এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
নিম্ন আদালতে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। খুলনায় এক বিচারকের সঙ্গে তিন আইনজীবীর অসদাচরণের ঘটনায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সব জেলা আইনজীবী সমিতিকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সে সময়। এরপরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নীলফামারীতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এসেছে উচ্চ আদালতে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশের বিচারকেরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আজ শনিবার সারা দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোর সঙ্গে বসছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘বিচারকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে ক্ষমা করা হবে না’—হাইকোর্টের এমন সতর্কবার্তা পাওয়ার পরও নিম্ন আদালতের আইনজীবীদের কেউ কেউ বিচারকদের সঙ্গে অসৌজন্য দেখাচ্ছে। এতে বার ও বেঞ্চের সম্পর্কে টান পড়ছে। সেই সঙ্গে ক্ষুণ্ন হচ্ছে বিচার বিভাগের মর্যাদা। এ পরিস্থিতিতে সারা দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বার কাউন্সিলের ভূমিকা রাখা জরুরি। মূলত সে উদ্দেশ্যেই জেলা আইনজীবী সমিতিগুলোর সঙ্গে এই বর্ধিত সাধারণ সভা ডেকেছে বার কাউন্সিল। সভায় সারা দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোর সভাপতি ও সম্পাদকেরা অংশ নেবেন। আর এই সভা থেকেই বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক রক্ষায় কঠোর বার্তা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলি। বার ও বেঞ্চের সুসম্পর্ক রক্ষা করি। শক্তিশালী বার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করি। সারা দেশের বারের নেতাদের আমরা এই বার্তাই দেব।’
বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, ‘আইনজীবীরা কোর্ট অফিসার। তাঁরা আদালত, বিচারপ্রার্থী, সাধারণ মানুষ, সহ-আইনজীবীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন, তা বার কাউন্সিলের ক্যাননে স্পষ্ট করে বলা আছে। তার ব্যতিক্রম হলে এটি পেশাগত অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
এর আগে এ রকম অসদাচরণের ঘটনায় আইনজীবীদের সনদ পর্যন্ত বাতিল হয়েছে। আমরা এই বার্তাই দেব, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এবং বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক যাতে ঠিক থাকে। ভবিষ্যতে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে। প্রয়োজন হলে যাতে উচ্চ আদালতকে জানায়।’
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ আসে। এর মধ্যে খুলনা ও পিরোজপুরের ঘটনায় হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়ে নিষ্কৃতি মেলে আইনজীবীদের। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় পৃথকভাবে ব্যাখ্যা দিতে সময় নেন আইনজীবীরা। সর্বশেষ নীলফামারীর ঘটনায় ওই বারের সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে তলব করা হয়েছে। এর আগে কুষ্টিয়ার একটি আদালতেও বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে। তবে ওই ঘটনা সেখানেই মীমাংসা হওয়ায় হাইকোর্টে অভিযোগ আসেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সারা দেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। প্রতিবাদে অনেক বিচারক তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি কালো করে দেন। জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানায় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনও। ওই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আদালত এক সপ্তাহের বেশি সময় বর্জন করেন আইনজীবীরা। পরে দুই বিচারক ছাড়া অন্য আদালতগুলোতে বিচারকাজ শুরু হয়। আর দুই বিচারককে বদলির দাবি জানান আইনজীবীরা। যদিও বিচারপ্রার্থী-আইনজীবীদের কথায় কোনো বিচারককে বদলি করা হবে না বলে ২১ জানুয়ারি জানিয়ে দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বার কাউন্সিলের কমপ্লায়েন্ট অ্যান্ড ভিজিল্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমাদের বার্তা হচ্ছে, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কোনো অভিযোগ উঠলে যাদের বলা দরকার, তাদের যেন জানানো হয়। কারও বিরুদ্ধে অসদাচরণ প্রমাণিত হলে সাময়িক এবং স্থায়ী নিষিদ্ধ করার বিধান আছে আইনে। আচরণের ওপর বই করা আছে। সেসব বই ও সংবিধান আমরা সব বারের নেতাদের দিয়ে দেব।’
নিম্ন আদালতে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। খুলনায় এক বিচারকের সঙ্গে তিন আইনজীবীর অসদাচরণের ঘটনায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সব জেলা আইনজীবী সমিতিকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সে সময়। এরপরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নীলফামারীতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এসেছে উচ্চ আদালতে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশের বিচারকেরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আজ শনিবার সারা দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোর সঙ্গে বসছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘বিচারকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে ক্ষমা করা হবে না’—হাইকোর্টের এমন সতর্কবার্তা পাওয়ার পরও নিম্ন আদালতের আইনজীবীদের কেউ কেউ বিচারকদের সঙ্গে অসৌজন্য দেখাচ্ছে। এতে বার ও বেঞ্চের সম্পর্কে টান পড়ছে। সেই সঙ্গে ক্ষুণ্ন হচ্ছে বিচার বিভাগের মর্যাদা। এ পরিস্থিতিতে সারা দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বার কাউন্সিলের ভূমিকা রাখা জরুরি। মূলত সে উদ্দেশ্যেই জেলা আইনজীবী সমিতিগুলোর সঙ্গে এই বর্ধিত সাধারণ সভা ডেকেছে বার কাউন্সিল। সভায় সারা দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোর সভাপতি ও সম্পাদকেরা অংশ নেবেন। আর এই সভা থেকেই বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক রক্ষায় কঠোর বার্তা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলি। বার ও বেঞ্চের সুসম্পর্ক রক্ষা করি। শক্তিশালী বার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করি। সারা দেশের বারের নেতাদের আমরা এই বার্তাই দেব।’
বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, ‘আইনজীবীরা কোর্ট অফিসার। তাঁরা আদালত, বিচারপ্রার্থী, সাধারণ মানুষ, সহ-আইনজীবীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন, তা বার কাউন্সিলের ক্যাননে স্পষ্ট করে বলা আছে। তার ব্যতিক্রম হলে এটি পেশাগত অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
এর আগে এ রকম অসদাচরণের ঘটনায় আইনজীবীদের সনদ পর্যন্ত বাতিল হয়েছে। আমরা এই বার্তাই দেব, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এবং বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক যাতে ঠিক থাকে। ভবিষ্যতে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে। প্রয়োজন হলে যাতে উচ্চ আদালতকে জানায়।’
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ আসে। এর মধ্যে খুলনা ও পিরোজপুরের ঘটনায় হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়ে নিষ্কৃতি মেলে আইনজীবীদের। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় পৃথকভাবে ব্যাখ্যা দিতে সময় নেন আইনজীবীরা। সর্বশেষ নীলফামারীর ঘটনায় ওই বারের সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে তলব করা হয়েছে। এর আগে কুষ্টিয়ার একটি আদালতেও বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে। তবে ওই ঘটনা সেখানেই মীমাংসা হওয়ায় হাইকোর্টে অভিযোগ আসেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সারা দেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। প্রতিবাদে অনেক বিচারক তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি কালো করে দেন। জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানায় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনও। ওই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আদালত এক সপ্তাহের বেশি সময় বর্জন করেন আইনজীবীরা। পরে দুই বিচারক ছাড়া অন্য আদালতগুলোতে বিচারকাজ শুরু হয়। আর দুই বিচারককে বদলির দাবি জানান আইনজীবীরা। যদিও বিচারপ্রার্থী-আইনজীবীদের কথায় কোনো বিচারককে বদলি করা হবে না বলে ২১ জানুয়ারি জানিয়ে দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বার কাউন্সিলের কমপ্লায়েন্ট অ্যান্ড ভিজিল্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমাদের বার্তা হচ্ছে, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কোনো অভিযোগ উঠলে যাদের বলা দরকার, তাদের যেন জানানো হয়। কারও বিরুদ্ধে অসদাচরণ প্রমাণিত হলে সাময়িক এবং স্থায়ী নিষিদ্ধ করার বিধান আছে আইনে। আচরণের ওপর বই করা আছে। সেসব বই ও সংবিধান আমরা সব বারের নেতাদের দিয়ে দেব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪