Ajker Patrika

বাড়ছে নদীর পানি ডুবছে আবাদি জমি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুন ২০২২, ১৩: ৩৯
Thumbnail image

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের আবাদি জমি। দু-এক দিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছে পৌঁছানোর আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে জেলায় বন্যার পূর্বাভাস নেই।

পাউবোর জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধরলার পানি কিছুটা কমলেও রাতভর বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় থেমে নেই ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি কিছুটা শ্লথ হয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ১০ সেন্টিমিটার বাড়লেও সন্ধ্যায় বাড়ার পরিমাণ জানাতে পারেনি পাউবো। দুই তিন দিন ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বাড়তে পারে।

এদিকে পানি বাড়তে থাকায় তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলের কৃষি আবাদ নিয়ে আবারও শঙ্কায় পড়েছেন ওই অঞ্চলের কৃষকেরা; বিশেষত বাদাম আর পাট নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের হায়বৎ খাঁ, গনাই, রামহরি মৌজার চাড়ির কোলা, রামহরির চর, গাবুর হেলানের চর, চর তৈয়ব খাঁসহ রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চলে আবাদ করা বাদাম ও পাট নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।

রাজাহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাদামচাষি আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘পানি খুব বাড়ন্ত। বাদামখেত পানিতে তলায় গেছে। কী করব বুঝবার পাচ্ছি না। যদিও আগে সামান্য বাদাম তুলতে পারছি। এখনো দেড় একর জমিতে বাদাম আছে। সামান্য কিছু জাগি আছে, বাকি জমিত পানি উঠছে। পানিতে বাদাম তোলার জন্য লোক লাগায় দিছি। এলাকাত সব বাদাম চাষির একই অবস্থা।’

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত এবং উজানে সীমান্তবর্তী ভারতীয় অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস নেই। আগামী কয়েক দিন ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা থাকলেও কুড়িগ্রামে এই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার পূর্বাভাস নেই। ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়বে, তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বন্যারও কোনো পূর্বাভাস নেই।’

তিস্তা অববাহিকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও তা মেরামতে কাজ চলছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘জেলায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নদীভাঙন রোধে কাজ চলমান রয়েছে। অনেক জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত