Ajker Patrika

চরের জমিতে লালশাক চাষ করে লাভবান কৃষক

ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৫৭
চরের জমিতে লালশাক চাষ করে লাভবান কৃষক

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী নদীর চরে কৃষকেরা লালশাক চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। জমি তৈরি থেকে বীজ বপনের পর মাত্র ২০ থেকে ২২ দিনের মধ্যে শাক বিক্রি করতে পারছেন তাঁরা। এতে অল্প অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া ও মনোহরপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে বিক্রির জন্য চাষ করা লালশাক সংগ্রহ করছেন কৃষকেরা। তাঁরা সারিবদ্ধ হয়ে লালশাক তুলছেন। আবার কেউ লালশাকের আঁটি বাঁধছেন।

এ সময় কথা হয় কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ৩৬ শতক জমিতে লালশাক চাষ করেছি। এতে আমার সাড়ে আট হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। বর্তমানে আমার জমিতে চাষ করা লালশাক বিক্রির যোগ্য হয়েছে। ইতিমধ্যে জমির শাক পাইকারদের কাছে সাড়ে ২৪ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি। এতে আমার খরচ গিয়ে ১৬ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।’

জাহাঙ্গীর আলম জানান, উৎপাদিত লালশাক বিক্রির পর এই জমিতে তিনি আলু ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করবেন।

লালশাকের চাষাবাদ নিয়ে কথা হয় কৃষক সুলতান আহমেদ, সাহেদ আলী, জব্বার মিয়া, লোকমান হাজারী, সাদেক আহাম্মেদ ও জলিল জামানের সঙ্গে। তারা জানান, জমিতে লালশাকের চাষাবাদ করে বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাচ্ছে। বাজারে লালশাকের চাহিদা রয়েছে। এর চাষাবাদে খুব একটা সার দিতে হয় না। তবে জমি প্রস্তুতের সময় শুকনো গোবর ও জৈব সার দিলে লালশাকের ফলন বেশি হয়। তাঁরা শুধু লালশাক নয়। অন্যান্য শাকসবজিও চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

লালশাকের পাইকারি ক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত লালশাক জমি থেকে কিনে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় আড়তগুলোতে বিক্রি করি। যেখানে ভালো দাম পাই সেখানেই এই সব লালশাক বিক্রি করতে নিয়ে যাই। বর্তমানে বাজার ভালো হওয়ায় আমরা ও কৃষক উভয়ে লাভবান হচ্ছি।’

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, লালশাক চাষে তেমন একটা শ্রম দিতে হয় না। জমি প্রস্তুত করে বীজ বপন করার ২০ থেকে ২৫ দিনের মাথায় লালশাক বিক্রি করা যায়। তেমন সারও দিতে হয় না। লালশাক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। তাই ছোট-বড় সবাই এটা খুব পছন্দ করে। লালশাক চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি এ থেকে বাড়তি আয় করাও সম্ভব। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর ১ বিঘা জমিতে লালশাক চাষ করে ৪০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হলে খরচ কম লাগে। কীটনাশক লাগে না। জমি তৈরির সময় ভালো করে সার দিলে অনেক ভালো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্টার্টআপ থেকে স্মার্ট সিটি: যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ টানছে বাংলাদেশ

বরিশাল-১: স্বপন-কুদ্দুসের দ্বন্দ্বে নির্বাচনের আগে দলে অস্থিরতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত