মির্জাপুর প্রতিনিধি
আজ ১৩ ডিসেম্বর মির্জাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সম্মিলিত অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুর হানাদার মুক্ত করেন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বালন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণে মির্জাপুরের মুক্তিকামী যুব সমাজ সংঘটিত হতে শুরু করে। মির্জাপুর সদয় কৃষ্ণ মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শরীরচর্চা শিক্ষক নিরঞ্জন সাহার তত্ত্বাবধানে চলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। কেউ কেউ কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে শুরু করেন। এ ছাড়া গঠন করা হয় সংগ্রাম পরিষদ।
৩ এপ্রিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইল প্রবেশ করবে এ খবর শুনে সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য ও বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা গোড়ান-সাটিয়াচড়ায় বাংকার খনন শুরু করেন। অন্যদিকে কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল নাটিয়া পাড়ায় প্রস্তুত ছিল।
৩ এপ্রিল ভোরে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে গোড়ান-সাটিয়াচড়া নামক স্থানে পৌঁছানোর পর ইপিআর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বাধার মুখে পড়ে। শুরু হয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ২২ ইপিআরসহ ১০৭ বাঙালি নিহত হন এবং প্রায় ৩০০ পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়। ৩ এপ্রিলের যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনী মির্জাপুর থানা ও সার্কেল অফিসে ঘাঁটি গড়ে তোলে। এ সময় এলাকায় জ্বালাওপোড়াও এবং হত্যা শুরু করে। ৭ মে হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসররা মির্জাপুর গ্রামে গণহত্যা চালিয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিসহ ৩১ বাঙালিকে হত্যা করে। হত্যা করা হয় সদরের পুষ্টকামুরী গ্রামের মাজম আলীকে।
এরপর শুরু হয় পাকিস্তানিদের উৎখাতের পালা। নভেম্বরে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুরকে হানাদার মুক্ত করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবার দখল করে নেয়। এরপর কাদেরিয়া বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার শাহ আজাদ কামাল জিহাদী, প্রয়াত সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন ও মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান ও রবিউল আলমসহ মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেন। ১৩ ডিসেম্বর হানাদারদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয় যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে মির্জাপুর হানাদার মুক্ত হয়। তখনই তৎকালীন সিও অফিসে (বর্তমানে ইউএনও অফিস) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
আজ ১৩ ডিসেম্বর মির্জাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সম্মিলিত অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুর হানাদার মুক্ত করেন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বালন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণে মির্জাপুরের মুক্তিকামী যুব সমাজ সংঘটিত হতে শুরু করে। মির্জাপুর সদয় কৃষ্ণ মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শরীরচর্চা শিক্ষক নিরঞ্জন সাহার তত্ত্বাবধানে চলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। কেউ কেউ কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে শুরু করেন। এ ছাড়া গঠন করা হয় সংগ্রাম পরিষদ।
৩ এপ্রিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইল প্রবেশ করবে এ খবর শুনে সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য ও বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা গোড়ান-সাটিয়াচড়ায় বাংকার খনন শুরু করেন। অন্যদিকে কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল নাটিয়া পাড়ায় প্রস্তুত ছিল।
৩ এপ্রিল ভোরে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে গোড়ান-সাটিয়াচড়া নামক স্থানে পৌঁছানোর পর ইপিআর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বাধার মুখে পড়ে। শুরু হয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ২২ ইপিআরসহ ১০৭ বাঙালি নিহত হন এবং প্রায় ৩০০ পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়। ৩ এপ্রিলের যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনী মির্জাপুর থানা ও সার্কেল অফিসে ঘাঁটি গড়ে তোলে। এ সময় এলাকায় জ্বালাওপোড়াও এবং হত্যা শুরু করে। ৭ মে হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসররা মির্জাপুর গ্রামে গণহত্যা চালিয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিসহ ৩১ বাঙালিকে হত্যা করে। হত্যা করা হয় সদরের পুষ্টকামুরী গ্রামের মাজম আলীকে।
এরপর শুরু হয় পাকিস্তানিদের উৎখাতের পালা। নভেম্বরে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুরকে হানাদার মুক্ত করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবার দখল করে নেয়। এরপর কাদেরিয়া বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার শাহ আজাদ কামাল জিহাদী, প্রয়াত সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন ও মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান ও রবিউল আলমসহ মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেন। ১৩ ডিসেম্বর হানাদারদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয় যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে মির্জাপুর হানাদার মুক্ত হয়। তখনই তৎকালীন সিও অফিসে (বর্তমানে ইউএনও অফিস) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৭ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫