Ajker Patrika

দলীয় কোন্দলে নৌকাডুবির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) ও সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ৩৯
দলীয় কোন্দলে নৌকাডুবির শঙ্কা

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার একাধিক ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি হতে পারে। দলীয় কোন্দল, বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপির ভোট তাঁদের পরাজয়ের কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।

আগামী রোববার ভোট গ্রহণ হবে উপজেলার নয়টি ইউপির। নয় ইউপিতে এবার চেয়ারম্যান পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন।

উপজেলার বালিয়াটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। এই ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরীর।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আরশেদ আলী চৌধুরীর ছেলে। তিনি (আরশেদ আলী) দল ও এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। প্রয়াত নেতার ছেলে হিসেবে দল ও এলাকাবাসীর মধ্যে সোহেলের প্রভাব রয়েছে। এসব কারণে এ ইউপিতে তিনি জিততে পারেন বলে মনে করছেন ভোটারেরা।

মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরীর বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের কর্মীদের কারণে তাঁর কর্মীরা এলাকায় গিয়ে ভোট চাইতে পারছেন না। কর্মীদের এলাকা ছাড়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসবের পরেও নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিজয়ী হবেন বলে মনে করেন তিনি।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রুহুল আমিন বলেন, এলাকায় তাঁর অবস্থান ভালো। তিনিই বিজয়ী হবেন।

ভালো অবস্থানে নেই বরাইদ ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-উর রশীদ। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুল হাই।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুল হাই সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। মানুষের যে কোনো সমস্যায় তাঁকে কাছে পাওয়া যায়। পাশাপাশি বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে আব্দুল হাই সাধারণ ভোটারদের পছন্দের প্রার্থী।

জানতে চাইলে হারুন-উর রশীদ বলেন, ‘বিএনপির ঘরানার ভোটারদের কারণে আব্দুল হাই ভালো অবস্থানে ছিল। তবে ভোটারেরা অনেকটাই ঘুরে গেছে। বর্তমানে আমার অবস্থান ভালো।’

তিল্লী ইউপির ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধলেশ্বরী নদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলামকে বেকায়দায় ফেলেছে। শরীফুল ইসলাম নদীর পূর্ব তীরের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পশ্চিম তীরের বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুল লতিফ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পশ্চিম তীরে ভোটার সংখ্যা বেশি। ভোটারেরা যে দলই করুক না কেন ভোটের ক্ষেত্রে নিজ এলাকার প্রার্থীকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাই আব্দুল লতিফ ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি ও তাঁর কর্মীরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন। ভোটারদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে। এসব কারণে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে শরীফুল ইসলাম বলেন, দলের নেতা হিসেবে এলাকার উন্নয়নে তিনি অবদান রেখেছেন। এ কারণে ভোটাররা তাঁকেই নির্বাচিত করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত