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার যৌথ শান্তি সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার শান্তি সমাবেশ করার কথা ছিল সংগঠন তিনটির। এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ব্যবহারের অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অনুমতি মেলেনি। এর মধ্যেই বিএনপি আজ সমাবেশ করছে না, এমন খবর আসার পর নাটকীয়ভাবে শান্তি সমাবেশের তারিখ বদলে দেয় আওয়ামী লীগের এই তিন সংগঠনও।
গতকাল রাত ৯টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু আজকের পত্রিকাকে শান্তি সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শুক্রবার আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সমাবেশ করব।’
জানা গেছে, শান্তি সমাবেশ সফল করতে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এতে বিগত কয়েকটি সমাবেশের তুলনায় সর্বোচ্চ জমায়েত করতে সংগঠনগুলোর ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের (স্বেচ্ছাসেবক লীগ) এক লাখ নেতা-কর্মীর জমায়েত হবে।’
পাল্টাপাল্টি সমাবেশে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে কি না, এমন এক প্রশ্নে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দিয়েছি। সন্ত্রাসীদের দল বিএনপি যদি কোনো ধরনের অরাজকতা করে, তাহলে জনগণই তা প্রতিরোধ করবে।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মাঠ। একই দিনে হলেও দল দুটির আগের কর্মসূচিগুলো শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু বিএনপির এবারের মহাসমাবেশ নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না আওয়ামী লীগ। সে জন্য এবার মাঠ দখলে রাখতে ছাত্র ও যুবলীগের মতো সংগঠনকে নামাচ্ছে দলটি। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, ঢাকা অচল করে লাগাতার কর্মসূচির মতো ঘটনা বিএনপি ঘটাবে না। তবে সেই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কঠোরভাবে মোকাবিলার প্রস্তুতিও আছে তাঁদের।
ঢাকায় বিএনপির অবস্থান করার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই তথ্য আওয়ামী লীগের কাছে রয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল দলটির সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যের কাছে। তাঁদের প্রায় সবাই দাবি করছেন, এমন কোনো তথ্য নেই। ১০ ডিসেম্বরের মতো এবারও নির্বিঘ্নে দুই কর্মসূচি শেষ হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি যদি অবস্থান কর্মসূচি দেয়, তাহলে আমাদের কিছু করণীয় নেই। সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে। তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) যদি কোনো সহায়তার দরকার হয়, তাহলে আমাদের কর্মসূচি থেকে নেতা-কর্মীরা সহায়তা করবে।’
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য বলেন, ‘মহাসমাবেশের নামে ঢাকায় বিএনপি যাতে কোনো ধরনের অবস্থান কর্মসূচি না দিতে পারে, এ জন্য আমরা শান্তি সমাবেশ করব। এ কর্মসূচি যাতে সফল হয়, সেই জন্য যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে করে যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে মোকাবিলা করতে সহজ হবে। আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময়ই এরাই সামনে ছিল।’
বিএনপি নির্বাচনে না এসে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তন করতে চায় বলে দাবি করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ জন্য দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি দলটি করতে চায় বলেও মনে করেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে সমাবেশের নামে শাপলা চত্বরে অবস্থান করে তাণ্ডব চালিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। কিন্তু সেদিন সরকার তাদের কঠোর হস্তে দমন করে রাতের মধ্যে ঢাকা খালি করা হয়েছিল। এখন বিএনপি যদি সমাবেশের নামে ঢাকায় অবস্থান নিতে চায়, তাহলে তাদের অবস্থা হবে হেফাজতের মতো। মানুষের জানমালের রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হবে।
বিএনপি যদি ঢাকায় অবস্থান নেওয়ার লাগাতার কর্মসূচি দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগ কী করবে, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘বিএনপি কী করবে, সেটা তো আমরা জানি না। তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বিপন্ন করার চেষ্টা করে, মানুষের যাতায়াত বন্ধ করার মতো কিছু করে, সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫